বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

মার্গারেট অ্যাটউড

প্রতিবেশী সাহিত্য


মার্গারেট অ্যাটউড-এর কবিতা


 (অনুবাদ : অদ্বয় চৌধুরী)



   

কবি পরিচিতি

১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করা কানাডার অধিবাসী মার্গারেট অ্যাটউড একজন কবি, ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সমালোচক, প্রাবন্ধিক এবং পরিবেশবিদ। বুকার প্রাইজ এবং অন্যান্য বহু পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাটউড তাঁর উপন্যাসের জন্যেই অধিক পরিচিতা। কিন্তু উপন্যাসের পাশাপাশি তাঁর ১৫টি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে।
এখানে তাঁর দু’টি কবিতা অনূদিত হলো — ‘হ্যাবিটেশন’ এবং ‘ফ্লাইং ইনসাইড ইয়োর ওন বডি’।



বসতি
বিয়ে নয় কোনো
বাড়ি, অথবা তাঁবু

এ হলো সে সবের আগে, এবং শীতলতর:

বনের ধার, মরুভূমির
কিনার
পিছনের রংহীন সিঁড়ি
যেখানে আমরা উবু হয়ে বসি
বাইরে, পপকর্ন খেতে খেতে

যেখানে বেদনায় ডুবে এবং
এত দিন বেঁচে থাকার
বিস্ময় নিয়ে

আমরা আগুন জ্বালাতে শিখি



দেহের ভিতর উড়ান

পূর্ণ ও ব্যাপ্ত হয়ে ওঠে তোমার ফুসফুস,
গোলাপি রক্তের ডানা, আর তোমার অস্থি
শূন্য করে নিজেদের হয়ে ওঠে ফাঁপা।
শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে বেলুনের মতো ভেসে ওঠো তুমি
আর তোমার হৃদয় হয়ে ওঠে ভারহীন এবং বৃহৎ,
বিশুদ্ধ আনন্দে স্পন্দিত, বিশুদ্ধ হিলিয়াম।
সূর্যের সাদা বাতাস বয়ে যায় তোমার মধ্যে,
তোমারও ঊর্ধ্বে নেই আর কিছুই,
তোমার চোখে পৃথিবী এখন এক ডিম্বাকার মণি,
প্রেমে উজ্জ্বল ও সমুদ্রনীল।
শুধু স্বপ্নেই এসব তুমি পারো
জাগ্রত, তোমার হৃদয় এক ঝাঁকানো মুঠি
মিহি ধুলো ভারী করে তোলে তোমার শ্বাসবায়ু;
সূর্য এক জ্বলন্ত তামার ভার, নেমে আসে সোজা
তোমার চিন্তায়, তোমার করোটির গোলাপি আবরণে।
গুলিবর্ষণের ঠিক আগের মুহূর্ত এরকমই সর্বদা
তুমি নাগাড়ে চেষ্টা কর উড়তে কিন্তু পারো না।
   


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন