রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

রাজিয়া সুলতানা


রোমান্টিক

ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে চিনে ফেললে সেই নদী
নদীকে আর দোষ দেব কি! সে তো অনন্ত ও আদি!
মানচিত্র কেউ দিয়েছিল বুঝি হাতে।
রাতে শুয়ে শুয়ে ভেবেছিলে কারাতে
নদীই তো নারী
কিন্তু সে ডাকেনি তোমাকে।
ডাকতেই হবে?  তুমি ভেবেছিলে।  

আলোভোরে ঘুমিয়ে ছিল সে।
তরী ভাসিয়ে তার ঘুম ভাঙালে--
এই তুমি রোমান্টিক?  
পাসপোর্ট,  ভিসা যখন বিয়ের লিখিত মন্ত্রে
ছেলেরা এমন করেই নিজেদের উঠোনকে অধিকার করে--
বলেছিল সদ্য বিবাহিতা নবনী
আর কবিতা পাগল সুস্মিতা,
আমি অবশ্য নিজের কথা স্বীকার করিনি।

নদীকে ফিরিয়ে দেব জল?
আকাশকে মেঘ?
এত বড় স্পর্ধা শিখিনি।
প্রেম তো সমর্পণেই--  
অক্ষমতাটুকু সম্বল।


তুমি

এখনো দিনের বৃন্তে ফোটে রাত
এখনো অপেক্ষায় প্রজাপতি রোদেলা বিকেল
ছোঁয়াছুঁয়ি চাঁদ আর জোছনা
স্পর্শে কাঁপা দেহ এখনো থরোথরো
বিরহে জাগাও যখন
স্থির,  তুমি কি ধ্রুবতারা  
অবস্থান অনড়!
ঈশ্বরও ক্ষমা করে দেন বিপন্ন অস্থিরতা।

আঁচল কেটে নাও পাপ বাঁধা
সংক্ষিপ্ত বাসে ঢাকি তবু লজ্জা
অপমান সয় না তো প্রেম
ফ্রেনিয়া শ্যালো দর্শন
দিয়েছে কণ্টকশয্যা
গভীরে কেটেছে শেকড়--
রাখোনি খবর!


নগ্নতা

হেমন্ত যখন বাদামী খোলসে পা রাখে
আরেকটু ঘন হলে শীত,
দেহ তখন নগ্নতার আরেকটু কাছে।
পোশাকের আস্তরণ,
পত্রসম্ভার,
ফুল,  শেকড় বাকড়
গভীরে যখন মাটির
কাছাকাছি, পৃথিবী আরো আপন তখন।

প্রার্থনা নগ্ন, জন্ম নগ্ন
অন্তর্গত উচ্চারণে
ভালোবাসা,  অনুভূতি নগ্ন
প্রভাত নগ্ন,
দুপুর সন্ধ্যা রাত্রির আহ্বান নগ্ন -
বাদামের খোসা এক নগ্ন পরিভাষা
ছাড়ানোর আগে।
প্রকাশ্য গোপন সভ্যতা নগ্ন  
বিপুল বৈভবে।
নগ্ন উলঙ্গ হলে সুন্দর উধাও-
মানুষ জানে, তবু সে ভুল করে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন