জোকার
হাতঘড়ির ভেতর
থেকে একেকটা সিঁড়ি দুলে উঠছে
দম দিচ্ছি, দম
নিচ্ছি
আর ঘুরে ঘুরে
টিকটিকির মতো ডাক ছাড়ছি
অম্নি দৌড়ে দৌড়ে
সমস্ত আয়ুষ্কাল
গোছাতে বসেছে
বছরকার হিসেব
যেন এতদিন কোনো
হাততালির তোয়াক্কা ছিল না
পোড়া লেগে যাওয়া
ব্যঞ্জনে সামান্য মধু ঢেলে
ঘষে মেজে তোলা
স্বরগুলো
এগিয়ে পিছিয়ে
আস্ত একটা গানের খাতা
ফরফর করে উড়ে
যাওয়ার দিকে দ্রিমদ্রিম পাঁজর
ঘন হয়ে থাকা
জন্মপায়েস
গড়িয়ে পড়ছে
হাতঘড়ি গলে
আর অবিকল
ক্লাউনের ভঙ্গিমায়
সন্ধ্যে সাজিয়ে
বসে থাকছি
যা কখনো ছিলই না
এরকম চিহ্ন বয়ে
পূর্ণিমা
তাঁতভাঙা গন্ধের
নিচে এক টুকরো চাঁদের উপমা
স্নায়ুপথ হঠাৎই
জ্যোৎস্না পরিবাহী
আলো ছড়ানোর সমস্ত
উপকরণেই
তাপ থাকা
বাধ্যতামূলক নয়!
জঙ্গল হয়ে ওঠার
কথা ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিচ্ছে
পাতার চিহ্ন,
আগুনলাফ
চৌহদ্দি পেরিয়ে
পিঁপড়ে এগোয়
ছোটখাটো কামড়ের
অপরাধ প্রবণতা
মাঝে মাঝে ভুলে
যাওয়া যেতে পারে
অমাবস্যা
স্পর্শলিপি
শেখানোর কথা ছিল
কথা ছিল
স্বীকারোক্তি
দেখা ও না দেখার
মাঝখানে ধোঁয়া সব করে রব
চিমনি ভর্তি ফুলে
ওঠা পেট থেকে
হাতঘড়ি, সাইকেল
ইত্যাদি লোহালক্কড়
এক নদী, দুই নদী
করে বালি
পা মাপতে নেমেছে
ফাটলে
বুদ্বুদ গড়িয়ে
অন্ধকার, ফোঁটাদের
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন