স্বগতোক্তি
নিবিড় চেয়ে থাকা
পাতার ফাঁকে রোদ
যেমন
তেমনি দিক ঠিক রেখে
নৃত্য প্রহরায়।
অসময় আয়োজন সবটা
বেকার নয় ভেবে
মশারির লাজুক সুতো
অনর্গল কথা মেলে ধরে।
রঙধনু আঁকা পাত্রে
সান্ধ্যমায়া ফেরি করে যায় আগন্তুক।
অজানাকাল চুপ আছে
ফুলকুড়ানো ভোর
করমর্দনে সহজ হতে হয়
ঝড়কে থামাতে হয় ঝড়
দিয়ে।
চেয়ে থাকো বিস্মিত
নিবিড়
কতক মানুষ চাঁদ
ছুঁয়েই উদ্দেশ্যহীন।
নগ্ন হাসি
ছায়ার নিগড়ে দিশেহীন
পতঙ্গ
তারাবাজির শব্দকে
উপেক্ষা করে।
না করে পারে না।
অখণ্ড হাসি কলহ মুছে
দেয়;
অব্যর্থ, দ্রুতগামী
বিমানের চেয়ে।
হাসি নগ্ন, ছুঁতে পাই তাকে অলীক
কণ্ঠস্বরে।
মৃত্যুসংবাদ হূল
ফোটানোর পর
লৌহঠোঁটে ঘন্টা
বাজায় পুনরায়।
বাউল উৎসব ঘিরে
অর্ঘুম রাত
কেমন ব্যথানাশক হয়ে
ছড়িয়ে পড়ে
বটগাছ জানে।
বাতাসের শিষ না বুঝে
কিছুই বুঝে নেয় সবটুক।
ধর্মান্ধ
সাঁতারকে পাপ মনে
করে
জড়সড় পড়ে আছো রুগ্ন মাছ।
মুখস্ত প্রার্থনায়
মেদ জমে গেছে আত্মায়।
অথচ আত্মাই ক্ষমতা
রাখে
ধ্বংসস্তূপ থেকে
তুলে নিতে,
বিশুদ্ধ উচ্চতার
সঙ্গে ভেঙ্গে দিতে সীমিত পরিচয়।
প্রাত্যহিক খেলায়
ধর্মান্ধতা মেশায় যে মানুষ
যাপনের কাছে সে
অবৈধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন