রাজকুমারী-১
ঘুম এলো না আজও
খলনায়ক আর রাজকুমারী এক কোটরে বন্দি
ঘুম এভাবে আসে?
বাড়তে থাকে যন্ত্রণাময় পাপীর অভিসন্ধি।
ঘুম এলো না আজও
খলনায়ক আর রাজকুমারী এক কোটরে বন্দি
ঘুম এভাবে আসে?
বাড়তে থাকে যন্ত্রণাময় পাপীর অভিসন্ধি।
রাজকুমারী-২
দিব্যি ছিলাম, মাথার ভিতর কেউ ছিল না
এক্কেবারে কেউ ছিল না
কেবল ছিল গাছ পাখি
আর বারুদপোড়া গন্ধমাখা রাত-জোনাকি,
তাদের নিয়ে সবার ছাদে একলা আমি
আমিও ছিলাম ব্যস্ত
তবু উল্টে ছিলাম সেসব পাতা,
যাদের দু’পিঠ,
মাঝখানে তার জলছবিতে আড়াল থাকা
টুকরো টাকরা স্মৃতির গোলাপ,
অনেক দামি অনেক দামি
প্রেম বরাবর জটিল ছিল,
আজও আছে সেই সেরকম,
আজকে রাতে উঠলে তুমি
চরম সীমায়;
কালকে আবার নামতে পারো
ছড়িয়ে যাওয়া মেঘ কুড়োতে,
রঙিন জামায়
হঠাৎ কিছু শব্দ করে
বাতাস এলো,
হাওয়ার ঝাপটা, উড়তে বারণ,
গাল বেয়ে আজ উপর দিকে
চলল কিছু ধুলোবালি,
সঙ্গে কারুর চোখের জলও
বাঁধল বাসা সবই জেনে, মনটা পড়ে রইল খালি।
রাজকন্যার প্রবেশ হবে,
চিনবে কি কেউ তার দুটো চোখ?
ভুরূর উপর ছোট্ট তিল-এ
ঠোঁট বাঁকানো নরম হাসি?
সেসব আমি দেখব বলে
আড়াল থেকে ভালোবাসি
বলতে গিয়েই বিপদ হলো
জংলি কোনো ঢেউয়ের বুকে শান্ত হতে তার বাঁধেনি,
তাকে তো কেউ আর সাধেনি!
বলেছিলাম একটু
না হয় একটুখানি হাত দু’খানা মেলো
তার মাথার ওই
বাদামী চুল,
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো ভুল,
ভাতের থালায় বিষম খেয়ে
একটু আদর পেলো...
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো ভুল,
ভাতের থালায় বিষম খেয়ে
একটু আদর পেলো...
রাজকুমারী-৩
আমি অথবা ততটা আমি নয়
যতটা দুঃস্বপ্নে জড়িয়ে ধরি প্রিয়াকে
শুধু বলে দিতে,
একটু বসিস, আমি রাস্তায়।
সে দাঁড়ায়, গম্ভীর মুখে
আজই শেষ দিন?
হয়তো বা
অকারণে আশ্রয় দিতে
ভিড়ে তবু চোখ যায়
যতটা হবার নয়
তাই ভেবে নিতে
আমি আসি
সত্যিই আসি, হাঁফালে সে রেগে যায় তাই
হাত ছুঁয়েও কি ছুঁই?
ভালোবাসি?
কম্পমান ঠোঁটে!
নাকি না বলে না মেয়ে!
তাও বুঝি, জামার আড়াল নিয়ে
কত মেঘ শক্ত হয়ে ওঠে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন