কাটিয়ে যাওয়া
ছুঁয়ে গিয়ে যাবতীয় লোভ আর আদিম সড়ক,
যেভাবে বাঁচা যায় ততোটুকু ভালো;
জীবন যেভাবে আসে ততোটুকু ভালো।
সবকিছু পাবে না তুমি,
থেকে যাবে অধরা অনেক,
যতটুকু থাকে ততোটুকু ভালো,
তোমারই নিজস্ব।
প্রতিদিন খসে যাবে অজস্র উজ্জ্বল তারা,
জ্বলবে ততোধিক-
আজন্ম লালিত সংস্কার ছুঁয়ে থেকে যাবে
কোনো কো্নো ভালোমন্দ আর
পাপপুণ্যের নির্দিষ্ট উপাখ্যান মালা।
কে তোমাকে পরাল মালা,
কার হাতে জমা আছে প্রদেয় পুষ্পস্তবক,
কেন ভাবো তা?
পরিশেষে একটাই থাকে-
দিনগুলো মাথা তুলে কাটিয়ে যাওয়া।
খেজুর বাগান
এই আমাদের মূল্যবান দিনমান
শূন্য দিগন্তে স্তব্ধ লৌহরেখা
চকিত প্লাবন নকশালি আন্দোলন
পলায়ন আর বাউলের অট্টহাসি
ধানক্ষেতে জমে থাকা সেই সব দিন
অজস্র বিচ্ছিন্ন মুকুলেরা ঝরে পড়ে
বৃন্তের প্রতিষ্ঠা থেকে ঝরে পড়ে রাতদিন
তারপর পণ্যায়ন পুঁজির সহজ গতি
ঋণের সাম্রাজ্য নিয়ে বসে থাকা চলা ফেরা
মরুভূমির খোঁয়ারি লেগে থাকে
বালিতে জেগে ওঠে খেজুর বাগান
আমাদের মূল্যবান একবগগা আহ্নিক গতি
চাঁদ ডুবে যাবার
গল্পটা
থাকুক কিছুটা সংগোপন –
আড়াল; চাঁদ
ডুবে যাবার গল্পটা বলি আগে-
তারপর যা হবার হোক,
কলঙ্ক গায়ে মেখে তোকে নিয়েই যাব দূরে;
আসলে চাঁদ তো ডোবে না -
হতাশাগুলো মেঘ হয়ে ঘিরে ফেলে, লম্বা
সফরে অতি দ্রুত হয় দিন
প্রলম্বিত রাত অথবা বিপরীত।
জীর্ণ ধানক্ষেতের পাশেই
রেললাইন ক্রমশ ওঠে সেতুতে - আমরা আলগা
আলগা দেখি সব কিছু -
ঢুকি না গভীরে - কারও মৃত্যু হলে সে স্থান ত্যাগ
করি দ্রুততায় - যেন আর
কিছু করার থাকে না - সব কিছু আমাদের কামরার
পাশের ধানক্ষেত জলাভূমি
আর কিছু ধ্যানী বকের মতো - শুধু দেখা আর দেখা।
ফাঁক ফোঁকর দিয়ে যেটুকু
উপচে পড়ে দান ধ্যান, সেগুলো কব্জা করার
বড় প্রতিযোগিতা - এসমস্ত
রসাতলের গল্পও শোনাবো তোকে - তারপর
যাব দূরে সবকিছু
ছেড়েছুড়ে - যদি চাস - নয়তো এভাবেও থাকা যায়-
যেভাবে ইচ্ছে তোর - আমার
শুধু মনে পড়ে সেই সব গোপন শীতের দুপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন