আগুন দেখোনি
তুমি আমার জল দেখেছ আগুন
দেখনি
অশ্রু দিয়ে পত্র লেখ রক্তে
লেখনি
জলের নিচে জ্বলে আগুন
দ্বিগুণ অভিমানে
এমন অভিমানের কথা রাত্রি শুধু জানে
অন্ধকারে জমাট বাঁধে পুরনো
যন্ত্রণা
মাথার ভেতর ফুসে ওঠে
কালনাগিনীর ফণা
ফণার বিষে আমি তো নীল, তুমি নীলের দাস
শূন্য নীলে শয্যা পাতি,
শূন্যে বসবাস।
আমি কি আর বেঁচে আছি, এই কি
বেঁচে থাকা?
হাঁটা–চলা সবই যে আজ মৃত্যু
দিয়ে ঢাকা
তবু আমার কফিন থেকে অনেক
দূরে থেকো
কফিন ভেঙে জাগতে পারে পশু
মানুষ-খেকো
আমার ভেতর পশু আছে এক-দুটো
নয়, হাজার
পশু কি আর বোঝে নাকি
গণতন্ত্রের মাজার।
জল দেখেছ তুমি আমার দেখনি তো আগুন
কখন যে হায় ছড়িয়ে যাবে শত
সহস্র গুণ।
ভাসিয়ে দেবে পুড়িয়ে দেবে বাঁধ
ভেঙে যায় যদি।
একা
নিঃসঙ্গ কবি
একা একা রান্না-খাওয়া, একা
একা সবই
একা বৃষ্টি, একা আকাশ, একা
দূরের মাঠ
আবার হঠাৎ মধ্যরাতে একা
গ্রন্থপাঠ
একা কষ্ট, সুখও একা, একার
কারাবাস
একার সঙ্গে একার এমন যৌথ
বসবাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন