প্রতিবেশী
সাহিত্য
সিলভিনা
ওকাম্পোর কবিতা
(অনুবাদ : জয়া চৌধুরী)
কবি পরিচিতি
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর কনিষ্ঠ
বোন সিলভিনা ওকাম্পো ১৯০৩ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কবি ও গল্পকার এবং শিশুসাহিত্য লেখিকা সিলভিনা ‘সুর’ বা ‘দক্ষিণ’ পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন। বিবাহ
করেন প্রখ্যাত লেখক আদোলফ বিখয়
কাসেরেস-কে। ১৯৫৩, ৫৪ ও ৬২ সালে মিউনিসিপ্যাল পুরস্কার ও জাতীয় পুরস্কার
পেয়েছিলেন কবিতা রচনার জন্য। সুররিয়ালিজমের অগ্রদূত ফেরনান্দো
লিখের কাছে ছবি আঁকায় পাঠও নেন তিনি। ১৯৯৩ সালে প্রয়াত হন।
মাঝে মাঝে বৃক্ষ শাখায় চেয়ে দেখি
তোমায়
A veces te contemplo en una rama
মাঝে মাঝে বৃক্ষ শাখায় চেয়ে দেখি
তোমায়
একটি আকারে, মাঝে মাঝে ভয়ংকর
রাতে, কাদায়, যে কোনো বস্তুতে,
সম্পূর্ণ হৃদয়টি পুড়তে থাকে তোমার
শিখায়।
আর তোমার ঠোঁটের আকাশ আমায় ভালোবাসে
একথা জানি আমি
বাতাস গড়ে তোলে তোমার ঈশ্বরীয় অবয়ব
সোনালি অবয়ব
প্রস্তরীয় অবয়ব একাকী অহংকারী, যাতে
তোমাকে যদি কেউ না ডাকে তার অস্তিত্ব
থাকবে না।
তোমার দুটি হাতের মধ্যে অসহায় আমি
থাকব
যদি তোমাকে এটা খুঁজে পাওয়ার জন্য না
হয় তাহলে আমি বাঁচব না
তোমাকে আদর করবার জন্য অতিক্রম করে
যাব যন্ত্রণা।
সব সময় আমাকে তুমি প্রতিদান দিয়ে যাবে,
তোমার কাছে যা চেয়েছি তার চেয়ে অনেক
অনেক বেশি
আর প্রায় সব কিছুই যা আমি চেয়ে থাকব আমাকে দিয়েই
যাবে তুমি।
মাষ্টার চাবিটি
La llave maesta
তার ঘরের আলোটি সে যখন সেখানে থাকে
না আমায় তার কথা মনে পড়ায়
যখন ভয় পাই সে আমায় সঙ্গ দেয়।
আর আমার সবসময় ভয় হয় কেননা আমি যে
সাহসী;
ঘরে প্রবেশ করার মুখে মেঝের
মোজাইকে তার পায়ের চলা শোনো তুমি
দরজা যখন ধীরে ধীরে খুলে যাবে তুমি
তাকে দেখতে পাবে
আমি ওটার জন্য অপেক্ষা করি, আর সব সময় অপেক্ষাই করতে থাকি;
যতটা বৈদ্যুতিক আলোর জন্য ঠিক
ততটাই সূর্যের আলোর জন্য,
যতটা সূর্যের আলোর জন্য, ততটা
চাঁদের আলো কিংবা তারার আলোর জন্যও বটে।
একখন্ড পর্দা গড়ে তোলে জটিল আলো
এটা জীবন আর চিরকালই এইটাই জীবন।
আমায় যদি তা অন্ধ করে রাখে আমার পা
দুটি দিয়ে আমি তা দেখতে পারি
নয়তো যখন সে এসে পৌঁছোয় আমার কপাল দিয়ে
আমি তা দেখতে পাই।
কাপড়ের টুকরো আলো গড়ে না বরং তারা
আগমন, শব্দ গড়ে তোলে
যা কিনা অন্ধকার বদলে দেয় আলোতে।
আলোর বোর্ডটার অনেক চাবি আছে
কিন্তু একটি মাত্র চাবিই বাকিদের ওপর শাসন করে
তার নাম মাষ্টার চাবি,
ঠিক এক ভাবে আমার আলোর বোর্ড-এর
একখানিই চাবি আছে যা দিয়ে সে বাকি সকলের ওপর ছড়ি ঘোরায়
যে চাবিটা তার হাতে আছে।
চাইলে সে সব আলো নিভিয়ে দিতে পারে
কিন্তু আমি আমার চোখ দুটি বুজি না
দেখবার জন্য
অন্ধকার আলো হতে পারে
আঘাত করবার জন্য নয়।
এই কবি কে আগে জানতাম না। অনুবাদের সাহাজ্যে জয়া এ রকম অন্য দেশের কবিতা পড়াচ্ছেন। সাধু উদ্যোগ।অনুবাদ ভাল করছেন জয়া
উত্তরমুছুনএই কবি কে আগে জানতাম না। অনুবাদের সাহাজ্যে জয়া এ রকম অন্য দেশের কবিতা পড়াচ্ছেন। সাধু উদ্যোগ।অনুবাদ ভাল করছেন জয়া
উত্তরমুছুন