আমার এই জিপসিজন্ম ...
(১)
নিসর্গ পাণ্ডুলিপি খসে
শিশিরবিন্দু মাখামাখি অনন্ত ওই সবুজ
দেবিকুলাম দীঘির জলে নির্জনতার সামগান
হস্তান্তরিত হচ্ছে মেঘলা নীরবতা, রোদ ফিরছে
নালাতাল্লি – মুদ্রাপুজা – কুন্দলা _ নদীত্রয়ীর
জলরঙে বিশেষ কোনও অধ্যায়
মেঘের স্বভাবে আঁকা আলোছায়া রোদ্দুর
মায়াবী ভিজে রেখা পথে হেঁটে যেতে যেতে দেখি
দুরের আকাশ, কুয়াশামোড়া চা বাগান, পাখিডাক
অকাতর সবুজ জলসাঘরে
পায়চারি ভ্রমণে লুটিয়ে মুন্নার
না-ফুরানো অলীক ডিঙিয়ে
নীলগিরির অরক্ষিত গোপন
আমি এক পা এক পা
দৃশ্যত সেঁধিয়ে যাচ্ছি
নীলগিরির কুঠুরিতে…
(২)
তখনও মোছেনি অন্ধকার
নিদারুণ ভোর তখনও জেগে
জলাভূম জুড়ে ঘাই মারছে
পরিযায়ী পাখিদের সংসার
আমাদের সজাগ ক্যামেরা ও জুম
অবাক চোখের আসা যাওয়া
কুয়াশার ছিদ্র গলে মখমলি ডানায়
রোদ্দুর ফুটে ওঠে
ক্যামেরার লেন্স টুংটাং ইচ্ছে নিয়ে
ভ্রমণের সুখটুকু
দৃশ্যাবলীর কথা জমে
ভ্রমণার্থী শিবির থেকে...
মেঘের গায়ে এমন মেঘ জমেছে
বৃষ্টিকথন, পশলা খানিক
চেনা আবহাওয়ায় কিঞ্চিৎ
বিকেলের ভূমিকা কমে আসছে
মেঘ রোদ্দুরের খুনসুটি টক্করে
লোলেগাঁও আকাশ জুড়ে চকিত ইন্দ্রধনুস
পাহাড় ঢালে, সাতরঙা দ্যুতি
লাবণ্যময় প্রকৃতিমায়ায়
এপারে গান, ওপারে গান
ঝান্ডিদাঁড়ার সূর্যভোর, ‘ক্যানোপি ওয়াক’,
প্রকৃতির নির্জনে সফেদ হাতছানি
কাঞ্চনজঙ্ঘার অতখানি ঘোর
নির্ভুল গুনে নেওয়া হুল্লোড়ে
রিসপ – লাভা – চারকোল – পেডং
এক সদ্য তোলা নবীন লঘুসংগীত
ঋতু ফুটছে, ওপারে ছায়া
ভ্রমণ মৌতাতে,
নামিয়ে আনি, অলীক পর্যটন সুষমা...
বেশ,বেশ
উত্তরমুছুন