আগুন
এখন আগুন আগুন খেলছি দুজন বিশ্বজোড়া ফাঁদে
জলে পা ডোবালেও রাস্তা তবু মেঘের দেখাই নেই
দিনে চাঁদের টানে জোয়ার আসে উপত্যকা জুড়ে
তুমি ভাবতে থাকো তোমায় ছেড়ে পালাল সেই দিন
কেউ শোবার ঘরে গুমরে ওঠে পর্দা টেনে কাঁদে
বুকে হাত রেখেছ নিজের ভেবে, দোষটা শুধু এই?
বল আর কী পেলে সেদিন তুমি ঝর্ণাধারা খুঁড়ে
দাও আমাকে দাও, উষ্ণতাতে ফোটাব আলপিন
জানি বাগান জুড়ে শীতের আমেজ জানালাটুকুই ঘর
এসে পায়ের কাছে ছোট্ট মতোন আলপনা দেয় মেঘ
পাতা আসন ঘিরে ধান ছড়ানো, ঢেঁকির সিঁথি ভরা
এবং ললাটলিখন বদলেছিল বিষাক্ত এক নারী
না না বিষাক্ত নয়, সে আসলে ভীষণ স্বনির্ভর
তার স্পর্শটুকুই জাগিয়ে দিত বেআব্রু উদ্বেগ
আমার ফসল তখন শুকিয়ে গেছে ক্ষেতজমিতে খরা
তবু চাঁদ দুটি তার কলঙ্কতে ভরিয়ে দিতে পারি
এখন আগুন আগুন খেলছি দুজন বিশ্বজোড়া ফাঁদে
জলে পা ডোবালেও রাস্তা তবু মেঘের দেখাই নেই
দিনে চাঁদের টানে জোয়ার আসে উপত্যকা জুড়ে
তুমি ভাবতে থাকো তোমায় ছেড়ে পালাল সেই দিন
কেউ শোবার ঘরে গুমরে ওঠে পর্দা টেনে কাঁদে
বুকে হাত রেখেছ নিজের ভেবে, দোষটা শুধু এই?
বল আর কী পেলে সেদিন তুমি ঝর্ণাধারা খুঁড়ে
দাও আমাকে দাও, উষ্ণতাতে ফোটাব আলপিন
জানি বাগান জুড়ে শীতের আমেজ জানালাটুকুই ঘর
এসে পায়ের কাছে ছোট্ট মতোন আলপনা দেয় মেঘ
পাতা আসন ঘিরে ধান ছড়ানো, ঢেঁকির সিঁথি ভরা
এবং ললাটলিখন বদলেছিল বিষাক্ত এক নারী
না না বিষাক্ত নয়, সে আসলে ভীষণ স্বনির্ভর
তার স্পর্শটুকুই জাগিয়ে দিত বেআব্রু উদ্বেগ
আমার ফসল তখন শুকিয়ে গেছে ক্ষেতজমিতে খরা
তবু চাঁদ দুটি তার কলঙ্কতে ভরিয়ে দিতে পারি
লক্ষ্মী
আজ সন্ধে হলে ভাবি,
দুপুরের দিকটা
কতটা অন্যমনস্ক ছিলাম
ভাবা হলে আমি শিকড়ে ফিরি
আর বোঁচকা কাঁধে লক্ষ্মী
চলেন অন্য বাসায়
সংসার পাততে...
অনিশ্চিত
মন্দিরে বেশ ভিড়
অসংখ্য মানুষ দেবতার অপেক্ষায়
মাথা উঠছে মাথা নামছে
প্রণামী বাক্সে দান করা বাঞ্ছনীয়,
ধর্মে কেউ বেলাইন করে না।
হঠাৎ ভিড়ের মাঝখান থেকে
ভিড়ের দিকে তাকালে মনে হয়
এ পথ সমান্তরাল।
বিগ্রহের পাশ দিয়ে প্রদক্ষিণ করে
ফিরে আসবে মাত্র
এরা পুরোপুরি ঠিক হলে
আমি অনেকটা ভুল
আর আমি অনেকটা ঠিক হলে
এরা খানিকটা ভুল
তাই স্পর্শ অসম্ভব।
তবে কেন?
ঠিক জানি না কখন প্রসাদ পাবো।
মন্দিরে বেশ ভিড়
অসংখ্য মানুষ দেবতার অপেক্ষায়
মাথা উঠছে মাথা নামছে
প্রণামী বাক্সে দান করা বাঞ্ছনীয়,
ধর্মে কেউ বেলাইন করে না।
হঠাৎ ভিড়ের মাঝখান থেকে
ভিড়ের দিকে তাকালে মনে হয়
এ পথ সমান্তরাল।
বিগ্রহের পাশ দিয়ে প্রদক্ষিণ করে
ফিরে আসবে মাত্র
এরা পুরোপুরি ঠিক হলে
আমি অনেকটা ভুল
আর আমি অনেকটা ঠিক হলে
এরা খানিকটা ভুল
তাই স্পর্শ অসম্ভব।
তবে কেন?
ঠিক জানি না কখন প্রসাদ পাবো।
নিষিদ্ধ আপেল
একটা আপেল আধ-খাওয়া থেকে গেছিল টেবিলে।
একটা বই উল্টানো, তলায় চাপা পরে দম বন্ধ হয়ে আসা
হেডফোন।
ফ্যানের ব্লেডটা ঘুরতে ঘুরতে থামেনি।
মেসেজে জানা গেছে প্রেমিকা পায়ের জলে
আছাড় খেয়েছে সিঁড়িতে
মন ভালো নেই, ফোন ভালো নেই
বেপরোয়া চিন্তাভাবনা সব।
মায়েরা টেবিল গোছানোর হুম্কি দেন
আমরাও গোছাই
লুকোবার মতো করে
খাতা-বই রাখি আলমারিতে,
হেডফোন কম্পিউটার টেবিলে,
দুশ্চিন্তা তুলে রাখি মনে আর আপেলটায়
দাঁত বসানো হয় না।
রাত্তিরে আবার সেই ঘরে ঢোকা,
যেখানে লুকোতে হয় না প্রেমের আব্রু,
দিয়াশলাই বাক্স।
কে জানে কেমন আছে এখন!
নিশ্চয় খুব ব্যথা পেলো।
দুশ্চিন্তায় ঘুম এসে যায় যদি,
পরের দিন উঠে দেখি, বাকি আপেল
তিনটেতেও পচন ধরেছে বিন্দু বিন্দু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন