টপ ডগ
“সো ইউ আর দি টপ ডগ”, বলেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার
তখন তো জানতুম না কাকে বলে ‘টপ ডগ’
তাই শুনে
কুকুরের তো কান লাল হয় না
আমার হয়েছিল
তখন তো ফ্যা ফ্যা করছি কলকাতার পথে-পথে
হাগা পেলে হাগছি গিয়ে শেয়ালদার দূরপাল্লার ট্রেনে
কার বাড়ি গিয়ে অভিধান দেখি
বলতেও পারছি না কাউকে যে কলকাতার পুলিশ কমিশনার কিনা
শেষে
আমাকে বলেছেন ‘টপ ডগ’
আনডারডগ জানতুম
জানতুম লেট স্লিপিং ডগস লাই
কাকে বলে ডগ-চিপ
ডগ লেগেড
ক্যাথলিক ইশকুলে পড়েও শুনিনি কখনও
‘টপ ডগ’
শুনেছি ডগ-স্লিপ যা এখন বুড়ো বয়সে ঘুমের ট্যাবলেট ছাড়া
ভুগি
ডগফাইটও জানতুম যা পত্রপত্রিকায় কবিদের দল
লড়ে-লড়ে খেঁকিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে
কিন্তু ‘টপ ডগ’ শুনিনি তো আগে
আদালতে উকিলকে বললুম কলকাতার পুলিশ কমিশনার
কালকে আমাকে ‘টপ ডগ’ খেতাব দিয়েছেন
উকিল শুনেই কাঁচুমাচু
বললেন তাহলে তোমাকেই লড়ে যেতে হবে
পারবে তো একা লড়ে যেতে
মনে থাকে যেন
একেবারে একা
বললুম পারবো না কেন
আমি তো মিসফিট আমি তো গোলমালকারী
সবকিছু দেখি ভিন্নচোখে
সবকিছু দেখি ভিন্নচোখে
স্হিতাবস্হা ভাঙচুর করতে এসেছি
পর্নোগ্রাফির জাদুবাস্তব জগতে
লাকাঁর গেজ ফুকোর গেজ থেকে আলাদা বুঝলেন কিনা
ফুকোর গেজ দ্যাখে নজর রাখে ছন্দরানির বাড়ির মাসি
অবিনাশ কোবরেজ রাস্তায় দাঁতকেলানে ভেড়ু্যারা
ছেঁকে ধরে জানতে চায়
স্যার বড় ছ্যাঁদা চাই না ছোট ছ্যাঁদা
যতোই বলি না কেন ভালোবাসা চাই ভালোবাসতে চাই
স্যার বাংলা বাংলাদেশি পাঞ্জাবি নেপালি যা
চাই পাবেন ধবধবে ফর্সা হিন্দু মুসলমান
এয়ার কাণ্ডিশান ঘর
পাবেন মখমলের বিছানা বেলিফুলের খোঁপা চোখে আইলাইনার ঠোঁটে ল্যাকমে
পাবেন মখমলের বিছানা বেলিফুলের খোঁপা চোখে আইলাইনার ঠোঁটে ল্যাকমে
নাঃ তার চেয়ে লাকাঁর গেজই ভালো
দ্যাখায় আয়নার মতন
যে ঘড়ি ঢংঢংঢং করবে রাত তিনটেতে সে তো জানবে
না রাত কতো
সে তো জানবে না সময়ের মানে
আমি ভালোবাসা চাই ভালোবাসতে চাই ফুকো হোক বা
লাকাঁ
ছ্যাঁদা বড় হোক বা ছোট
চাই জাদুবাস্তব জগতের ১০০০ বছরের টানা সঙ্গম
যে ভালোবাসা চলবে চলতেই থাকবে চলতেই থাকবে
চলতেই থাকবে চলবে
দুজনের কারোর আঠা ফুরোবে না কখনও
চলো নিয়ে চলো সেরকম একজনের রসালো রঙিন
অন্ধকারে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন