আর্ট গ্যালারিতে অবন্তিকা
চিত্রকল্পগুলোকে
আদা-রসুন-পেঁয়াজে ম্যারিনেট করে কাগজের হাওয়াই
জাহাজে
উড়িয়ে দিয়েছিলুম
ছবিগুলো
শব্দ থেকে খুলে-খুলে নিজেদের বর্ণনা করছিল
এই
যেমন, “তুই কি আর্ট গ্যালারিতে ওয়াশরুমের দরোজায় আঁকা
তরুণীটিকে
চিনিস?”
আঁকা
তরুণী বললে, “আমিই তো স্হান আর কাল
আমার
বডি হলো একই সঙ্গে স্হান আর কাল যা দরোজার সঙ্গে
খোলে
আর বন্ধ হয়”
ওড়ানো
কাগুজে হাওয়াই-জাহাজকে প্রেমপত্র মনে করে অবন্তিকা
ফেরত
পাঠিয়েছিল, “হাঁটু-ছেঁড়া জিন্সকে পুরাতনপন্হী বলবি না--
সম্পর্ক
বড্ডো দমিয়ে দ্যায়, রোটেশানের ডিউটি চলছে”
কিংবা
যারা-যারা
চুমু খায় তাদের কি পতাকা আছে?
ধুলোমাখা-জুতো
ছেঁড়া-মোজা পতাকা হিসাবে চলবে না আর্ট গ্যালারিতে--
আলজিভে
দুঃস্বপ্ন চলবে না; তুই কি এয়ারপোর্ট থেকে শাশুড়িকে
আনতে
যাচ্ছিস? আমার সাইকেলটা নিয়ে যা, তোরই
ড্যাডি
যৌতুকে
দিয়েছিলেন, আমি ড্যাডি বলতে পারি না, আংকল বলি--
আংকল
পিকাসো, আংকল ভ্যান গঘ, আংকল
গগাঁ, আংকল দালি
কিন্তু
প্রকাশ কর্মকারকে প্রকাশদা বলতুম, আহা যদি গগাঁদা
বলা যেত
তাহিতির
যুবতীদের সঙ্গে ফুলের ছড়া কোমরে বেঁধে নাচতুম, তার বদলে
কেচাপ
গান গাই না হয়, আর্ট গ্যালারির ওয়াশরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে
জিন্সের
জিপ টানতে-টানতে বেরিয়ে এলি তুই, “ব্লিডিং থামছে
না রে--
চল
ময়দানে গিয়ে ফুচকা খাই”। মুখে ফুচকা নিয়ে তোর কেচাপ গান:
আসেরেহে
হা---দে হে---দে হেবে...তু দে---হে--বেরে--সেবি---উনৌভা
মাহাবি---আন
দে---বগুই...আন দে---বুইদি---দিপি
আসেরেহে
হা--দে হে---দে হেবে...আসেরেহে হা--দে হে---দে হেবে...
সারগ্রাহীতা
যে অত্যাচার করছে আর উত্তর
চাইছে সে
সেই উত্তরটাই চাইছে যা তুমি
জানো না
যা কেবল অত্যাচারকারী জানে।
তোমার শত্রু যে ইতিহাস লিখছে
তাতে তোমাকে বিকৃত করা হবে
সেকথা তুমি ভালো করেই জানো।
নৃপতি চাটুজ্জেকে তোমার আজও
ভাল্লাগে
তুলসী চক্রবর্তীকে আজও
ভাল্লাগে
রবি ঘোষকে আজও ভাল্লাগে।
তুমি আকিরো কুরোসাওয়া বোঝো না
তুমি ফেদেরিকো ফেলিনি বোঝো না
তুমি রোমান পোলানস্কি বোঝো না
তুমি জাঁ লুক গোদার বোঝো না
তুমি ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো বোঝো না
তুমি লুই বুনুয়েল বোঝো না।
তুমি জানো ওনাদের যুবতীর দেহ
আগুনের উড়ন্ত
শিখা দিয়ে গড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন