মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

রুহুল মাহফুজ জয়

গন্দমগুচ্ছ


()

নিজস্ব দোজখ পেরিয়ে প্রেমিকের কাছে ফিরে আসে নবী আইয়ুবের দেহপোকা,
তোমার বুকে বসে আছে চাকুর অহঙ্কার, সূর্যরশ্মির বিপরীত আয়নার তেজ।

আহা ছুরি! আহা আয়না!
কাটার আগে ধারালো হবার লোভ প্রতিবিম্বে এসে ক্রমশ ঝাপসা সুমনার মুখ।
তিরতির কম্পমান হারিকেনের ছায়ার নিচে শাদ্দাদের বেহেশত ভেঙে পড়ার
শব্দ শুনি আজরাইল ফেরেশতাও জানে, আমি কোন বেহেশতের দিকে যেতে
যেতে পথ হারিয়েছিলাম।


()

প্রবল স্নায়ুলতা, শুয়ে পড়ো সতী বেহুলার শরীর থেকে নাও মেলানকোলিক ঘ্রাণ।

ছুরি, তুমিও কী লজ্জাবতীর কায়ায় শুয়ে আছো ঘাসে?
                        পা জানবে ক্ষতচিহ্ন পুরা?
আমি নবী নই, দেখব এগারটি নক্ষত্রের স্বপ্ন। চাঁদ বণিক হবার ইচ্ছেও নেই।
মিথ জানে না নিজস্ব পুরুষের নিকটে ফেরার আভাসে
                       মুসলমান রমণী পড়ে কুরান।
শুয়ে পড়ো, গভীর ঘুমের দিকে হেলে পড়ো স্নায়ুলতা দুপাশের সেথানেই
দোজখের বাতাস রেখে নিরুদ্দেশ ঊর্মি ইসলাম বলে যায়নি, কোথায় তার প্রাণ।

()

আতঙ্কে না মইরো, ওহে অস্পর্শা পুষ্পরাশি
যে মুখ তোমারে ডাকবো মা মৌ আফরিন,
ওরে শিখায়ে বাঘের চলন, ছাইড়া যামু মসৃণ
আদরের জঙ্গলে; পোলায় হাঁটব ত্রস্ত হরিণ
পাশে নিয়া যখন তোমার পিরিতের ফাঁসি
নিয়া আমি নরকে বইসা খামু আগুনের হাসি!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন