সঞ্চয়
এ জীবন সংগ্রহ করার,
মৃত্যুবধি একশো সাত নদীর জল
দশটা একাদশী রাত
আর বিশ তেইশ বিড়িপাতার ছাই, যাদের
আগুন জ্বলেছিল সুদূর পলাশের জঙ্গলে
এইসব যত্ন করে রাখি
আমার নক্সাকাটা কাঠের সিন্দুকে।
প্রেমিকেরা আসে যায়
পথের সামনে পথ
পেছনে স্মৃতিরা ক্রমাগত কুয়াশা কুয়াশা।
একদিন এই পথিক জীবন
বিশ্রাম চাইতে পারে,
একশো সাত নদীর জল
মিশে যেতে পারে আমার স্নান-পাত্রে
একাদশী ভোরে আমি স্বপ্ন দেখব সেইদিন
আমার সমস্ত আমি
নদীজলে ভেসে গেছি পলাশ জঙ্গলে।
মধ্যবর্তী
দুইটি মুহূর্তের মাঝখানে জেগে উঠে
আমাদের সকাল হয় মাঝেমধ্যে,
কোনো প্রেমিক শাপলার গায়ে ঢলে পড়ে প্রেমিকা মৌমাছি,
এতসব গুচ্ছ ঘটনাবলী, কাগুজে কথারা
মুহূর্ত বিলাসী...
দু’পাশে অনন্ত...
মাঝখানে এই যে শ্রমিক জীবন ব্যবহার
তার কাছে বাঁধা থাকে
আমাদের দুঃখী ভালোবাসা
এভাবে কতগুলো অনন্ত পাড়ি দেওয়া যায়!
প্রতিটি দিনই এক এক অসীম বোধের কাছে
ফিরে ফিরে যাওয়া আর আসা।
আমাদের সকাল হয় মাঝেমধ্যে,
কোনো প্রেমিক শাপলার গায়ে ঢলে পড়ে প্রেমিকা মৌমাছি,
এতসব গুচ্ছ ঘটনাবলী, কাগুজে কথারা
মুহূর্ত বিলাসী...
দু’পাশে অনন্ত...
মাঝখানে এই যে শ্রমিক জীবন ব্যবহার
তার কাছে বাঁধা থাকে
আমাদের দুঃখী ভালোবাসা
এভাবে কতগুলো অনন্ত পাড়ি দেওয়া যায়!
প্রতিটি দিনই এক এক অসীম বোধের কাছে
ফিরে ফিরে যাওয়া আর আসা।
ধূলো
পৃথিবীর প্রতি কোণে তির্যক আলো এসে পড়ে
তেমনি একটি
ম্যাগাজিনের মলাট ছুঁয়ে থাকে
অসংখ্য ধূলোর ছবি...
বিকেলবেলায়, একটি পাগল খুঁটে খুঁটে
সেই ধূলো মেখে নেয় গায়ে, হাতে মুখে...
আমিও ধূলোর মতো পৃথিবী চিনি না
শুধু পাগলের কথা শুনি
আর বিক্রী হয়ে যা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন