নাশতার টেবিলে
চীনে মূলোর মতো একজোড়া হাত
তার নিচে বিষণ্ণ প্রভাত
ছড়ানো মার্বেলের টেবিলে।
ওরা দু’জন মিলে
কফির কাপ থেকে তুলে
আনে আরো একটি দিন, ভুলে
যাওয়া সেইসব পুরনো গল্পের বহর
থেকে দু’একটি নষ্ট শহর
এনে ওমলেটের পাশে রাখতে রাখতে
মেয়েটি আঁকতে
শুরু করে তামাটে সন্ধ্যা, ভয়ার্ত রাত,
হিংস্র শ্বাপদের ধারালো দাঁত...
তখনো সকাল, স্বপ্নতাড়িত কৈশোরের মতো চমকায়।
জামা
জামার ভেতরে তার দেখো
উঠা-নামা
সে আমার কেউ নয়, সে আমার
জামা
বোতামের প্রেম দিয়ে তারে ধরে
রাখি
বোতাম খুলেই তারে ফিরে ফিরে
ডাকি
সে
কী এক রাতজাগা রসের ইতর?
সারা
রাত সে ছিল জামার ভিতর
সে
আমার ঘাম হয়ে গলে গলে পড়ে
আদরে
শুকায় সে জামার ভিতরে।
পায়ের নিচে ক্রিস্পি শীত
কাল সন্ধ্যায় সিডনি এসেছিল। অপেরা হাউস খুলে দেখিয়েছে গনগনে ফায়ার প্লেস
ক্যাঙ্গারুর থলে খুলে
বলেছিল, এই শীতে ওম পাবে
আমি তো লন্ডনকেও
প্রত্যাখ্যান করেছি গত শীতে
দুনিয়া-ছাঁকা অ্যামেরাল্ডসুদ্ধ দিতে
চেয়েছিল বাকিংহাম প্যালেস এবং
শীতপোহানো ওয়েস্ট মিনিস্টার, ঘুঘু ডাকা বসন্তে
নিইনি আইফেল টাওয়ারও
গ্রীস্মের দুপুরে, সাজেলিজের হাঁটাগুলো ব্যাকপ্যাকে তুলে রেখেছি শুধু আয়ুবাওয়া মাঝ নদীতে একদিন পড়ব ওদের
বার্লিনের যৌবন তছনছ করেছি
হিটলারের আগেই
আমার হাতেও হ্যামলকের
পেয়ালা ছিল আক্রোপোলিসের বারান্দায়
প্রত্যাখ্যানের শোকে
পাতাঝাঁঝি হয়ে ফুটে রইল ভেনাস, এথেন্সকে দুঃখ দিতে চাইনি বলে অড্রিয়াটিকের জলে
উগড়ে দিয়েছি সব নীল
পায়ের নিচে ক্রিস্পি শীত,
শোকের এলিজি গায় নিউইয়র্ক শুক্রবার রাতে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন