খুব মেঘ করে থাকা
দুঃখ থেকে
(১)
আমার শহর দিন-ভিখারি
সেজে বৃষ্টিতে ভেজে
তাই তো রাস্তার ধারে
ভীষণ ছাপ,
যেন আমরা বেঁচে আছি
কোনো এক বিমূঢ় কালো সভ্যতার শেষপ্রান্তে।
আস্তা-কুঁড়ে পড়ে
থাকা,
ধুঁকতে থাকা আমাদের
এই শহর
আর দু' একজন নারী,
যারা অভ্যেস মতোন
দেহ খাটিয়ে নেয় লাল অন্ধকারে
কী যেন নাম তাদের?
খুব মেঘ করে এলে
আমার দুঃখগুলো সাদা হয়ে যায়।
(২)
যৌন সংবেদনের কবিতা
লেখে কবি
আর চারিদিক জুড়ে সেই
একই শূন্যতা।
জ্যোৎস্নায় বসে আদর
খেলা,
জ্যোৎস্নায় বসে
ঠোঁটের উপর ঠোঁট বুলিয়ে নেওয়া,
এই বসন্ত, কী যে
হাওয়া দিয়ে গেছে,
আমি আরামকেদারায় বসে
ডুবে যাচ্ছি
ডালহৌসির তিনতলার এই
বারান্দায়
সাদা সাদা দুঃখের
সমুদ্রে।
(৩)
ঘুমের ওপাড়ে আমি
অন্ধকার থেকে ফিরছি
হাতে সভ্যতার
হ্যারিকেন,
পরিত্যক্ত বাড়ির
প্রান্তদেশ থেকে পেঁচা ডাকছে,
পৌঁছানোর আগেই
চার্চের ঘড়ির শব্দে আমার ঘুম ভাঙে,
দেখি সেই লাল শাড়ি
পরা মেয়েটিকে
এখনও দেওয়াল ধারে
সিগারেটের আগুনের সাথে জ্বলছে।
সম্পর্ক
আমরা হয়তো আর মিলিত হব না
এইটুকু রুগ্ন পরিচয় জেগে আছে আজও।
রুক্ষ চুলে তুমি অপরিচয়ের দিকে হেঁটে যাচ্ছ,
আর এক পশলা ভালোবাসার অভাবে
আমার চোখের পলক আজও পড়েনি।
সেই প্রথমদিন নিয়েছিলাম রজনীগন্ধার অফুরন্ত ঘ্রাণ
সেই ঘ্রাণ আজও জেগে আছে নীল আলোর মতোন,
তারপর বালিশে মুখ গুঁজে একটানা প্রতীক্ষা।
কীসের প্রতীক্ষা?
এই প্রশ্ন আজও খ্যাপা প্রেমখানায় লাল আলোর নিচে দাঁড়িয়ে,
তুমি বন্ধ দরজার ওপারে পিঠ ঠেকিয়ে দ্যাখো,
আমি কোনও ভুল করেছি কিনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন