সমুদ্র এবং
কবি
থেমে থেমে বালিয়াড়ি ঝড়, বাতাসের শোঁ শোঁ গর্জন, আকাশ
বিষণ্ণ বালকের মতো মুখ গম্ভীর
করে আছে।
এখানেও একটা সুর এবং ছন্দ আছে, সুন্দরীর বন হেসে লুটোপটি,
সাথে সাথে ঝাউবনে কানাকানি, হেমন্তে সমুদ্র বড়ই
লাবণ্যময়ী, মাঝে মাঝে রূপের অহংবোধে ফুঁসে ওঠে,
নিয়ে যায় ভাসিয়ে সব, পূর্বপুরুষদের পাপগুলোও ধুয়ে মুছে
নিয়ে যায়।
এখনো কিছু মানুষ স্বপ্ন ফেরি
করে লোনাজলে। রেডিওর
সংকেত শুনেও
জলকন্যার সহবাস কামনা করে।
বালিতে তাসের ঘর বাঁধে।
তাদের দহন করে না লোভের ক্রোধের
লেলিহান শিখা।
আসলে একজন কবি বাস করে
প্রত্যেক মানুষের আত্মার ভেতরে। কবিগণ
ভবিষ্যৎ স্বপ্নদ্রষ্টা।
এসো তাহলে, আমরা সবাই কবি হয়ে যাই; পৃথিবী নামক
অসুমিত, রক্তাভ গ্রহটা স্বর্গউদ্যান হয়ে যাক!
সেমন্তী হতে পারিনি
এতদিন
লুকিয়ে ছিলাম, বিবর্ণ ক্যাকটাসে
তোর কাছ থাকে পালিয়ে পালিয়ে,
আজও তোর সেমন্তী হয়ে উঠতে পারিনি!
তোর কাছ থাকে পালিয়ে পালিয়ে,
আজও তোর সেমন্তী হয়ে উঠতে পারিনি!
ক্ষয়ে
গেছে শালগ্রাম শিলা
ঝড়ে উপড়ে পড়েছে বৃক্ষ
বহতা নদীকে শাসন করেছে মানুষ।
তোর নামাঙ্কিত পাথরে ফসিল
মাঝে মাঝে সে ফসিলে চোখ রাখি,
হয়তো ক’দিন পর তাও পারব না,
চোখের আলো যে নিভু নিভু!
ঝড়ে উপড়ে পড়েছে বৃক্ষ
বহতা নদীকে শাসন করেছে মানুষ।
তোর নামাঙ্কিত পাথরে ফসিল
মাঝে মাঝে সে ফসিলে চোখ রাখি,
হয়তো ক’দিন পর তাও পারব না,
চোখের আলো যে নিভু নিভু!
তোর সুনিকেতের নকশা ভাসা ভাসা দেখেছি,
দুঃখগুলো সেরেছে রে? অসুখ কি হয়?
আর কতকাল! কেবল সুখ নিয়ে বাঁচবি রে?
দুঃখগুলো সেরেছে রে? অসুখ কি হয়?
আর কতকাল! কেবল সুখ নিয়ে বাঁচবি রে?
পেয়েছেন
কিনা জানান
আপনার মব নম্বরটা যদি অনুগ্রহ করে দিতেন!
আপনার মব নম্বরটা যদি অনুগ্রহ করে দিতেন!
অপরাহ্ণের প্রার্থনা
শেষবেলার তীর্যকআলোর ধ্রুপদী ঢঙে
হাত বাড়িয়ে দেয়, অন্ধচোখে কীভাবে
বুঝব? আলো না আলোর সহগ!
হাত বাড়িয়ে দেয়, অন্ধচোখে কীভাবে
বুঝব? আলো না আলোর সহগ!
চেঁচিয়ে ওঠে অবসাদের ঘোড়া। অনিরুদ্ধ
বচনে, নাচনে, শরীরে ক্লান্তির প্লাবন।
সময়ের আবর্তে আমিও চলে যাব
চাই না আরতি, চাই না ক্ষণকালীন প্রভা।
বচনে, নাচনে, শরীরে ক্লান্তির প্লাবন।
সময়ের আবর্তে আমিও চলে যাব
চাই না আরতি, চাই না ক্ষণকালীন প্রভা।
এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে পথহারা
পাখির মতো মরে পরে থাকি যেন!
পাখির মতো মরে পরে থাকি যেন!
আমার বেলা যে যায়
স্বপ্নের ডাইনোসরটা হাসছিল
স্মৃতির ঝুড়ি থেকে ফুলগুলো উধাও
সম্পর্কগুলো কৌশলে খোলস ছেড়েছে।
মহাকাশে আজকাল কারফিউ চলছে
মানুষ আর পারবে না যেতে,
শেষ ট্রেনের টিকিট কাটব বলে
পৃথিবী তোমার ওয়েটিংরুমে অপেক্ষমান,
কোথায় তুমি ওগো স্টেশনমাস্টার
‘আমার বেলা যে যায় সাঁঝবেলাতে’
কোথায় তুমি কোন অনন্তপুরে?
ওগো, আমার বড় সাধের
স্টেশনমাস্টার!
স্বপ্নের ডাইনোসর হাসে, আমার বেলা যে যায়!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন