মর্ত্য যন্ত্রণা
ঈশ্বরের নিমন্ত্রন আজ
উল্টোপথে ঈশ্বর আসুক আজ
চোখে চোখে অসহ্য নরকপথ
সমুদ্রের পোশাক পরা জনৈক
দিনের-
গর্ভে রচিত শরশয্যা...
কথার ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া
বসন্তের প্রলাপ
এঁটো হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে
শুধু
মুছে যাওয়া ক্যানভাসে
বিষণ্ণ দেবদূত... জীর্ণ অশ্রুতে...
জোছনা ফেরাতে বলে।
ব্যবচ্ছেদ
বসন্তের নখ বেরিয়ে জেগে ওঠা
উজ্জ্বল জলাভূমি - একান্তে...
একক ব্যবচ্ছেদ হয় সব সময়
মেখলা পরা অপ্সরীর উদগ্র
বাহু
থেকে খসে পড়া উল্কাগুলি
শুষ্ক ফুলের দেহ দিয়ে
জোছনার নরম মাটি আঁকছে
আমার পাংশুসুখ ফেলে আসা
সমুদ্রের দেহে বিলীন হলে
খসে পড়ল মেঘের কাঁচুলি
আর করমর্দন মুছে যাচ্ছে
বুঝি
যাত্রাপালায় বেজে উঠছে
পাঞ্চজন্য
উর্বরে আসেনি একটি মৌমাছিও
পচা আত্মায় মহুয়ারতি খুঁজছে
জীবন...
পৌত্তলিক আমি
গাছের শিরা
উপশিরায়
শুনতে পাই
রক্তদের নিঃসঙ্গ তপস্যা
গ্রহান্তরে চেতনা
জাগ্রত হলে
কোটি কোটি
সম্পর্কের বাঁধ বুনছে তাঁতিরা
ফুসফুসের
রক্তনদীটাকে অক্ষর দিতে গিয়ে--
মেলানিন হারাচ্ছে
আমার লিপিকার আঙুল
তাই এঁটোকাঁটা
দিয়ে-
সাজিয়ে ফেলছি
আস্ত জীবন পুস্তিকা
বোবা দৃষ্টিতে
শুধু মাতৃভাষা নয়
হিব্রু-রোমান হরফ
অথবা মানবিক বাউল
বজায় রাখছে গ্রামীণ
মেলা...।
আর ঝাঁক ঝাঁক
যুগরা প্রাচীরের পথ পেরিয়ে
আরও একটা
পৌত্তলিকতার জন্ম দিচ্ছে আমার মধ্যে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন