শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

দেবযানী কর সিনহা

সমতা

আর তর্ক না, দিলাম প্রতিশ্রুতি
গয়নার বাক্সে জিভগুলো খুলে রাখছি
আর মারামারি কাড়াকাড়ি হবে না
মিথ্যের সরাসরি বলি 
নখ দাঁত চুল খুলে রাখা যেত যদি
ভালো করে বোঝাতাম
জীবের জন্য যৌনতা এসেছে
শার্দুলের জন্যও
বাতিকগ্রস্ত জমানায় তীব্র নিন্দামাখা বাণ
এসে লাগছে আঁশটে মাছেদের বুকে
ভেষজরা আধিপত্য করে বরাবর
শিশু খালিপেটে ঘুমোয়
নারী ছেঁড়া কাপড়ে জড়ায় গা
বৃদ্ধ খিদেতে শুধু জল খায়
যৌনতা সহ গ্রহণযোগ্যতা রাখো
দয়া মায়া স্নেহ দাও


কৌশল

শেষমেষ এসে দাঁড়ালে দরজায়,
আহ!
ঘুমজোড়া চোখে দেখা দিল ইউক্যালিপটাস
চোখ পেতে চেয়ে নিলে পুরনো স্মৃতি
আসছে ক্যাটরিনা, শুরু হলো মেরামতি
এ তো পাথর নয়! কাদামাটি ভোর
এখনও কুমারী পৃথিবী নির্ঝঞ্জাট করে রাখে
গর্ভথলি, পারিজাত ফুটবে কিছুদিন পর
সাদা শ্যাওলার উঠোন পাতে নিজস্বী
নিজের সন্তানকে চিনে নেবে জরুল চিহ্ন দেখে
অতীত সরল, সোনার মোরাম ঢালা স্বর্গ
আমাদের ছ’চাকার শকট নিদ্রিত
বাড়িটায় ছায়া দেয় জন্মচেনা বান্ধব
মাধবীলতা ওই পাশে
ইউক্যালিপটাস আমাকেও মসৃণতা দাও,
তলোয়ার ধার!
তুমি পারো কারও চোখ খুলতে
ঠোঁটে ঢেলে দিতে বারুদ
ঘরের চালের বারুদ জিভের তলায় রাখার কৌশল।


আমার জগত  

আমার জগত পুড়ছে মোমবাতির শিখার নিচে
কত ধ্বংস দেখি, আমার ফেরি করা বিশ্বাসে
শ্বাপদের করাত গোলাপি দলের কাছে জিঘাংসালিপ্ত,
তুমি ছিলে নিখুঁত ব্যাকরণে সফল পরিগ্রাহক।
শেষ প্রতিশ্রুতি হারিয়েছে সব জাঙ্গাল,
এয়োবামার চোখের কোণে কর্পূরলাগা রসাতল। 
অন্নপূর্ণা হাত স্নান সারলো কুয়াশার জলে এইমাত্র!
নীল চোখের বিদেশিনী মনুমেন্টের সামনে সুজলাং সুফলাং হলো
অন্যদিকে নিরাপত্তাহীন মেয়েটাকে বস্ত্র দিচ্ছে ফুটপাতের পাগল?
হিংসুটে চাঁদ হাততালি দেয়, মাথা নামিয়ে মাপে নাব্যতা!
আমার জগত পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে স্তুপ বানায়,
বাঁধানো ঘাটের পাথরে ঘষে চূর্ণ বিচূর্ণ স্মৃতি।
মধ্যরাতে ময়ূরাক্ষী চেঁচিয়ে দরজা খুলতে বলে-
এপিটাফ তক্ষুনি ঝরে যায় যেমন ঝরে বৃষ্টি!




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন