ভাটা
কত কিছু করা বাকি থাকে, আক্ষেপ করাও যায় না।
সেখানে অন্য কারুর আক্ষেপ ফুটেছে বহু আগে
এভাবে পেয়ে পেয়ে না পাওয়া
বা না পাওয়ার মাঝেই পেয়ে যাবার জিত
কখনো বৃষ্টি আসছে বলেই উচ্ছ্বাসেও ভাটা
একটানা হাসি সয় না,
গরম ভাপের চাদর পেতে অনিদ্রার ঈশ্বর
চেয়েচিন্তেও একমুঠো বারিশ বাঁধতে না পারা
নাকি এভাবে বাঁধা বারণ
উঠোন ছাড়াও অনেক অপেক্ষা
যেখানে প্রয়োজনের দখল
হঠাৎ
অপ্রয়োজন জোয়ারের বেলাশেষে...
পুনর্জন্ম
পায়রাডানা ভোরে ডুবে গেছে
অজস্র তিস্তা তোর্সা
ধুলো ওড়া কুয়াশায় সাফাই হয়ে যায় পূর্বজন্ম,
কিছু বেয়াদব বিচ্ছিন্ন লগ্ন
আঙ্গুল ছুঁয়ে স্পর্শহীন...
ওই বারান্দা থেকে তাকালে ধূসর পাতাখসা
সাদা কালোয় যত রং নিয়ে
ক্রমানুসারী আলোর দিশারী
বিদায় বলার ক্ষণ পেরিয়ে গেলে বোঝা গেল
খবর
রেখে আসা হলো না।
স্ব-সন্ধান
অগত্যা, সরিয়ে নিও হাত
নিয়তিচানের অবকাশেই দেখো গ্রহণসুন্দরী,
গ্রাস ছুট হয়ে পালিয়ে যেও
ঝলমলে অজুহাত।
অবশেষে, নিটোল নিন্দেখানা
অধিকারের জাফরি বোনে থৈ পাতালের কারসাজি,
বিছিয়ে নিও মরণবয়ান
মুলতুবি দুইডানা।
আচমকা, রোদ বৃষ্টিকুচি
তুলকালামি ধানের শিসে চাঁদের বুড়ির ভীমরতি
খাতার ভাঁজে টুকরো খামে
‘ছিল’-র কাঁকর মুছি।
এখন আমার সব আছে
বারান্দাময় সুখের খই
তারাদীঘি খুব কাছে
এখন
আমার আমি কই?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন