প্রতিবেশী সাহিত্য
সেসার আব্রাহাম ভাইয়েখোর কবিতা
(অনুবাদ : জয়া চৌধুরী)
কবি পরিচিতি
পেরুর
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক সেসার আব্রাহাম ভাইয়েখো ১৮৯২ সালে পেরুর
সান্তিয়াগো দে চুকো-তে
জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যের সবকটি শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল- কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, চিত্রনাট্য;এমন কী
সাংবাদিক হিসাবে লেখা তাঁর কলাম ও প্রবন্ধগুলিও উল্লেখযোগ্য। তাঁর কবিতাই অবশ্য
সবচেয়ে বেশি সমাদৃত।
তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায় তাঁর কাব্যের স্টাইলগুলিকে- মোদেরনিস্তা বা আধুনিকতা, ভাঙ্গুয়ারদিস্তা বাঁ
ভ্যাঙ্গুয়ারডিস্ট স্টাইল এবং
রেভোলুসিওনাতিয়া বাঁ বৈপ্লবিক স্টাইল। বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘ত্রিলসে’বা‘৭৭ কবিতাগুচ্ছ’। বিখ্যাত নাটক
‘এনত্রে লাস ওরিইয়াস কোররে এল
রিও’বা‘দুটি ঢেউ এর মধ্যে বয় নদীটি’। ফরাসী ভাষা থেকে জেনারেল
মানজিন আর হেনরি বারবুসসে প্রভৃতি লেখকের রচনাও অনুবাদ করেন তিনি স্প্যানিশ ভাষায়।
১৯৩৮ সালে প্যারিসে প্রয়াত হন এই মহান সাহিত্যিক।
বাইবেল ভাষ্য
একদিন আমি জন্মেছিলাম
তখন
ঈশ্বর অসুস্থ ছিলেন।
সবাই জানে যে আমি বেঁচে
আছি
জানে যে আমি মন্দ, ওরা জানে না
সেই ডিসেম্বর থেকে
জানুয়ারির কথা।
ইয়ে, একদিন আমি জন্মেছিলাম
তখন
ঈশ্বর অসুস্থ ছিলেন।
আমার দর্শন শাস্ত্রের
পরিমডলে
একটি শূন্য আছে যা
কেউ অনুভব করতে পারে না;
নিস্তব্ধ মঠে সেকথা
আগুন বলেছিল ফুলকে।
একদিন আমি জন্মেছিলাম
তখন
ঈশ্বর অসুস্থ ছিলেন।
ভাই আমার, শোনো, শোনো সেকথা
বেশ। এই যে আমার কাছ
থেকে সে চলে যায় নি
ডিসেম্বরকে না নিয়ে
জানুয়ারিকে না থামিয়ে
ইয়ে, একদিন আমি জন্মেছিলাম
তখন
ঈশ্বর অসুস্থ ছিলেন।
সবাই জানে যে আমি বেঁচে
আছি
যেহেতু আমি চিবোই...
ওরা জানে না
কেন ওরা আমার কাব্যেই
কর্কশ ধ্বনি করতে পারে,
ব্যবহারে জীর্ণ ঝড়,
স্ফিংক্স ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
খুলে ফেলা
কফিনের স্বাদহীন
অন্ধকার।
সবাই জানে... আবার
জানেও না
যে আলো হলো ক্ষয়কারী,
আর ছায়া হলো স্থূল...
ওরা জানেও না যে রহস্য
সমন্বয় করে...
যাতে সে হয় এক দুঃখী ও
সাঙ্গীতিক
কুঁজ বিশেষ যে দূরত্ব
থেকে নেমে যেতে থাকে
সীমা থেকে সীমা পার হয়ে
যাওয়া ভূমধ্যসাগরীয় পদক্ষেপ।
আমি একদিন জন্মেছিলাম
তখন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন