প্রতিবেশী
সাহিত্য
খাইমে সায়েনস-এর
কবিতা
(অনুবাদ : জয়া চৌধুরী)
কবি পরিচিতি
কবি ঔপন্যাসিক ছোটগল্পকার
খাইমে সায়েনস ১৯২১ সালে বলিভিয়ার রাজধানী লা পাস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। আজন্ম বিতর্কিত
বিংশ শতাব্দীর বলিভিয়ার সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ
এই কবির কাব্যকে কোনো নির্দিষ্ট ধারায় ধরা না গেলেও কো্নো কোনো ক্ষেত্রে সুর রিয়ালিজমের ছাপ দেখা যায়। পানাসক্তি ছিল তাঁর সারা জীবনের সঙ্গী এবং তা
তাঁর লেখায়ও বারবার এসেছে। বন্ধু কার্লোস আলফ্রেদো রিভেরা-র তিনি একান্ত অনুগত
ছিলেন। শুধুমাত্র তিনিই পারতেন এই সাহিত্যিককে অ্যালকোহলের আসক্তি থেকে দূরে থাকার
কথা শোনাতে। আর কারো কথা শোনার তিনি
যোগ্য মনে করতেন না। ‘এল এস্কালপেলো’ বা ‘শল্য ছুরি’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তাঁর বিখ্যাত রাজনৈতিক কাব্যনাটক ‘লা নোচে দে
ভিয়েরনেস’ বা ‘শীতের রাত’। এছাড়া তাঁর বিখ্যাত আত্মজীবনী ‘লা পিয়েদ্রা ইমান’ বা ‘চুম্বকীয় পাথর’। তাঁর কাব্যধারা এতই স্বতন্ত্র ছিল যে বলিভিয়ায় পরবর্তী তরুণ সাহিত্যিক ও
চলচ্চিত্রকারদের ওপরে তা স্থায়ী ছাপ ফেলে। তাঁর সম্পর্কে বলা হয়, তিনি “দিনে ঘুমাতেন ও রাতে বাঁচতেন”। ‘লা নোচে’ বা ‘রাতে’, ‘লা বোদেগা দে খাইমে সায়েনস’ বা ‘খাইমে সায়েনসের দ্রাক্ষাক্ষেত’ ইত্যাদি তাঁর অসামান্য সৃষ্টি। তিনি ছিলেন ঘোষিত ‘নির্লজ্জ বাই- সেক্সুয়াল’। ১৯৮৬ সালে তাঁর
প্রয়াণ ঘটে।
তোমাকে A ti
আমার রক্তে অন্তর্গত অগ্রায়মান
তোমার উষ্ণ অবয়ব, স্বপ্নের
বাতাসময়
বৃক্ষ আদি চতুর্দিক কেবল তুমি, তোমারই জন্য
-জলের গভীরে আমার হৃৎপিণ্ডের কম্পাসে
কোনো ছায়া গান গেয়ে যায় তোমারই জন্য
আর তোমার চেয়ে থাকায় আমার চোখেরা নীরব হয়ে যায়
সঙ্গীত ও আলোর ঝাপটানিতে
আকাশ ও আঁধারিতে।
আজ রাত্রে আবার তোমার আকার জোড় লাগাই
তোমার মুখগহ্বরের প্রতিধ্বনি একটি বিস্মৃত সঙ্গীতের মাঝে
-আর আমি তোমাকে আলিঙ্গন করি।
তোমাকে দেখা যায় Eres visible
পাহাড়ের গন্ধের ভেতরে সবটা সময় রয়ে
যাও তুমি
সূর্য যখন অবসর নিয়ে নেয়,
এবং মনে হয় ছায়ার শীতলতার গভীরে
তোমার শ্বাসের শব্দ শোনা যায়
ঠিক যেন এক চিন্তামগ্ন বিদায়।
তোমার চলে যাওয়া, যেহেতু একটি
নিভন্ত আঁচ, এইসব
স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবিরা করুণা করবে
এখান থেকে দূরে বিকেলের ঝড়ে দুলতে
থাকো তুমি
পাতার গর্জন সঙ্গী করে তোমার সঙ্গে
যাই, দেখি
যে সব বস্তু অবস্তু ভালোবাসতে তুমি
ঊষা তোমার পদরেখা মুছবে না, তোমাকে
তো দেখা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন