রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত


টানাপোড়েন  

সমুদ্র গহ্বর থেকে অনায়াসে ক্লীব জান্তব
শরীরে প্রবেশ করে
স্বচ্ছ কাচপুতুল শরীর যাবতীয় ছায়া নড়ে চড়ে
স্থাপিত গভীরে

এই নোনাজল কঠিন সময়
অগ্ন্যুৎপাতে গিরি বিস্ফার
ঘটেছে অতলে
ভেলা ঘিরে উড়েছিল বসেছিল মাস্তুলে সাদাডানা পাখি
বিচ্ছিন্ন কুয়াশা সে

সমুদ্র এক টানাপোড়েন মন্থনজাত সুধারস আহরিত
সঞ্চিত হাতের তালুতে
মুঠো বারবার খুলে যায়
বড় অন্তিম বড় অন্তিমে ডাকে হলাহল



অন্ধকার

একটা অন্ধকার থেকে অন্য অন্ধকারে ছুটছি,
মাঝখানে রোদ্দুরের শস্যগুলো ভারসাম্য রক্ষা
করেনতমস্তকে নড়ে চড়ে হাওয়ায় অথবা
স্থির থাকে, কথা ছিলো পথ দেখাবে তুমি,
অথচ কী আশ্চর্য!

অথচ একা একা খুঁজে ফেরা আম্রপল্লবের
সবুজ সংকেতের মতো অটোরিকশোরা ছুটে যায়
আনাচে কানাচে আমাদের সমস্ত গৃহস্থালিতে
নিস্তব্ধ অন্ধকার চিরে ফেলে, বাণপ্রস্থ চিরে ফেলে

অন্ধকারে ছুটতে থাকি - জ্বলতে থাকি;
অসহনীয় সে জ্বলন - শস্য ঝরে যায়;
মরে যাচ্ছে উড়ন্ত পাখিরা একে একে,
বীভৎস এ সময় লীন হয় চূড়ান্ত অন্ধকারে।



গ্রন্থনায় মেতেছে সময়

এই ভালোবাসা বাসি আমার নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত মোমবাতি - জ্বলে আর নেভে,
স্থাপনের সময় থেকেই তার এ হেন অনিশ্চয়তা তাই ইদানীং অন্য কিছু ভাবি।

সূর্য যদি ঘরে ঢোকে, অনিচ্ছায় প্রস্তুত আছি কারণ আমার অন্ধত্ব চড়া আলো
প্রতিরোধে সহায়তাকারী; আর এই যে অর্ধমৃত জীবন মন্দ নয় কারণ শ্বাস
যাতায়াত করে থেমে যায় ফিরে আসে মৃত্যুভয়ে ভীত নই তত।

এই যে শীতার্ত বসে আছি আগুনের পাশে, তোমার হাতের পাশা মৃদু শব্দ করে,
ঘষা খায় ছুড়ে ফেলার আগে এই শব্দটাই ভালো, কারণ একবার দান চেলে দিলে
ভাগ্য বড় প্রকাশিত হয়, এই যে আগামীকাল আসে - আসতে দেরি হওয়া ভালো
কারণ আজকের দিন ভালোমন্দ বুঝে গেছি, না জানি আগামীতে কী।

তোমাকে দেখেও আর আগের মতো এলোমেলো হয়ে যাই না, এমনই গ্রন্থনায়
মেতেছে সময়।











কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন