মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

পৃথা রায়চৌধুরী

জঞ্জাল রিসাইক্লিং

গরম ভাতের থালায়
নামতা মুখস্ত করে যাও
দেখ রোমাঞ্চকর ধোঁয়া
সব গিলে খেতে কেউ বলেনি
রেখে দাও তথ্যচিত্রে
মাড়টুকু আলাদা সরিয়ে বেঁচেছ জানি।

চাপা দিয়েছ অ্যাম্বিশানের মন্তাজ,
গো অ্যাহেড শব্দের অপভ্রংশ
দেওয়াল জুড়ে জানান দেয়,
সত্যিই মিথ্যের রিমিক্স
দরজার সামনে কুটোর পাহাড়
জিন্স-টপ বেয়ে নামে সাবেকি ত্রিকোণমিতি।

পাশের বাড়ির আধখোলা জানালায়
পরকীয়ার আভাস দেখে
মুচকি হেসে সেলাম করো মনে মনে,
বলো বেশ করেছ,
রীতিবৌদি - বিধানদা
ভাঙো, ভাঙো আর জিও।

ভোরের আড়ালে লুকোনো
গিজগিজে নোংরা ছারপোকা খোঁজো
তাদের রূপটান মাখিয়ে
ম্যাগাজিনের কাভার পেজ হবে
কোলাজে আলাদা আলাদা নাক-মুখ-চোখ
ছাপিয়ে দিয়ো নিজের মতো করে।

অবেশেষে এক নিঃশ্বাসে
পচুইয়ে চুমুক দিয়ে
ছাদ থেকে একতলায় নামো
নাড়ো কলকাঠি,
বারো এক্কে বারো
বারো দু’গুনে চব্বিশ...


মোদ্দা কথা

ক্ষণে ক্ষণে সৃষ্টি
সকাল থেকে খয়রাটে মেরে যাওয়া
শীত টানটান চড়বড়ে রুক্ষতা
কেমন সহজে তেল মেখে
স্নান সেরে ফেলে সজীব,
পতঝড় একে বলে কি না
যখন চরম দ্বিধা,
রে রে করে ঢুকে পড়ে মুখোশ বসন্ত।

কয়লা খাদানের পাশে পলাশগাছ ঘিরে
রাখা থাকে কালচে ধোঁয়া পান্তা
সাথে প্রেমিক চোরকাঁটা, ছেঁড়া ইজের দল।

গলির মুখে কুকুরযুগল দেখে চোখ ফিরিয়ে মোবাইলে
তড়িঘড়ি ভাবতে বসা গ্লোবাল ওয়ার্মিং
একা পাগলী জন্ম দেয় রাস্তায়
সৃষ্টির মেশিন চেনে না সৃষ্টিকর্তা।

এমন ছিলাম না, এমন নই
ভাবনার মধ্যেই দাবদাহে তেমন হয়ে যাওয়া
ওসব বাদ, কাল তোমার সাথে দেখা হবে কি?


পূর্ণগ্রাস

রাত বারোটা বেজে চার মিনিট
মনখারাপের চুম্বক
আদেশ জারি করে গিলবার
অমান্য করার প্রশ্ন থাকে না
চালু সেই গেলার পালা।

গিলে ফেলা গেল,
পড়ব না পর্বের তুমুল শেষে
পড়ে যাওয়া, যাওয়ায় পাওয়া।

গিলতে হয় কিছু দায়হীন শাস্তি
প্রাচীন আসামীর ক্রিমিনাল রেকর্ড
সমুদ্রের উৎস করে যায় কোনো নিরীহকে।

নিজের আকাশ, বাতাস, মর্ত্য
একে একে গিলে ফেলে শুরু
হাত, পা, মগজ, হৃদয়, নিঃশ্বাস,
গলাধঃকরণ।

আকণ্ঠ ঘুম গেলার মধ্যে স্তোক পড়ে থাকে প্লেটে
ওরা প্রশংসা পায়, তুমি পাও আমায়।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন