ঠাকুমার সঙ্গে ঝমঝম খেলা
উত্তরপাড়ার বাড়িতে বুড়ি ঠাকুমা
ঘুরে বেড়াতেন খালি গায়ে কোমরে একটা গামছা
ওই ভাবেই গঙ্গায় চান করতে যেতেন
কত বয়সে লজ্জাবোধ চলে যায়
ঠাকুমার বয়স তখন পঁচাশি ছুঁইছুঁই
ঠাকুমা পঁচানব্বুই বছর বয়সে মারা যান
ছোটবেলায় উত্তরপাড়ায় গেলে
ঠাকুমার বুকের ওপরে বসে মাইয়ের বোঁটা দুটো
একটার সঙ্গে আরেকটা জুড়ে ছেড়ে দিতুম আর বলতুম
ঝমমমমমমমমমমমমমম
ঠাকুমা বলতেন যখন বে'থা করবি তখন নিজের
বউয়ের মাই নিয়ে ঝমঝম খেলিস
বুঝলি তোর দাদুর অনেক গর্ব ছিল আমার মাই নিয়ে
ঠাকুমা তো নেই নয়তো বলতুম
আমারও বুড়ি বউয়ের জন্য গর্ব আছে ঠাকুমা
আমি বিষাদে ভুগি না
আমাদের ইমলিতলার বাড়িতে
কেউই বিষাদে ভুগতো না
মেজদা, যাকে বড়জেঠা এক বেশ্যার কাছ থেকে
দেড়শো টাকায় কিনেছিলেন
তা জানতে পারার পরও কোনোদিন বিষাদে ভোগেনি
জেঠিমার সঙ্গে মেজদা তুইতোকারি করলেও
জেঠিমা বিষাদে ভোগেননি
বিষাদ কাকে বলে বাড়ির কেউই জানতুম না
আসলে আমাদের তো মধ্যবিত্ত পরিবার
বলতে যা বোঝায় তা ছিল না
গুয়ের নর্দমা থেকে লাট্টু কুড়িয়ে খেলেছি
কই নোংরা মনে হয়নি তো
বকুনি খেয়ে আবার পরের দিন একই কাজ করেছি
যৌবনেও বারণ শুনিনি
বারণ-করা
কাজ বার-বার করেছি
কিন্তু বিষাদে ভুগিনি
সত্যি বলতে কি একাকীত্বে ভুগি বটে বুড়ো বয়সে
নিঃসঙ্গতায় ভুগে সিঙ্গল মল্ট খাই
কিন্তু কখনও বিষাদে আক্রান্ত হই না
আমার জন্মদিন নেই
আমাদের ইমলিতলার বাড়িতে কারোর জন্মদিন
পালন করা হতো না
জেঠা বাবা জেঠিমা মা কারোর জন্মদিন ছিল না
আমার তাই কোনো জন্মদিন নেই
বাড়ির কারোরই জন্মদিন ছিল না
মায়েরা কাকে কবে প্রসব করেছেন তার তিথির হিসেব ছিল
যে জন্মাচ্ছে তার তো কোনো অবদান নেই জন্মানোয়
যে পেটে ধরে রাখল এত মাস
যে কষ্ট সহ্য করলো এত সকাল দুপুর সন্ধ্যা
তারই তো অবদান
ঠাকুমা কবে জেঠা আর বাবাকে প্রসব করেছিলেন
তার তিথি ঠাকুমা জানেন
প্রসবদিন পালনের তো কোনো রেওয়াজ নেই
তাই মা আমাকে কোন তিথিতে প্রসব করেছিলেন জানি
মায়ের কষ্টের গল্প জানি
হাসপাতালে ভর্তির গল্প জানি
কিন্তু আমার জন্মদিন জানি না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন