রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

অমিতাভ প্রামাণিক

চারানা আটানা




২৬) পুজো ও সাহিত্য

কাজলদার ফোনটা যখন এলো, তখন ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আমি পুজোমন্ডপে বসে ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলছি আর ফেসবুকে রিয়েল টাইম আঁখো দেখা হাল পোস্টাচ্ছি, এমন সময় সেই ফোন থেকেই টুংটাং শব্দ, দেখি আশ্বিনের শারদসন্ধ্যায় বেজে উঠেছে আমার মুঠোফোন। ধরণীর বহিরাকাশে সেই মুহূর্তে অন্তর্হিত সূর্যরশ্মি। প্রকৃতির অন্তরাকাশে যে কী জাগরিত হয় বা না হয়, তা আর আমি পুরুষমানুষ কী করে জানবো? দেবাঃ ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ। তো যাই হোক, সেই রিংটোন অসীম ছন্দে বেজে উঠে আমার রূপলোক ও রসলোকে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন ঘটালো। ফোনের ওপরে কাজলদার নাম দেখেই আনন্দিত আমি শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ী-মৃন্ময়ী ইত্যাদি মূর্তিকে ফেলে মন্ডপ থেকে বেরিয়ে গিয়ে ফোন ধরলাম, 'হ্যালো!'  

ওপার থেকে ভেসে এলো চিচ্ছক্তিরূপিণী বিশ্বজননীর শারদশ্রী বিমন্ডিতা প্রতিমার মতোই ধ্যানবোধিত কাজলদার জলদগম্ভীর স্বর, 'অমিতাভ, চারানা আটানা?'

খেয়েছে! ভুলেই গেছিলাম। কদিন আগে কাজলদা হোয়াটস্যাপেও খোঁচা মেরেছিলেন  তখন ভেবেছিলাম, এখনও তো কদিন টাইম আছে। সেই টাইম পেরিয়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। পুজোর মধ্যে তো সারাক্ষণ, মানে যেটুকু সময় অফিসে থাকবো না, তার সিংহভাগ কাটবে পুজোমন্ডপে। তাও ঢোঁক গিলে বললাম, এই তো কাজলদা, দুদিনেই নামিয়ে দিচ্ছি। কাজলদা বললেন, 'বেশ। জলদি করো ভাই। আর শোনো, এবার  আমিও ব্যাঙ্গালোরে, তোমাদের পুজোর কাছাকাছিই থাকি আমি। দেখা হবে কাল' 

ফোন কেটে দিলেন। আমি ঢাকিদের তিন চারটে ছবি তুলেছিলাম। সেগুলোই ফেসবুকে পোস্ট করতে শুরু করলাম।

কলকাতার পুজো শুরু হয়ে গেছে দু তিনদিন আগেই। মানে মন্ডপসজ্জা, প্রতিমা স্থাপন, লাইটিং, প্রচার, যা যা হয় আর কী। দেশপ্রিয় পার্কে নাকি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রতিমা, তা দেখার জন্যে মানুষ হজে গিয়ে যেমন হাজতবাসের আরাম পায়, তেমনি ফেঁসে যাচ্ছে। সেখানকার প্রতিমা নাকি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সিমেন্ট দিয়ে বানানো, এই প্রচারে সারা কলকাতা হাজির দেশপ্রিয় পার্কে। সৌরভ গাঙ্গুলী সেই পুজোর ফিতে কেটে সরে পড়তেই উপচে পড়েছে ভিড়। সে ভিড় সামলানোর জন্যে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাজ্য  সরকার পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেও পেরে উঠছে না। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পাতাল রেল অগুন্তি মানুষের পাতালপ্রবেশে পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এসব খবর ভেসে আসছে ফেসবুকের শত শত পোস্টের মাধ্যমে আর আমি সেখানে লাগাচ্ছি নিরামিষ ঢাকিদের ফটো! রামোঃ! ব্যাঙ্গালোর কোনোদিন কলকাতার জাতে উঠতে পারবে না।

কলকাতার মানুষ হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিদগ্ধ মনুষ্য। তাদের ক্লাশই আলাদা, পুরো ক্লাসিক্যাল। প্রচন্ড অধ্যবসায় ও সৃজনীশক্তির বিনিময়ে নির্মিত ও প্রদর্শিত নাটকগুলোর কাউন্টারে সাধারণত মাছি তাড়ায় আর 'পাগলু' দেখতে সিনেমা হলে লোক ভেঙে  পড়ে। খেটেখুটে লেখা আধুনিক কবিতার সম্ভারে ছাপানো লিটল ম্যাগাজিন বিক্রি হয় না, হাব্বা-ডাব্বা-গাব্বা বেস্টসেলার। দেশপ্রিয় পার্ক যে ঘটবে তাতে আর আশ্চর্য কী!

শোনা গেল, ছ'মাস ধরে বিজ্ঞাপিত এই পুজো প্রথমদিনের পরেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা  হয়েছে। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্তগুলির অন্যতম এই সিদ্ধান্ত। এর কাছে বেণীমাধব শীলের হাফ পঞ্জিকার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তও ম্লান। সেখানে যখন এবারের পুজোয় নাকি নবমী-দশমী একই দিনে ধরা আছে, অর্থাৎ পুজো এবার পাঁচদিন না, চারদিনে শেষ, সেখানে দেশপ্রিয় পার্কের পুজো এমনকি আমেরিকাকেও ছাড়িয়ে গিয়ে একদিনেই শেষ ঘোষিত হলো।




তারপরেই, বিস্ময়কর ভাবে সেই মন্ডপের সামনে খাটিয়ে দেওয়া হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্দা। মা পর্দানশীন হয়ে গেলেন। রাজ্যের অনেকে অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, এটা ঠিক হলো না। একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষের ওপর রাজ্যের কর্ণধারের সুবিশেষ সহানুভূতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তারা বললেন, পর্দা করলেও পেছনটা তো দেখা যাচ্ছে, আর পর্দাটা সাদা। উচিত ছিল প্রতিমাকে কালো বোরখা পরানো। উদ্যোক্তারা বললেন, কিন্তু এত বড় বোরখা এখন বানাবে কে? দশহাতাযুক্ত বোরখা হয় কিনা তাও জানা নেই। কেবলমাত্র প্রতিমার কারিগররাই তাতে দশ-হাতাওয়ালা ব্লাউজ পরাতে পারেন, কোনো দরজি পারতেন কিনা সন্দেহ।

অনেকে ভাবলেন, এবার মাইকে বাজবে – এত কালি মেখেছি দু’হাতে ... কিন্তু তা হলো না। শোনা যেতে লাগলো, মা-আম্মি-মাদার মার্কা মাদারি কা খেল। আম্মি’জ বিরিয়ানি বিক্রি হতে লাগলো বেশ।

রাজ্যবাসী এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতে লাগলো। শারদ-কান্ডের অতুলনীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে তুলনীয় একমাত্র সারদা-কান্ডের সিদ্ধান্ত, যেখানে গরীব মানুষের ইনভেস্ট করা টাকা এম এল এ, এম পি, মন্ত্রী, দাদা-দিদিরা খেয়ে নিয়েছে এই রকম কথা শোনা যাওয়ার পর জনদরদী সরকার তামাকের ওপর বিশেষ কর বসিয়ে যুবশক্তিকে আহ্বান করেছিলেন, ভাইয়ো অর বহেনো, তোমরা এবার বেশি বেশি করে বিড়ি-সিগ্রেট ফুঁকে রাজকোষ পূর্ণ করো। ক্লাবে ক্লাবে এই বার্তা রটি গেল ক্রমে।

ফেসবুকে এসব খবরের সঙ্গে পাচ্ছি ছবি। দারুণ দারুণ সব মন্ডপের আর প্রতিমার ছবি। এসব দেখলে মন ভরে যায়। কত পরিশ্রম আর সৃজনশীলতা দিয়ে তৈরি হয় এই শিল্প, মাত্রই কয়েক দিনের আনন্দের জন্যে। এর মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে আছে  আমাদের গূঢ় জীবনবোধ – হেসে নাও দু'দিন বই তো নয়। এই যে শুধু যাওয়া- আসা, শুধু স্রোতে ভাসা আমাদের এই মরণশীল জীবন, এও তো মাত্র কিছু সময়ের জন্যেইস্বল্প সময়ের এই জীবনকে কতটা সুষমামন্ডিত করে তোলা যায়, তাই দিয়েই মনুষ্যজন্মের সার্থকতা।  

এর মধ্যেই বিশাল বিশাল ব্যানার সবার চোখ টানবেই। আর তার মধ্যেই বিচিত্র বানানশৈলী। কেউ লেখে 'দুর্গা' তো অন্যে লেখে 'দূর্গা'কেউ 'পুজা', কেউ বা 'পূজা'কেউ 'সর্বজনীন', আবার কেউ 'সার্বজনীন' 

সব তো আর ঠিক হতে পারে না, এর মধ্যে তাহলে কোনটা ঠিক?

এই নিয়ে আমার ফেসবুক টাইমলাইনে অনেক আলোচনা হয়েছে। সে সব দুষ্পাচ্য বিষয় এখানে গেলানোর কোনো মানে হয় না। শুধু এটুকুই বলি দুর্গা বানানে হ্রস্ব-উ  আর পূজা বানানে দীর্ঘ-ঊ বিধেয়। দুর্‌ উপসর্গ গৈ ধাতু ও অ প্রত্যয়যোগে যে শব্দ, তার স্ত্রীলিঙ্গে আপ্‌ প্রত্যয় হয়ে দুর্গা। ব্যবধান অর্থে দূর শব্দে এবং বিশেষ ঘাস অর্থে দূর্বা – এই দুই শব্দে ‘দূ’ থাকায় হয়তো ভুল করে অনেকে দূর্গা লেখেন। সংস্কৃত পূজ্‌  ধাতু থেকে পূজা, এতে হ্রস্ব-উকারের প্রশ্নই নেই। তবে তদ্ভব হয়ে পুজো হলে হ্রস্ব-উ ব্যবহার শ্রেয়। পুজোর হার, কিন্তু পূজোপহার, কেননা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ওটা পূজা আর উপহারের সন্ধি।

সর্বজনীন আর সার্বজনীন দুই বানানই সমস্ত বাংলা অভিধানে প্রায় একই অর্থে দেওয়া আছে। তবে সংস্কৃত মতে এই দুই বানান শুদ্ধ হলেও এদের অর্থ আলাদা। আমরা যে অর্থে (অর্থাৎ বারোয়ারি পুজো বোঝাতে) ব্যবহার করি, তাতে সর্বজনীন লেখাটাই অধিকতর শুদ্ধ। তবে অন্যটা লিখলেও মাধ্যমিকে নম্বর কাটা যাবে না। টেট-এ ঠিক ভুলের ব্যাপার নেই বোধহয়। যা খুশি লিখলেই হলো, না লিখলেও চলে। দশ লাখ আর সাত লাখ রেট, দু' ধরনের অ্যাপ্লিক্যান্টদের জন্যে।

বাংলা যেহেতু সংস্কৃত ভাষা থেকে আলাদা, এদের একই নিয়ম মানার দরকার নেই, এই ধুয়ো তুলেছেন অনেকেই। কথাটা সর্বৈব উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। তবে এরাই  আবার বিদেশী ভাষা থেকে আগত শব্দগুলোকে খুব মর্যাদার সঙ্গে দেখেন। অকাদেমি/আকাদেমি ইত্যাদি নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়, যদিও আমি নিজের কানে বিদেশীদের (পড়ুন, ইংরেজদের) মুখে অ্যাকাডেমি ছাড়া অন্য কিছু শুনিনি। জাতির জনককে গান্ধী বলেই জানতাম, এখন শুনছি গাঁধি। কর্মসূত্রে গুজরাত বেশ ঘুরেছি আমি, কিন্তু ঐ একই পদবি-ওলা গুজরাতি লোকেরা নিজেদের অনুনাসিক মেয়ে গাধা হিসাবে কোনোদিন উল্লেখ করেন নি।

এহ বাহ্য। বিদেশী শাসনে ছিল বহুকাল দেশ। আমরা তাই ইংরাজীটা শিখে গেছি, চীনেরা শেখেনি। ইন আওয়ার হাউস ডে অ্যান্ড নাইট টোয়েন্টি লীভ্‌স্‌ ফল মানে আমাদের বাড়িতে দিনেরাতে বিশটা পাত পড়ে – এও আমরা জেনেছি। মিস-আন্ডারস্ট্যান্ডিং মানে মেয়েটা নীচে দাঁড়িয়ে আছে, তাই না?

ডোন্ট মিসান্ডারস্ট্যান্ড। কাছে এগিয়ে এসে আমার বাণীও কিছু অনুধাবন করুন। করুণ মনে হচ্ছে কি?

১। ফলসিফিকেশন মানে মহিলাটা পড়ে গেল, তার ছেলেটার রঙ ভয়ে ফিকে হয়ে গেল
২। ক্যাটাসট্রোফি মানে মাছ না, শুধু আঁশ পেয়েই বেড়ালটা ভাবছে টুর্ণামেন্ট জিতেছে
৩। লঙ্গিচিউড মানে লম্বা দিকটা চিবিয়ে খেয়েছে
৪। ম্যাসাচুসেট্‌স্‌ মানে মশায় রক্ত চোষে

ভাবছেন এ তো এক একটা শব্দ নিয়ে ইয়ার্কি, এর মধ্যে বাক্য কোথায়?

He got an aesthetic sense মানে আস্তে আস্তে ঠিক তার জ্ঞান ফিরে এলো
২। The rice is fantastic মানে ভাতের ফ্যানটা আঁশটে হয়ে গেছে
৩। Mom scolded for my ugly nature মানে মা আমাকে বকাবকি করে বলল পরের বার চারটে নিস

আর প্যারাগ্রাফ? তাই বা হবে না কেন? মনে করুন কাউকে বলা হলো, এই ইংরাজী প্যারাটার মানে লিখতে।

The girl looked beautiful. She had a bronze necklace. She had an official engagement on Friday. The boy had terrible hair. Everyone loved him for his knowledge. He told the girl, “Miles to go before I sleep.”

এর মানে হচ্ছে এই - মেয়েটার বয়ফ্রেন্ডটা দেখতে বোকা ছিল। মেয়েটার ব্রণ ছিল, ঘাড়ে কম। দিনে তেলেভাজা খেয়ে ফেসিয়াল না করেই তার পাকা দেখা হয়ে গেল। ছেলেটার মাথায় জাস্ট টেরি কাটার মতো অল্প চুল। লেজ না থাকার জন্যে সব্বাই তাকে ভালোবাসত। সে মেয়েটাকে বলল, মা অসুস্থ, তাই ঘুমানোর আগে দেখতে যাব

আজেবাজে বকে ফেললাম, তাই না? আসলে ম্যাগাজিনে লেখা ঠিক অভ্যাস নেই তো!  ম্যাগাজিন মানে একটা টীম, যাতে সম্পাদক, প্রকাশক, মার্কেটিং এসব অনেক কিছু লাগে। এই তো মাত্র ক'দিন আগে কয়েকজন মেয়ে মিলে ঠিক করলো একটা ইংরাজী  ম্যাগাজিন বের করবে। করে ফেললোও তারা। তারপর এই পুজোর কদিন আগে স্পন্সরশিপ জোগাড় করতে তাদের সম্পাদক হাজির হয়েছে এক কোম্পানীর দরজায়। তাদের মধ্যে কী কথোপকথন হলো, সেই দিয়েই শেষ করছি এই পুজো-পরবর্তী সংখ্যার কিস্তি।

-                    আপনি এই ইংরাজী ম্যাগাজিনটার এডিটর?
-                    হ্যাঁ, সার
-                    নাম কী আপনার?
-                    শম্পা আদক।
-                    সম্পাদক তো বুঝলাম। আপনার নাম জিজ্ঞেস করছি।
-                    আমার নাম শম্পা আদক।
-                    আপনি সম্পাদক, আপনার নামও সম্পাদক? তাজ্জব ব্যাপার তো। ম্যাগাজিনটার ওনার   কে?
-                    পি সি মালিক।
-                    আপনার পিসি?
-                    না, না, পি সি মালিক
-                    কার পিসি মালিক, সেটাই তো জিজ্ঞেস করছি। আমার পিসি কোনো  ম্যাগাজিন-     ট্যাগাজিনের মালিক না। আপনারও যদি না হয়, তো কার পিসির কথা বলছেন?
-                    কারো পিসি না সার নাম পি সি মালিক।
-                    ও। সম্পাদকের নাম সম্পাদক, মালিকের নাম মালিক। আর প্রকাশক?
-                    পাওলি, সার।
-                    হ্যাঁ, কে পাব্লিশার?
-                    পাওলি, সার। ওর নাম। সারনেম ইউজ করে না।
-                    পাব্লিশারের নামও পাব্লিশার? কেয়াবাৎ! এরপর বলবেন হয়তো যে ম্যাগাজিনটার নামটাও –
-                    Mega Gene
-                    হোয়াট?
-                    Mega Gene সার।
-                    যা ভয় পাচ্ছিলাম, দেখছি তাই। তা কোত্থেকে বেরোয় এই পত্রিকা?
-                    কোন্নগর।
-                    কোন নগর?
-                    কোন্নগর থেকে সার। 
-                    খেয়েছে! যাই জিজ্ঞেস করি, তাই উত্তর দেয়। তো আমার তো এডিটরকে  দিয়ে কাজ   হবে না, মার্কেটিঙের লোক চাই। মার্কেটিং কে দেখে আপনাদের?
-                    আমিনা।
-                    হ্যাঁ, সে তো জানি, আপনি না। আপনি এডিট করেন। মার্কেটিং করে কে?
-                    আমিনা, সার।
-                    উফ। আপনার সাথে কথা বলাই মুশকিল। আসুন তো। যত্তসব!


  আশা করি পুজো ভালোই কেটেছে আপনাদের। বিজয়ার প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা জানবেন। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন