শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

দেবযানী কর সিনহা


গহ্বর

পুরনো জামার মতো বস্তাবন্দী সম্পর্ক
কে নেবে কাকে দেব বাসি পোড়া রুটি
জীবনের যা কিছু হলাহল বাঁচিয়ে রাখি
এসো, ভিখিরি তোমাকে দেব ইষ্ট নষ্ট রুটি
ছোবড়া ছিঁড়ে খাওয়াখায়ি করে সারমেয়রা
বস্তার মুখ খুলে সামান্য ছড়িয়ে রাখা
ঐ বস্তায় কখনো মানুষ ঢুকতে পারবে না


স্বপ্নউড়ান

ধবল কবুতরের স্বপ্ন বিনদাসী
কাল কালো জ্বলজ্বলে চোখ প্রত্যয়ী –
ঘুলঘুলি পথ, পর্যাপ্ত আলো, অক্সিজেন সরবরাহ
খড় পাতা বিছানো বিছানা পাতা
ফুল বিছিয়ে ওখানে নক্সা বোনা
রোদ্দুর কেমন হাসে, কিচিরমিচির করে ওরা
শান্ত দীঘির কাছে ভুলেও যাবে না –
মানুষের গন্ধে ভালো থাকে।


ইতিহাস না ভূগোল 

পিঙ্গল মাটির সর্পিনী পথ বেয়ে
আবার ঠিক চিনে এলাম অজয়ের তীরে,
ক্রিমরঙা মসৃণ বালির ছোট ছোট পর্বত
ধরে রেখেছে তোমার ক্ষীণ শরীরটাকে
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা হাঁসের মতো খলবলিয়ে ছুটছে
ঝোপে ঝাড়ে কখনো কখনো এক হাঁটু জলে,
ভীষণ আন্তরিক দিন! অনেক চেনা মানুষের কাছে ঋণ –
ইউক্যালিপটাসের উঁচু উঁচু অবয়ব দেখে ভাবি
আমরা কত ক্ষুদ্র! কত নিচুজাত! কুপোকাত!
তাই কি সেই আজীবন করে রাখে তোমাকে অধিকার?
সামান্য সময়ের কোলাহল – আছি, আর নেইও একপ্রকার –
মানুষেরও কত নদ নদীর কাছে কত গোপন বলার থাকে।
ইতিহাস না ভূগোল? এই তো পায়ে হাঁটা পথ।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন