সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত

যাঁরা

যাঁরা একটুতে রেগে যান
তাঁদের জন্য পাত পেতেছি
ভাত বেড়েছি-
বেশি করে ভাত খান।

যাঁরা নিক্তি মেপে দেখছেন
কতটা আছে সম্মান
তাঁদের বলি
খুলুন চোখের ঠুলি
ছুঁড়ে ফেলুন ভণ্ডামি আর ভান।

কেউ কাড়তে পারে না কিছু
নিজেই বয়ে চলা নিজেকে নিয়ত।


বিষাদ সঙ্গীত

যে ছবিটা এঁকেছে শিল্পী তাতে এক নারী তার মুখটা বাঘিনী,
শরীরটা বোঝা যাছে আবছা দাঁড়িয়ে আছে একটা সেতুর ওপর,
সেতুতে ছড়ানো চপ্পল,
সাইরেন বাজিয়ে
ঠিক তখনই গ্যালারির বাইরে দিয়ে চলে গেল অ্যাম্বুল্যান্স।

আমি নারীর পা খুঁজলাম দেখা গেল না,
আমি নারীর শরীর খুঁজলাম একটা ছায়ার মতো
নগ্ন শরীর একটা সুতোয় বাঁধা জঠর উঠেছে আকাশে,
ভাসছে বেলুন এক, শিশু শুয়ে গর্ভে পরম নিশ্চিন্ত।

কীভাবে এ নারী শিশুকে বাঁচাবে, কীভাবে ফিরবে নিরাপদে,
একটা রক্তের রেখাও দেখলাম অনেক পরে - শিল্পী এঁকেছে,
ছিন্ন দুটো পায়ে গিয়ে মিশেছে,
ফিরবে কীভাবে নারী আর তার গর্ভস্থ।

চিৎকার করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকলাম,
স্বেচ্ছাসেবকদের ডাকলাম,
পরবর্তীতে দেখছি আমি অ্যাসাইলামে।


বিষফল

অনাগ্রহে পড়ে থাকা দেবতার মতো এ দেউলে বেড়ে উঠছে  
যে দেবশিশু তার জন্য চিন্তা কোরো না, তোমাদের দেখেই
সে শিখবে ভালোমন্দ স্ফোটনকালে গোলাপের মতো তার
গন্ধে প্রধান সড়ক থেকে গ্রাম পথে ছুটে আসবে ভবিতব্যের
কনভয় - যেমন ফুলের দিকে ছুটে যায় পতঙ্গ বসে পাপড়িতে।

যতই আঘাত করছ তুমি অন্যকে মানুষ বিচার ঠিকই হয়-
কেউ পার পাবে না কালচক্র চোখ বুঝে ভাবছ জগত অন্ধ,
কিন্তু জেনে রাখ সূর্যকে কদাচিৎ ঢাকে গ্রহণের কালি
সময়ে অস্তিত্বের সঙ্কট বানালে তার জন্য আর কেউ নয়-
নিজেকেই দায়ী করতে শেখ হে দুর্বিনীত  বিষগাছে বিষফলই ধরে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন