পদ্মশিশির আয়না
শরীরের ফল নিংড়ে
আঁকড়াতে চায় দু-হাত
পদ্মশিশিরের আয়নায়
ঢাকা থাকে মুখ
গন্ধময় বার্তা উড়ে আসে হাওয়ায়
বিষময় সবুজাভ গ্রেনেড
ব্যান্ডেজে লেগে থাকা
শুকনো কালো রক্তে
মিশে যায় বারুদ
শিশুগন্ধ জড়িয়ে থাকে
‘বাবা’ ডাক পিছনে ফেলে
এসে কি খুঁজে চলে
নিথর দৃষ্টি? দিগন্তপাড়ে,
দিকচক্রবলয়
বন্দনায় বৈতরণীপাড়
বৈতরণী ছাঁটচোখ
কোকিল অন্ধকার জোনাকরাত
হারাদিশা স্বর্গ-নরক
সুখবিতান পার্থিবতা ধীরে ধীরে
ছেয়ে যায় মনন
এ সেই মাধুর্য্যপ্রতিম
সৃষ্টি যার মুগ্ধতায় একাকার
হয়ে ওঠে মনলহরী
যার পবিত্রতা স্পর্শ
করেছিল শরীর মনন
প্রাণবন্ত শ্যামলিমা
চাড়িয়ে যাচ্ছে শিরায়
কোথায় কে আছ?
আজ আমি ঈশ্বরী হয়ে গেছি
আমার বন্দনায় একটা ঘাসফুল
ভাসিয়ে দিও বৈতরণীঢেউ
মস্তিষ্ক বা মন - প্রবল আলোড়ন
আয়নায় রিফ্লেক্টেড আলোককণা
চোখ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়
একাংশ ঢুকে পড়ে মণির গভীরে
ঠেলা মারে মস্তিষ্ক বা মন
প্রবল আলোড়ন কখনও শিহরণ
কখনও জ্বালাময়
ভীতি ধরে আয়নায়
বীভত্স প্রতিবাদ চক্ষুহীন, মণিহীন
কোল পেতে আছে দোলনা
শূন্য হাওয়ার দোলা
রাতমরু - মৃত্যুফাঁদ
রাতের বুকে লুকোনো কান্না
ফোঁপানি শোনা যায়
প্রতিটা অশ্রু ঝরে পড়ে-
একাকী ঊষর মরু
বাষ্পীভূত| প্রচন্ড তাপ
মাটি ছোঁয়ার আগেই
কোথায়? কেউ জানে না
দুঃখের অতল থলিটায়
জমতে থাকে চোরাবালি
পড়লে বেরোনো অসম্ভব
মৃত্যুফাঁদের কুটিলতায়
নোংরা জীবনগলি কর্দমাক্ত
চলতে গেলে নষ্ট হবে শরীর
হবেই - লেগে থাকবে দুর্গন্ধ
কখনও কখনও মনও
সুবাসে জারিত জীবন অসহায়
শুদ্ধতা এক সাধনা
সিন্দুক
সিন্দুক মাঝারি মাপ
কৈশোরের যত গাঁথামালা
সযত্নে তুলে রেখেছি তাতে
তপ্ত যৌবনরৌদ্র অসহ্য আঁচ
ঝলসে দিয়েছে ইচ্ছানদীর জল
সেই তপ্ত-হিম ইচ্ছেটুকরো
রঙীন সুতোয় একটা একটা করে গেঁথে
গুছিয়ে রেখেছি এই সিন্দুকে
আছে একটা গোটা নদীও
যেখান থেকে এসেছে
সেই নীল পাহাড়-উত্স
ঝির-ঝির| নীলঝোরা
জলভার জলাশয়
বালিপথ বয়ে চলা
ছলাত্ছল কান ভেসে আসে
আমার সিন্দুকের গহীন থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন