শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

পলি

মুঠো মুঠো প্রেম। পায়রায় বাঁধা।
মাসিক কিংবা পাক্ষিক।

উড়ে আসা ঢেউ। ভিজিয়ে গেছিল।
তোমরাও ছিলে সাক্ষী।

এ পাতা-ও পাতা। নিষিদ্ধ রাত।
চোরা নাম ঘেরা বিস্তার।

থামেনি কলম। যুবতী পৃষ্ঠা।
কালি মেখে পেল নিস্তার।

নিভে এলে স্বর। স্পর্শ খুঁজেছে।
না পেয়ে হারানো বস্তু।

আমি ও আমরা। স্তরীভূত পলি।
রয়ে যাওয়া টুকু দস্তুর।


ফসল

খরার সময় আর সব ভুলে গিয়ে সবাই কেবল জল নিয়ে হাহাকার করে
মাটির চিড় বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে দিগন্ত অব্দি,
তাও আকাশে চিড় ধরাতে পারে না।
পারে না খানিকটা মেঘ নিয়ে আসতে কান ধরে।
যখন দেশের এক প্রান্তে শুকোচ্ছে শিশুর পাঁজরের অস্থিমজ্জা,
দেনা শোধের ছলে তখন মেঘ ভাসিয়ে দিচ্ছে কোথাও ক্ষেতের পর ক্ষেত।
সেখানেও মানুষের মাথায় হাত,
সেখানেও শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
তবু পরের বছর চাষি চাষই করে,
অভিমান করে না
জানে পরিবেশ ভারসাম্য রাখতে শেখেনি


কবির মনেও খরা আসে
আসে অতিবৃষ্টিও
তখনও ফসল নষ্ট হয়।
সেরকম কোনো রাতে তারা হয়তো চিৎকার করে-
চিৎকার করে আরও রক্ত চেয়ে
সেদিন তারা নতুন কিছু আঁকতে চায়...


নিজের আকাশ

এই দুর্গের বাইরের বলয় অব্দি কোনো চিৎকার পৌঁছায় না
পৌঁছায় না প্রতিবাদও
তাই আমি শুনেও শুনি না কিছু
দেখেও দেখি না
একটু করে সরে যাওয়ার স্বস্তির পর
আর একটু করে সরে এসেছ তুমি
আমি তাকাইনি ডানদিক বাঁদিক
উপরে দেখেছি বিনা পরিশ্রমে।
এক আকাশ ক্ষুদ্রতা
তার নিচে এক পৃথিবী স্বাতন্ত্র্য
সেখানে সবাই আলাদা ভাবে দেখেছে সব
সেখানে সবাই চিৎকার করেছে সময়ে সময়ে
কিন্তু পৌঁছায়নি আওয়াজ।

আমি একের সাথে এক যোগ করে এগারো লিখেছি
পাশাপাশি যোগ। যোগফলে দুজন এক-এরই                                                                              
চরিত্র বজায় থেকেছে
সেই চরিত্র, যা সময় মতো বলতে শেখায়
সেই চরিত্র যা মন্দিরের সিঁড়িতে মাথা ঠুকে তৈরি হয় না
সেই চরিত্র, যা ভালোবাসার জন্য
নিজের চরিত্র হারায়নি কোনোদিন।



1 টি মন্তব্য: