চারানা আটানা
৩২) চৌতিরিশ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘সেই সময়’ উপন্যাসের ভূমিকায় লিখেছিলেন, এই কাহিনীর নায়ক হচ্ছে সময়। শুনে বেশ ভালো লেগেছিল। পরে ‘পূর্ব পশ্চিম’ বা ‘প্রথম আলো’ও সময়কে হিরো করেই উনি উপন্যাস ফেঁদেছিলেন। ‘প্রথম আলো’ পড়ার সময় অবশ্য আমরা ভেবেছিলেম, রবীন্দ্রনাথই হতে চলেছেন এর নায়ক। ও বাবা, কোত্থেকে ভরত-টরত এসে গেড়ে বসল, ফের সেই সময়ই হয়ে গেল স্টার।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘সেই সময়’ উপন্যাসের ভূমিকায় লিখেছিলেন, এই কাহিনীর নায়ক হচ্ছে সময়। শুনে বেশ ভালো লেগেছিল। পরে ‘পূর্ব পশ্চিম’ বা ‘প্রথম আলো’ও সময়কে হিরো করেই উনি উপন্যাস ফেঁদেছিলেন। ‘প্রথম আলো’ পড়ার সময় অবশ্য আমরা ভেবেছিলেম, রবীন্দ্রনাথই হতে চলেছেন এর নায়ক। ও বাবা, কোত্থেকে ভরত-টরত এসে গেড়ে বসল, ফের সেই সময়ই হয়ে গেল স্টার।
আমি তো আর সুনীলদা
নই। আমি টুকে লিখি। সুনীলদার দেখাদেখি আমিও রবি ঠাকুরকে নিয়ে টুকি (সুনীলদা যদিও
আমার বাবার চেয়েও বয়সে বড় ছিলেন, সবাই ‘সুনীলদা সুনীলদা’ বলছে
বলে আমিও বললাম), এই যেমন এখনই এগজাম্পল দেখতে পাবেন। তবে এটা তো উপন্যাস না, এটা হচ্ছে ‘চারানা আটানা’। আর এখানে যদিও মনে হতে পারে, এটা রবীন্দ্রনাথের গল্প, আসলে এর হিরো হচ্ছে
একটা নাম্বার। চৌতিরিশ।
আর রবীন্দ্রনাথ এর
প্রথম গল্পটাতে আছে, দ্বিতীয়টাতে নেই। নেই তো কী? চৌতিরিশ নিয়ে গল্প, থুড়ি, ‘চারানা আটানা’ লিখতে হলে সব সময় রবীন্দ্রনাথ লাগে নাকি?
যাগগে! যা বলছিলাম। প্রথম গল্পটার
নাম – চৌতিরিশ। দ্বিতীয় গল্পটার নামও – চৌতিরিশ। ‘চারানা আটানা’য় এ রকম হয়। এ রকম হয় বলেই
এর নাম ‘চারানা আটানা’।
প্রথম গল্প –
চৌতিরিশ
“ও ন’দিদি, ও সন্নোদিদি, তোমার নামে একখানা চিটি এয়েচে,” বলতে বলতে দাসী একখানা চিঠি গছিয়ে দিয়ে গেল। স্বর্ণকুমারী খামটা হাতে নিয়েই বুঝে গেলেন ভেতরে কী থাকতে পারে। খুলে দেখলেন, হ্যাঁ, একখানা পান্ডুলিপিই বটে।
“ও ন’দিদি, ও সন্নোদিদি, তোমার নামে একখানা চিটি এয়েচে,” বলতে বলতে দাসী একখানা চিঠি গছিয়ে দিয়ে গেল। স্বর্ণকুমারী খামটা হাতে নিয়েই বুঝে গেলেন ভেতরে কী থাকতে পারে। খুলে দেখলেন, হ্যাঁ, একখানা পান্ডুলিপিই বটে।
‘ভারতী’তে ছাপানোর জন্যে একখানা
কবিতা পাঠিয়েছেন একজন। ইনিয়ে বিনিয়ে সেকথা লেখা প্রথম পাতার
কভার লেটারে। ভেতরে গোটা গোটা করে হাতে
লেখা একটা পদ্য। হাতের লেখা বাচ্চাদের মতো। তবে সেটা ততটা নয়, বরং কবিতাটার নাম দেখেই ভুরু কুঁচকে গেল স্বর্ণকুমারীর – ‘সায়ার দড়ি’!
রবি এসেছে অনেকদিন
পরে, এখুনি বেরিয়ে যাবে, স্বর্ণ ডাক দিলেন, রবি, রবি –
ছোটভাই রবি হন্তদন্ত
হয়ে ছুটে এলো। স্বর্ণ বললেন, এই দ্যাখ রবি, লোকে ‘ভারতী’তে কী জিনিস ছাপানোর জন্যে
পাঠাচ্ছে। একবার পড়ে দ্যাখ।
রবি প্রচন্ড ছটফটে
স্বভাবের। লেখাটার ওপর দ্রুত চোখ বুলিয়েই বলল, বাজে কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দে। এসব
দেখানোর জন্যে আমাকে ডাকছিস কেন? আমি একটু বেরোচ্ছি, সন্ধ্যেবেলা কি তুই মেজদার
ওখানে আসছিস?
ন’দিদির উত্তরের
অপেক্ষা না করেই বেরিয়ে গেল সে।
কয়েকদিন পরে চারজন
প্রৌঢ়ের আবির্ভাব ‘ভারতী’ আপিসে। স্বর্ণকুমারী আপিসঘরে একা বসে, তাঁকে নমস্কার জানিয়ে আসন গ্রহণ করে তাদের একজন
বলল, “আজ্ঞে আমি একখানা কবিতা পাটিয়েচিলাম। সেই ব্যাপারে কতা বলার জন্যেই...”
যা সন্দেহ করছিলেন
স্বর্ণ, ঠিক তাই। ইনিই সেই ‘সায়ার দড়ি’র রচয়িতা। স্বর্ণকুমারী শান্তস্বরে বললেন,
“আমি দুঃখিত, আপনার কবিতা মনোনীত হয়নি। ঐ যে ওখানে রাখা আছে, আপনি চাইলে ফেরৎ নিয়ে
যেতে পারেন।”
কবির পাশ থেকে বাকি
তিন সহচরের একজন বলে উঠল, “কেন, মনোনীত হয়নি কেন?”
স্বর্ণকুমারী বললেন,
“আমরা সাধারণত সে সব কৈফিয়ৎ দিই না। আমাদের ভালো না লাগলে আমরা ফেরৎ দিয়ে
দি।”
-
কিন্তু ভালো লাগলো না কেন, সেটা তো জানাবেন!
-
না, সেটা জানাতে আমরা বাধ্য নই। ওটা কবিতা হয়নি।
-
কেন, কবিতা হয়নি কেন? কবিতা হয়নি তো কী হয়েছে? গদ্য?
-
না, ওটা কিছুই হয়নি। আপনি দয়া করে আর কথা বাড়াবেন না, ফেরৎ
নিতে চাইলে নিয়ে যান। না হলে আমরা ডাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেব।
-
ছাপাবেন না, বলবেনও না কেন ছাপাবেন না, এর মানে কী? আপনার
ভাই যে এত এত কবিতা লিখচে, সব তো ছাপান। সেগুলো কেন কবিতা, এটা কেন কবিতা নয়?
কথাবার্তা
উচ্চগ্রামে উঠে যাচ্ছিল, ভেতর থেকে আওয়াজ শুনে অযাচিতভাবে রবি বেরিয়ে এলো।
-
কী হয়েছে রে দিদি? এরা কারা?
আগন্তুক দলের এক
সদস্য, যে এতক্ষণ চুপচাপ ছিল, এবার মুখ খুললো।
-
এই তো রবিবাবু এসে গেছেন। দেখুন তো আমাদের এই কবিতাটা। দিদি
বলছেন এটা নাকি কবিতা হয়নি। আপনি কবি, আপনি ভালো বুঝবেন।
-
আমার দেখার দরকার নেই। উনি ‘ভারতী’র সম্পাদিকা, উনি যা বলবেন,
‘ভারতী’র ব্যাপারে তাই গ্রাহ্য হবে। উনি যদি বলেন, হয়নি, তাহলে
হয়নি। আমাকে দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।
-
এই হচ্চে আপনাদের জমিদারবাড়ির পব্লেম। পোগতিশীল
মা-মাটি-মানুষকে মানুষ বলেই গণ্য করেন না। আপনার বয়েস কত?
-
আমার বয়স চৌত্রিশ। কিন্তু তার সঙ্গে কবিতার কী সম্পর্ক?
-
চৌতিরিশ বচ্ছর ধরে যে কবিতা লিকচেন মশাই, কী এমন হাতিঘোড়া
করেচেন? এই তো গত বচোর আপনার লেখা বইটা পড়লাম, কী নাম যেন, হ্যাঁ, সোনার তরী।
সোনার তরী লিকলে কবিতা আর সায়ার দড়ি লিকলে কবিতা না?
-
না। আপনার ঐ লেখাটায় যে ভাষা ব্যবহার করেছেন – ছন্দ টন্দ
বাদই দিলাম – তা শিল্পসম্মত কবিতার ভাষা নয়।
-
বললেই হলো কবিতার ভাষা নয়! আর আপনারটা কীসের শিল্পসন্মতো
কোবতের ভাষা? এই যে লিকেচেন, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা – এর মানে কী মশাই? ক্ষুর
কী করে ধরে আপনি জানেন? জীবনে ধরেচেন ক্ষুর? ভরা নদী আবার ক্ষুর ধরে কী করে? আর
খরপরশা মানে কী? মা-মাটি-মানুষ এসব খটোমটো ভাষা বোঝে?
-
ওই তো বললাম, দেমাগ। দেমাগে আপনাদের মতো এলিটদের মাটিতে পা পড়ে না। লিকেচেন, কাটিতে কাটিতে ধান এলো বরষা। ধান কাটতে কাটতে
বর্ষা আসে নাকি? বর্ষা পেরিয়ে গেলে তবে ধান কাটা হয়, সে খবর রাকেন? জীবনে তো ওসব করে খেতে হয়
নি, জানবেন কী করে? সারাজীবন পায়ের ওপর পা তুলে বসে খেয়ে গেলেন। আমাদের ওকেনে
আসবেন, কী করে ধান কাটতে হয়, কী করে খড় আর ধান সেপারেট করতে হয়, কী করে আঁটি
বাঁধতে হয়, সব শিকিয়ে দোবো। আঁটি বেঁধেছেন কখনো?
-
না, আর তা নিয়ে আপনার সাথে আলোচনাও করতে চাই না, আপনারা
আসুন এবার।
-
যাবো তো, কারণটা তো বলচেন না। এই যে আপনি লিকেচেন, যত চাও
তত লও তরণী ‘পরে। আমার সায়ার দড়িতে আমি তরণীর বদলে ধরণী লিকেচি, অসুবিদে কী?
-
তরণী আর ধরণী এক হলো?
-
আরে, এক হোক না হোক, আমার ইচ্ছে আমি বসিয়েছি। আপনি যে
লিকেচেন, দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে, আমি সে রকম লিকেচি, সিদু কানু বাঁশ খেলো,
খেলো না ডহরে। পার্থক্য কীসের?
-
সে আমি শেখাতে পারব না।
-
আপনাকে শেখাতে হবে না। চৌতিরিশ বচ্ছর ধরে যা করেচেন তা
দেকেই তো শিকলাম মশাই।
-
কী শিখলেন?
-
যা করেছেন এই চৌতিরিশ বচ্ছর ধরে। ঐ যে ভানুসিঙ্গির পদাবলি, ও তো আমাদের গোঁসাইয়ের মাল ঝাড়া।
পোভাতসঙ্গীত, শৈশবসঙ্গীত, সোন্ধাসঙ্গীত – সব আপনি লালন থেকে টোকেন নি? কতা ও
কাহিনি, করিও কোমল, মানসী – ওগুলো কবিতা আর আমাদেরগুলো কি বানের জলে ভেসে এসেচে?
সাধারণ মানুষের সায়ার দড়িই বেশি কাজে লাগে, আপনার ঐ সোনার তরী কোনো কাজের না, সোনা
আচে কটা মানুষের? ভাষা শেকাচ্চে! তরুছায়ামসীমাখা সাধারণ লোকে বোঝে? শিল্পসম্মত না
হাতি। যে শিল্প মা-মাটি-মানুষের কাজে লাগে না তার ভ্যালু কী? চৌতিরিশ বচ্ছর ধরে
জোচ্চুরি করে করে-
রবি এবার প্রচন্ড রেগে গেল। তার ডন বৈঠক করা
পেটানো চেহারা, ছোটবেলায় সেজদা নিয়মিত পালোয়ানদের সঙ্গে তাদের ভিড়িয়ে দিত। এইসব
আধবুড়ো প্যাংলা অশিক্ষিত লোক তার সামনে গলা তুলে আজেবাজে বকে যাবে, সে কতক্ষণ সহ্য
করবে? কিন্তু এ বাড়ির শিক্ষা অন্য। দাঁতে দাঁত চেপে সে এবার বলল, আপনারা প্লিজ
আপনাদের লেখা নিয়ে কেটে পড়ুন তো!
লোকগুলো দেখলো বিশেষ সুবিধে হচ্ছে না। রবির থেকে
চোখ সরিয়ে স্বর্ণকুমারীকে বলল, তাহলে আপনি ছাপাবেন না? তো দিদি, এটা ফেরৎ নিয়েই বা
আমরা কী করব? একটা সাজেশন তো দিন।
স্বর্ণকুমারী বললেন, দিদি বলছেন বলেই বলছি,
দিদির কথা যদি নিতান্তই শুনতে চান তো এক কাজ করুন। মোড়ের তেলেভাজার দোকানে
পান্ডুলিপিটা দিয়ে দিন, ওরা ওতে করে চপ-পেঁয়াজি সার্ভ করবে। তেলেভাজা শিল্পের
উন্নতিতে কাজে লেগে যাবে। দেশের উন্নয়ন হবে। মা-মাটি-মানুষের...
(বিঃ দ্রঃ – সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কারো সঙ্গে কোনো দূর
সম্পর্কের সম্বন্ধ বেরিয়ে গেলে জানবেন সেটা নেহাৎই কাকতালীয় ও অপপ্রচার। গুজবে কান
দেবেন না।)
দ্বিতীয় গল্প – চৌতিরিশ
এ রাজ্যে মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপক প্রসার হওয়ায় প্রতিবেশী রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শিখতে এলেন, কী করে এমনটা সম্ভব হলো। পাশের রাজ্যেও মেয়েদের লেখাপড়ার জন্যে প্রচুর চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে ওখানে কেন হচ্ছে না? চ্যালাচামুন্ডা নিয়ে এ রাজ্যের গ্রামের এক বাড়িতে এসে দেখলেন, তার দেয়ালে হেলান দেওয়া কন্যাশ্রীর সাইকেল। তার কানে কানে চ্যালাদের একজন বলল, ইয়ে হ্যায় য়ো ম্যাজিক ওয়ান্ড। দিস হ্যাজ চেঞ্জড এভ্রিথিং। দিস ইজ দ্য রিজন বিহাইন্ড নাইন্টি নাইন পার্সেন্ট গার্লস্টুডেন্টস পাসিং অল এগজ্যামস।
এ রাজ্যে মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপক প্রসার হওয়ায় প্রতিবেশী রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শিখতে এলেন, কী করে এমনটা সম্ভব হলো। পাশের রাজ্যেও মেয়েদের লেখাপড়ার জন্যে প্রচুর চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে ওখানে কেন হচ্ছে না? চ্যালাচামুন্ডা নিয়ে এ রাজ্যের গ্রামের এক বাড়িতে এসে দেখলেন, তার দেয়ালে হেলান দেওয়া কন্যাশ্রীর সাইকেল। তার কানে কানে চ্যালাদের একজন বলল, ইয়ে হ্যায় য়ো ম্যাজিক ওয়ান্ড। দিস হ্যাজ চেঞ্জড এভ্রিথিং। দিস ইজ দ্য রিজন বিহাইন্ড নাইন্টি নাইন পার্সেন্ট গার্লস্টুডেন্টস পাসিং অল এগজ্যামস।
শিক্ষামন্ত্রী অবাক হয়ে ঘরে ঢুকে একটা মেয়েকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, হাই ডিয়ার, তুমি কী করো?
মেয়েটা বলল, আমি পড়ি, বর্তন মাজি।
মন্ত্রীর কানে গেল, আমি পরিবর্তন মাজী। চমৎকৃত হয়ে গেলেন। কাজের কাজ যাইহোক, এদের মার্কেটিং তো চমৎকার, কেমন সুন্দর শিখিয়ে রেখেছে। কিন্তু তিনি এতে ভুলবেন না। নিজে মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি একটা হাইস্কুলে অঙ্কের শিক্ষিকা ছিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, তুমি অঙ্ক কষো? জানো, রিয়েল নাম্বার কাকে বলে?
মেয়েটা হ্যাঁ সূচক ঘাড় নাড়ালো।
- একটা রিয়েল নাম্বার বলো তো!
- চৌতিরিশ।
- বেশ। হোল নাম্বার জানো?
- হ্যাঁ।
- উদাহরণ দাও।
- চৌতিরিশ।
- এটাও চৌতিরিশ! বেশ। ইভন-অড নাম্বার জানো?
- হ্যাঁ।
- এগজাম্পল দাও ইভনের।
- চৌতিরিশ।
- বাহ। অড নাম্বার বলো একটা।
- চৌতিরিশ।
- ইভন চৌতিরিশ, অডও চৌতিরিশ? কেয়াবাৎ! প্রাইম নাম্বার জানো?
- হ্যাঁ।
- উদাহরণ?
- চৌতিরিশ।
- সে কী! আচ্ছা, থ্রি-এর টেবল বলো তো! থ্রি ওয়ান্স আর থ্রি, থ্রি টুজ আর?
- চৌতিরিশ।
- সব চৌতিরিশ! তোমাকে অঙ্ক কে শেখায়?
- দিদি।
- বাংলা?
- দিদি। সব দিদি শেখায়।
- সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাও?
- হ্যাঁ।
- কেন?
- ইস্কুলে মিড্ডেমিল দেয়।
- কোশ্চেন-আন্সার শেখায় না স্কুলে?
- হ্যাঁ।
- কীরকম?
- বলে দিয়েছে, কোনো কোশ্চেনের উত্তর না জানলে চৌতিরিশ বলে দিলেই পাশ।
- তাই?
- হ্যাঁ। শুধু আমাকে না, সব্বাইকে। বিশ্বাস না হয়, কাউকে কিচ্ছু জিজ্ঞেস করুন, দেখুন ওরাও বলবে।
(বিঃ দ্রঃ – না, মিলিয়ে দেখতে গিয়ে যদি এই রকমই
রেসপন্স পান, ভাববেন না আমি শিখিয়ে দিয়েছি। মাইরি, মা কালীর দিব্যি, আমি শেখাই নি। শেখাবো কী, আমি তো নিজেই শিখছি! সুনীলদার কথা দিয়ে শুরু
করেছিলাম, উনিও লিখেছিলেন, তেত্তিরিশ না চৌতিরিশ কত বচ্ছর যেন কাটলো, কেউ
কথা রাখে নি!)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন