নৈঃঋতে মেঘ
মেঘের নিচে আস্ত ফানুস
উড়ছে বিষাদ বাড়ছে বিষাদ
রাত হচ্ছে সোনা
জ্বলছে আলো – লাল নীল
চলছে বেচাকেনা
ফিরছি ঘরে
কোন সে ঘর!
তিনটে দেওয়াল – খোলা দরজা
বাইরে জমা ধুলো
চৌকাঠ জুড়ে তোমার কথা
ফিসফিস হাওয়া ওড়ায় চুল
কোথায় তুমি
ঘরে ঢুকেছ?
রঙিন ফানুস মেঘের দেশে
ডাকছে আমায়
রাত হয়েছে। এই তো আমি
আসছি সোনা।
ইচ্ছে
বেহুলার ঘুঙুর রাখা ঘরে
মুদ্রা ভুলে গেছি কবে...
বাক্সে বন্দী তাল-
ব্যর্থ মৃদঙ্গ; বাঁশি বিষণ্ন সুরে বেজে যায়
একা বসে চুপ করে
প্রভাতী রাগ শুনি,
শুকতারাও জেগে রয়।
বন্ধ দরজা খোলো
অনেক হলো পরবাস
এবার ঘরে ফিরতে চাই।
মেঘ এখনো কাদঁছে
বিভ্রান্ত ভাবে সে এসেছিল।
শ্রাবণের আকাশ মাথায়-
বসেছিল উল্টো দিকের চেয়ারে।
একটা দীর্ঘ অন্ধকারের গল্প
বাঁধ না মানা বৃষ্টি শুনেছিল।
যাবার আগে বলল-
অস্তিত্ব সনাতন ধর্ম আপেক্ষিকতা
মিথ্যে সব সম্পর্ক-
সেই মুহূর্তে
বিদ্যুৎ জানালা ভেদ করে
ভেঙে পড়ল নির্জন ঘরে।
এই সে তুমি কিম্বা আমার আমি...
ফেরার পথ জলমগ্ন।
সাঁতার জানি না
মেঘ এখনো কাদঁছে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন