বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

প্রণব বসুরায়

কে তবে শ্যাম সমান

তোমার বাড়ির আলো যেন আর এদিকে না আসে
আলো রঞ্জন-রশ্মি ছড়ায় - খুবই ক্ষতির
এতদিন সয়েছি সে সব, আশা ছিল চিদাকাশে
অলোকাপুরীর নাচ-গান হবে, এখানে এইখানে
সারেঙ্গী বাদক সেই কখন এসেছে...

কিছুই ঘটেনি সে সব- 
মৃতের হাড় আড়ালে রেখে
মাঝে মাঝে ছায়া গেছে বারান্দা মাড়িয়ে, আবছায়
সে ভ্রমেই সুখ কালাতিপাত; মূর্খের পাঁচালি-
কেউ তা মান্য করে নি

প্রেতযোনি চলে যায়, চলে যায় 
ভূলোক, দ্যুলোকে
জমে থাকা ট্রামের ঘন্টি, লাশ পোড়ার গন্ধ  
বেশ্যার খোঁপা থেকে খসে যাওয়া ফুলের পাপড়ি
অনায়াসে ঢুকে যায় জ্বলন গুহায়

কে তবে শ্যাম সমান!


যাপন চিত্র

যাপনের পোশাকগুলি মালিন্য পায়, যদি তার
যত্নে ত্রুটি থাকে তাই তার ধুলো ঝাড়ি, ভাঁজ খুলে
রোদ্দুরে দিই। আবার সাজিয়ে রাখি যেখানে রাখার

তাও বুঝি লুকোনোই থেকে যায় ছোট্ট রুমাল
যাতে কিছু দাগ ও পারসি সুবাস
মোড়া থাকে, সেই ঘ্রাণে তীব্র হর্ষের লেস!

এ রকম যাপনও মনোযোগ দাবী করে


যাপন চিত্র

কিছুতেই বাধ্য থাকি না আর, কেননা জেনেছি
সব কিছু ঘটে যায় অন্য নিয়মে, যেভাবে
কাপের নিচে পিরিচ থাকবেই। শীতের সকালে
কে আর নদী সাঁতরায় বলো? নিরাপত্তা
খুবই জরুরী সেইমতো পায়ে পায়ে হাঁটা।

আমি দেখ দূরেই রয়েছি, কেউ তবু 
ভাবতেই পারে অবিশ্বাসের ওভারকোট
কাঙ্ক্ষিত উষ্ণতা এনে দেবে! হাসি পায়,
অন্দরে বধির হলে সব গান ব্যর্থ হয়ে যায়




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন