কবি
তোমার মতো ময়লা পাগল আর নেই
খুঁজে পেতে নিয়েছ এরকম অর্গাজম
বহু সাদায় এসব ভুল পরিমিতি
ছেঁড়া পলিথিনের জবুথবু সিট,
ফুটপাথের আবর্জনার সঙ্গে
কালোকুলো অক্ষর আমাকে
নাক কুঁচকে ওরা ছুঁড়ে দিতে এলে,
আঠালো জটলা চুল বিনুনি করা ছেড়ে
যদি উকুন না খেয়ে ওদের কামড়ে দিই
তাই ভয়ে ফেলে যায় তোমার কাছে।
হিমন যত কথা
বাংলোবাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে
গর্বিত মাথা, নীলাকাশ ছুঁয়ে।
ঘরে ঘরে স্বপ্নিল তুলোভরা বালিশ,
রাতের সব আলো নিভে গেলে
জোনাকির মতো ওরা আলো ছড়ায়।
বন্ধ চোখের সামনে
কে যেন দরজা খুলে দেয়,
দরজা খুলে যায় আর এক অলৌকিকের।
গোপন যত হিমন স্থবিরতা
বেড়ালের মতো পা টিপে টিপে
বের হয়ে আসে, হয়তো এইখানে
এই অলৌকিকে আলোকিত তারা।
দেখা হয়ে যাবে, বুকের ওম লেগে
খসে যাবে স্রোত রুখে দেওয়া বালির চড়া।
তারপর, দপ্ করে আলো জ্বলে গেলে
চোরাপথে পিলারের রডে
লেগে যাওয়া জঙের মতো
পরতে পরতে খুলে আসি,
দাঁড়িয়ে থাকে বিলাসী বাংলো।
একটা কবিতা
এক একটা কবিতা মাছ
বোধ চারে বাঁচে
এক একটা কবিতা গাছ
এনে দেয় ক্রিসেন্ট রাত
বুভুক্ষু সে মগ্ন পাতে মুড়ে
ছিনিমিনি মশলা জারিত
রান্না করে আমাকে
নষ্ট করে খায়
নষ্ট করে খায়
নরম যত্ন কোরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন