উন্মাদ-তন্ত্র
অস্থির হয়ে পড়াই ভালো
নিঃস্ব হলে
পদব্রজে
দূরে কোথাও
বাজনার ধ্বনি
অদূরে ঢেউ
আছে
ওখানে যেও
না
এবার ভেতর
থেকে এসো
এক এক করে
খোসা ওগরাই
বৃষ্টি মাপতে
মাপতে
কখন যে কেঁদে
ফেলি
নিজের নখ
হিংস্র
সে কথা
স্বীকার করি না
চোখ ও চুলের
রং পালটে পালটে দেখি
যদি কেউ
সুন্দর বলে
কেউ সুন্দর
বলে না
উন্মাদ বলে
গাল দেয়
কৃষ্ণাঙ্গের
মৃত্যু
দাঁড়িয়ে আছি।
শীত করছে। ভয় করছে।
পালাতে চাইছি।
লুকিয়ে থাকতে চাইছি।
গাড়ি আসছে। চলে যাচ্ছে।
পিছলে যাচ্ছে আলোর সঙ্গে।
মানুষ হাঁটছে না।
মানুষ কাঁদছে
না।
এই পথ,
এই যন্ত্রণা,
বুঝি আমার-ই!
আলো জ্বলছে।
ওগরাচ্ছে শব্দদূষণ।
নিজের সঙ্গে কথা বলছি।
গাড়ির সঙ্গে কথা বলছি।
কাউকে না কাউকে
চাইছি এই মুহূর্তে, অথবা,
রক্তবমির মতো
এক চিলতে
আকাশ!
অন্যথায়, আমার মৃত্যু হোক!
ধুলো নেই।
নিয়ন্ত্রণ নেই।
ভুল ভেঙে যায়।
অথবা, একটি কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু!
নগ্নতার মতো
কোরাস
ভালো কথাগুলো বলে নিন
এইবার ঝড়-জল
হওয়ার কথা
ইস্টিশানে
গাড়ি নেই
যানবাহন
চলাচল এখনকার মতো
বিপর্যস্ত
ভালো কথাগুলো বলে নিন
দয়া করে
আমার রোমান
হরফে লেখা বয়স
বিভ্রান্তিকর
স্বাদগন্ধ
নগ্নতার মতো কোরাস
আমার অতিবেগুনি
রশ্মি চিৎকার করে
হারিয়ে
যাচ্ছি নাচছি তুমুল হইচই করছি
বরখাস্ত হয়ে
যাচ্ছি মিনিটে মিনিটে
কেউ চেপে ধরে
রাখতে চাইছে না
সমাধির ওপর
মালা দিতে হয়
ধূপ-ধুনো
ইত্যাদি ইত্যাদি
কেউ যদি ওদের
বলে দিত...
অন্ধকার
রোদ্দুর
অন্ধকার
রোদ্দুর
কৃষ্ণগহ্বরের
মধ্যে ঘুরপাক
আমি ঘুরপাক
খাই, ঘ্রাণ নিই
জেনে যাই
দেওয়ালের ওপাশে সেরকম
কেউ নেই
থাকলেও তার
শক্তি নেই
সম্ভ্রম নেই
বিচক্ষণতা নেই শুধু বুদ্বুদ্
বুদ্বুদ্
চলাফেরা বেঁচে থাকা
আমার নেই সে
দহন,
কৃতজ্ঞতা
শক্ত হয়ে
উঠতে উঠতে পাকিয়ে যাই
পায়ের
আঙুলগুলো গুল্মে জড়িয়ে যায়
একটা
ম্যান্ডোলিনের মতো
জল্পনার
বাইরে বাজতে থাকি
একটানা
দোটানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন