শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

তাপসকিরণ রায়

হরিণ পায়ের ছাপ

জলজ হরিণ পায়ের ছাপের মতো
বাতাস তাড়িত সময়
তুমি দেখতে দেখতে পাখিরা তোমার চোখ হয়ে গেল
আকাশ সরাতে পারেনি মন
তীব্রতা ঘন হলে বেদনা, বেদনা ঘন হতে হতে বাস্তবতায় ফিরে আসা
আবার নতুন ভাবনা
উড়ে যাচ্ছি আমরা
পথ ঘাট মাঠ আর বিনুনী দোলানো মেয়েটার বালকবেলা হয়ে যাচ্ছে  

কিছুটা দিশারী
বাজপাখি যেদিন হাতের মাংস টুকরোয়
ছোঁ দিয়ে গেল
বুঝেছিলে তুমি তোমার চোখের আগুন আছে
জ্বলে যাবার যন্ত্রণায় জীবন দেখতে দেখতে মিশে যাচ্ছিলাম জীবনে
পালকের ফুরফুর হাওয়া আসলে জন্মান্তর ফেরি করে যায়

কেমন চক্র
ঘুরিয়ে দিয়েছ জুয়ার আখাড়ায়
স্বয়ংক্রিয় ভাগ্যচক্র
হাতের মুঠোর শূন্যতায়
ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত স্বপ্নগুলি অগাধ রাত্রিতে কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে।


না বলা  

যদি বলি ছায়াবৃত কথাগুলি তোমার বুক
কাউকে বলা হয়নি - তহবিলের অদৃশ্য তালা
চাবির গুচ্ছে
খুঁজে ফিরি সেই মুখ সেই পাঁজর কথা
স্ফূ শব্দভাষ  

নিজের কাছেও এক কুয়াশা সকাল
ভাষার স্পর্শ কতখানি রাখা আছে মলাট চৈতন্যে?
বাঁশিশব্দ প্রতীক্ষিত রোল   
দেখি অস্তিত্বে আঁটা সেই রণন শিকল
ওপারের কিছু ব্যথার মন্থন
ছায়াবৃত কোনো বুকের ছায়ায়
একবৃক্ষ জড়তা রয়ে গেছে।


চেহারা

চেহারাগুলি যেন মেলানো যাবে না-
চায়ের দোকানের ছেলেটা কী সুন্দর কবিতা লেখে দেখ!
রঙ দস্তুরের জেল্লায় মানুষগুলি হারিয়ে যাচ্ছে
অন্যদিকে নিভৃত জপমালা, চোখের আলোক বিশ্বায়ন
আমার দূরে থাকা একটা পরিচ্ছন্ন মন
ঘুমিয়ে থাকতে থাকতে অব্যক্ত উচ্চারণ
তুমি প্রকাশহীন, তাই অন্ধকার


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন