অন্তঃস্থলী কথা
ছিঁড়ছ গড়ছ আমাদের ন্যাতানো, তালিমারা চরিত্রগুলি?
তোমাদের পলাশঠোঁট লিপির কারুকার্য ঘন হলে
উভয় পোশাকের মাঝেই
কিন্তু প্রতিক্রিয়া ধরা থাকে
নারীর হাতের ক্রিয়ান্বয়ন, বোতাম টিপলে থেমে যায়।
নির্বিশেষ চিন্তাগুলি বিশ্লেষণ করতে গেলে
চরিত্রগুলি ছিঁড়ে পড়তে
পারে।
মুঠোয় সাপটে ধরা থাকে, তাই বুঝি বাস্তবতা,
মূলত ধর্ষকাম, গ্লানি তো পরের কথা--
উৎস মুখ বারবার ধুয়ে নেয় কামনা রন্ধ্র।
মুছে নিচ্ছ মন জলের মতো কলকল
বয়ে যাচ্ছে সে শারীরিক অন্তঃস্থলী কথা
যেখানে পরিচ্ছদ মেলে
রাখা,
আমাদের ধুয়ে মেলে গুছিয়ে নেওয়া
একটা নাটকের মতো জলপ্রপাত।
প্রেমসন্ধি থেকে গেঁজে ওঠা মন--
কোথাও তো নিয়ম শৃঙ্খল ভেঙে ভেঙে জুড়তে থাকে
যদিও আশপাশ ঘিরে থাকে অযাচিত ভুঁইফোঁড়।
আগামী সংখ্যা
মনের বয়সটার মাপাজোপ নেই--
দৌড়ে পেরিয়ে এলাম যেটুকু পথ
সেটুকুরও হিসাব নেই।
অযথা কথাগুলির মাপমাত্রা নেই--
সেখানে পর্যুদস্ত বাকযুদ্ধ
অনেকখানি মনের অপচয় হয়ে গেছে বুঝি!
নিজেকে জাগিয়ে রাখার কতটা
প্রাপ্তি ছিল?
সে বেহিসাবি সময় গোনা, তাও তো বৃথা।
আপাত আনন্দটুকু বুঝি রাত্রি জাগা
হয়ে রোল--
ফসলের ম্লান শরীর বিবর্ণ ছত্রাকার--
ক্রিয়াহীন ভাবনাগুলির কি মূল্য
রাখা আছে?
বস্তুত সে ছাপ মুছে যায় আগামী
সংখ্যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন