শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

অনির্বাণ দত্ত

তা না হলে বোকাটা ভাবত

ভাগ্যিস ভুল ভাঙালো এসে
বিজ্ঞানের টিচার
তা না হলে ছেলেটা তো হদ্দবোকা...
বৃষ্টি মানে ভাবতো বুঝি
আকাশ ভাঙা কান্না
টিচারকাকু ছিলেন লেই জানা গেল
কীভাবে বাষ্প হয় নদীর জল  
সূর্যে্র তাপে,
কীভাবে মুছে ফেলে স্রোতের টান
কীভাবে পাড়ের উষ্ণতা ভুলে
বাসা বাঁধে সেই কত উঁচু
সেই কোন্ মেঘজ শীতলতায়...
আর তারপর আবার কখন
খুব ভারী য়ে ওঠা,
আর তারপর আবার যেন
হঠাৎ ফিরে আসা,
অন্য কোনো নদীর টানে
অন্য কোনো ঘাসে

তবু সেই ছেলেটার প্রশ্ন থামে না...
কিন্তু স্যার... সূর্যে তাপ কোত্থেকে এলো?
আর জল গরম য়ে আকাশে উঠতে পারলে  
আমার জ্বর লে উড়তে পারি না কেন?’

ভাগ্যিস বিজ্ঞান টিচার ছিলেন  
তা না হলে বোকাটা ভাবত
বাষ্প বোধহয় ডানা মেলে ওড়ে,
আর আকাশের তারাগুলো আসলে জোনাকী
উড়ে উড়ে লে গেছে অতো দূরে!


মাঝের সময়টুকুর নাম  

এবং উঠে এলো একদিন
সমুদ্রের হৃদয় থেকে একটা ঢেউ...

আলাদা অবয়ব,
আর রক্তমাংসের গন্ধ নিঃশ্বাসে
বালির ভাঙাগড়া,
অনেক অনেক উঠে নেমে
তারপর সকালের প্রথম আলো,
দ্বিপ্রাহরিক ট্র্যাফিক জ্যাম
সান্ধ্যকালীন ভারী বাতাসে হঠাৎ নক্ষত্র দর্শন, 
সব্জী বাজার, খুচরো পয়সার আকাল
বিক্ষোভ, জমায়েত, মোমবাতি মিছিল
ফোনের বিল, চা-এর টেবিলে ক্রিকেট ম্যাচ

তারপর কোনো এক নিঃশব্দ রাতে
সমুদ্রে একাকার আবার
সবকটা হার জিৎ,  
সব জামা-জুতো বালিতে মিশিয়ে।

এভাবে ঢেউ-এর জন্ম, ঢেউ-এর মরণ,
মাঝের সময়টুকুর নাম এই পার্থিব জীবন



1 টি মন্তব্য: