দু’ টুকরো
(১)
সারাদিন পৃথিবী ভেজানো
ছিল মেঘ-মেঘ রোদে
ছিল না তেমন প্রস্তুতি,
তবু ঝমঝম বৃষ্টি এসে
ভাসিয়ে দিয়ে গেল শিরীষের
মগডালে
অতি যত্নে বাঁধা কাকের বাসাটি
বিকেলবেলায় আনমনা যেতে
যেতে দেখি
ভাঙা ডিম তিনটিকে ঘিরে সাতটি
কাকের শোকসভা।
(২)
পুকুরের ধার ঘেঁষে
মহানন্দে গাইছিল
একটি নধর সোনাব্যাং
হঠাৎ আমাকে দেখে থমকে
থামিয়ে গান
তাকিয়ে রইল দুটি
ড্যাবডেবে চোখে
ভুরুটি নাচিয়ে বলি,
‘থামলে কেন হে বাবাজীবন
গাও, আরও গাও
ইমন কল্যাণ কিংবা মিয়াঁ
কি মল্লার’
প্রত্যুত্তরে সে লম্বা
একটা লাফ দিয়ে মেলালো জলের গভীরে।
অদৃশ্য অস্তিত্ব
সেন্টার টেবিলে আছে চায়ের কাপটি শূন্য, একাকী
উঁকি দিলে খুঁজে পাবে তলানিটুকুন এখনও
তলানি প্রমাণ দেবে একটু আগেই আমি এখানে ছিলাম
তাতেও যদি না বোঝো, তবে দেখো
সোফায় উল্টে আছে
মার্কেজের বই
মার্কেজ আমার প্রিয় নিশ্চয় জানো
একটি উপন্যাস ঠিক কীভাবে লিখতে হয়
তা জানার জন্য আমি
কতবার পড়েছি মার্কেজ
তাতেও না যদি পাও যথেষ্ট প্রমাণ
তা হলে দেখতে পাবে সেন্টার টেবিলে আছে
কবিতা লেখার সেই মেরুন ডায়েরি আধখোলা
তার মধ্যে রাখা আছে
সবুজ কালির জেলপেন
একটাই অর্থ তার কয়েকটি পংক্তি লিখে
আপাতত কাছাকাছি কোথাও রয়েছি
ফিরে আসব এমনই
অঙ্গীকারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন