বৃষ্টির কলকাতা
(১)
ট্যাক্সির জানালা
জা্নালার কাচ
চোখের কোল
ভিজছে।
ভিজেছে পড়া না
পারা ক্লাস থ্রি
আর নতুন প্রেমে
পড়া ক্লাস নাইন বুঝেছে যে
ভিজে যাওয়া ছাড়া
প্রেমের আর কোনো মানে নেই।
(২)
বৃষ্টি হয়ে গেলে
পরে রাস্তার কাছে বসে থাকলে,
ধুলোবালির কথা
কানে আসে।
ওদের ঘর গোছানোর
কথা, অভাবের কথা, বালির নালিশ, ধুলোর হিসেব
যারা রাখে, তারা
এসব ভালোই জানে,
আর যারা এই বিষয়ে
কিছুই জানে না তারা কোনোদিন বৃষ্টিকে ভালোবাসেনি।
(৩)
কলকাতাকে বৃষ্টির
শহর নাম দিয়ে ছেড়ে চলে যাওয়া
ভিক্টোরিয়ার পরীর
পক্ষে সম্ভব নয় বলেই
আজও বৃষ্টি হলে
এ শহর দেখে
ময়দানে ভিজতে থাকা,
ময়দানের
একা একা ভিজতে
থাকা।
প্রিয়, বান্ধবী...
প্রিয় বান্ধবী সেই না লিখতে পারা কবিতার নাম
যা খুব প্রাত্যহিক কিন্তু অধরা
যেমন গাছের মগডালে বসে কুহু-কুহু করা ডাকপিওন
যাদের আমরা কোকিলপাখি বলে চিনি।
ঠিক মতোন চেনা যায় না বলে আয়না যাকে চেনায়,
তার ডাকনাম দিই ‘আমি’
মন যাকে চেনায় তার ভালো নাম বান্ধবী
বিশাল একটা বটগাছ ডালপালা মেলে রাখা বটগাছ
যদি বাবা হয়
বান্ধবী তাহলে সেই ঝুরিগুলো, সেই শুকিয়ে যাওয়া স্ক্রিন-শটগুলো,
সেই ফুরিয়ে যাওয়া নন্দনগন্ধমাখা
গোল্ডফ্লেকগুলো
যারা কোনোদিন তোমার নামে, আমার কাছে
নালিশ করবে না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন