আয়না
অনেকদিন হলো আয়নাটা আমার হাসিমুখ দেখেনি,
তাই হয়তো বিন্দু বিন্দু জল জমেছে গালে।
আড়াল থেকে সে হয়তো অনেক কিছুই দেখেছে
আমার লুকিয়ে মদ খাওয়া,
মধ্যরাতে আচমকা আমার ঘুম ভাঙা ঘাম শরীর,
আমার লুকিয়ে কাঁদার কারণ,
সবই রেকর্ড করা আছে।
ভয় পাই
মায়ের সামনে চালিয়ে না দেয়,
স্বপ্নেও ভাবি
আর আচমকা ভয় পাই মধ্যরাতে।
তারপর
তারপর বোধহয় ফ্যানের ব্লেডে আমার স্বপ্ন টুকরো টুকরো হয়
ভোররাতেই, মেঝেতে ছড়ানো টুকরো আয়নাতে পা কাটে
রক্ত দেখে আমার ভয় কমে।
খুব মেঘ করে থাকা দুঃখ থেকে
(১)
আমার শহর দিন-ভিখারি সেজে বৃষ্টিতে
ভেজে
তাই তো রাস্তার
ধারে ভীষণ ছাপ
যেন আমরা বেঁচে আছি কোনো এক বিমূঢ়
কালো সভ্যতার শেষপ্রান্তে।
আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাকা
ধুঁকতে থাকা আমাদের এই শহর
আর দু’ একজন নারী,
যারা অভ্যেস মতোন দেহ
খাটিয়ে নেয় লাল অন্ধকারে
কী যেন নাম তাদের?
খুব মেঘ করে এলে আমার দুঃখগুলো সাদা
হয়ে যায়।
(২)
যৌন সংবেদনের কবিতা লেখে কবি
আর চারিদিক জুড়ে সেই একই শূন্যতা।
জ্যোৎস্নায় বসে আদর খেলা
জ্যোৎস্নায় বসে ঠোঁটের উপর ঠোঁট
বুলিয়ে নেওয়া
এই বসন্ত, কী যে হাওয়া
দিয়ে গেছে
আমি আরামকেদারায় বসে ডুবে যাচ্ছি
ডালহৌসির তিনতলার এই বারান্দায়
সাদা সাদা দুঃখের সমুদ্রে।
(৩)
ঘুমের ওপাড়ে আমি অন্ধকার থেকে ফিরছি
হাতে সভ্যতার হ্যারিকেন
পরিত্যক্ত বাড়ির প্রান্তদেশ থেকে
পেঁচা ডাকছে
পৌঁছানোর আগেই চার্চের ঘড়ির শব্দে
আমার ঘুম ভাঙে
দেখি সেই লাল শাড়ি পরা মেয়েটিকে
এখনও দেওয়াল ধারে সিগারেটের আগুনের
সাথে জ্বলছে।
বেশ হচ্ছে
উত্তরমুছুন