বিক্ষিপ্ত কিছু অতিকথন
পুরুষমিথ পাশাতে বাজী রেখে, বলী রেখে উন্মুক্ত স্তন
পুরুষজন্মচিহ্ন খোঁজ? সাধস্বাদসাধ্যের সহজাত পাঞ্চালী
ক্ষুধার লোলুপ আমার তে-ভাগা জমিনে অধর্মের বীজ বুনে...
শরীর মানে যথেচ্ছ অর্গাজম শরীর মানে যথেচ্ছ দেশ ভেবে
কুরু ও পাণ্ডব কুরুপাণ্ডব ও ঈশ্বর ও দানব
কুরুপাণ্ডবঈশ্বরদানব ও নাগরিক ও জীয়ন্ত পাশা
মাংসপিণ্ড ও দেশ
মাংসপিণ্ড ও যুদ্ধ
যোনিদ্বার ও ইতিহাস বিজয়গাথা সংগ্রাম ও যুদ্ধের ভণিতা
বল, প্রথম... পঞ্চমপাণ্ডব, প্রথম ও শেষ কুরুপতি
যথেষ্ট যথেষ্ট তবে শরীর চোখ ও লিঙ্গের দ্রবণ
স্তন কোমর নিতম্বও
গ্রীবা ঠোঁট শিরদাঁড়া ও ও আমৃত্যু V উপত্যকা
অথচ নারী সত্ত্বা নয়, পাখি সত্ত্বা নয়, চোখ সত্য নয়
নারী ও ইতিহাসটোপ
নারী ও ইলিয়াস - ওডিসি যুদ্ধ
পাঞ্চালী ও আখেরে যুদ্ধের উদ্বোধনী
গল্পটা কোনোভাবেই শেষ ও শুরু হয় না অথবা কোনো
গল্প নেই, কোনো চরিত্র নেই, কোনো সংলাপ নেই, কোনো মুখরা
অন্তরা নেই, শুধু ভোগ শোক হত্যা মিথ্যা আর আর আর অতিবেগুনীরশ্মি
শূন্যতা।
ট্রেনের ভিড়ে মধ্যষাটের হরিবাবু যখন কলেজ ফেরতা
মেয়েটির শরীর সংলগ্ন দাঁড়িয়ে জ্যামিতি করেন, বাহুকোণ ৪৫ ডিগ্রী থেকে ৯০
ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে যখন মেয়েটিকে প্রকট করতে চেষ্টা করেন (চেষ্টা বলা যাবে কি?
চেষ্টা নয় আদম্য রিপু বিপর্যয়), তখন মেয়েটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বারকয়েক
এদিক-ওদিক তাকিয়ে যখন বলে, কাকু একটু এগিয়ে যান না! দাঁড়াতে অসুবিধা হচ্ছে। তখন কাষ্ঠ
হাসিতে উত্তর আসে, মা গো, সরবার জায়গা নেই যে!
এই কথার মধ্যে কি একাঙ্ক নাটক খেলে গেল না? মানুষ যা বলতে চায়, তাই কি বলে? আর মানুষ যা
করতে চায়, সেটাই কি করে সব সময়? চেতন-অবচেতনের পর্দা অতিক্রম
করতে পারে না বলেই মানুষ নাটকের কাছে ঋণ করে, মিথ্যে
শব্দের কাছে নিজের মিথ্যাচার গচ্ছিত রেখে
আপ্রাণ ভালো থাকার চেষ্টা করে। এই চেষ্টার মধ্যে যতটা
আন্তরিক থাকে, সত্যর কাছে এই আন্তরিকতা রাখতে পারলে মানুষ স্বঘোষিত ঈশ্বর হয়ে যেত।
যুগযুগান্ত ধরে শিল্পে সাধনায় ললিতকলায় নারী
মানেই সুন্দরের প্রতিচ্ছবি, নারী মানেই প্রকৃত সৌন্দর্যের পৃষ্ঠা। নারীর শরীর না লিখলে আঁকলে যথেষ্ট কলকে পাওয়া
যাবে না ধরেই যেন শিল্প প্রতিভার উন্মোচন
হয়। অথচ নারী নিজেই কি সব সময় বোঝে, কীভাবে ব্যবহার হয়ে যাচ্ছে তার শরীর শিল্পের
নামে? চিত্র প্রতিকৃতি যদি ধরা যায়, প্রিয়ংবদা নারী বিন্যস্ত আঁচল পর্যাপ্ত যৌবন
প্রসন্ন আলো আঁধারীর মায়ায় খেলা, এগজিবিশনের দর্শক, পকেট গরম সৃষ্টিকর্তার, মনপকেটে ভরপুর
অর্গাজম। অর্থাৎ
যত সৌন্দর্য ঈশ্বর দিয়েছেন কেবল মাত্র নারীকে, কেমন মাত্র যেন মাতৃজন্ম স্থানেই
সকল ঐকান্তিক সৌন্দর্য ফুলের মতো ধাঁধার সৃষ্টি করেছে। তবে এই সৃষ্টিকাজে নিজের নাম লেখাতে পেরে রমণীরাও গর্বিত বটে। তথাকথিত আর্টফিল্মে পুরস্কার প্রাপ্ত ছবিতে সুড়সুড়িওয়ালা যৌনশুদ্ধামনে দৃশ্যঘন মুহূর্তকাল
চিরস্থায়ী হোক, ঘর ভরে যাক আহা পুরুষধর্ষিত এওয়ার্ডে, ওদিকে একটা ব্যান্ড তৈরি হোক ছবি নির্মাতার।
কবিতাও কি শুদ্ধ হয়? মাতৃস্তুতি বন্দনা সীমারেখা অতিক্রম করে যখন এ দেশ তোমার দেশ আমার-এর
খই ছড়িয়ে চিতার কাঠ সুচারু পরপর সাজিয়ে পাঠককে স্বর্গের আপেল বাগান দেখাতে সক্ষম হন, সেখানেই
তো ব্যাপ্তি কাব্যকারের। সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রূপ কোনোকালেই সৌন্দর্যের পরাকাষ্ঠায়
উত্তীর্ণ হতে পারে নি, আধখোলা বুক যতখানি রুদ্র রূপ জাগায়
রোমশ বুকে, ততখানি কি নিরাভরণ পূর্ণিমা? শব্দ নিয়ে খেলা করা কাঁটাছেঁড়া এক্সপেরিমেন্ট পর্যায়, কিন্তু নির্বোধ
হাতে মোক্ষম আঁচড় উলঙ্গ রমণীর জোর করে
স্বর্গসুধা পানেরই নামান্তর। চিত্র গ্রামীণ হোক বা মেট্রোপলিটন, আধুনিক কিংবা পুরাধুনিক, লেহন চোষণ চর্বণ চলতেই থাকবে জাত ধর্ম শরীর নির্বিশেষে।
কথায় বলে, গণ্ডারের মাংস নাকি অযোগ্য; পোষ্টমর্ডানিজম
যুগে বাঘে ছালের সাথে গণ্ডারের মাংস
ফুটিয়ে দিব্যি তন্বী নারীর প্রতিরূপ গড়ে স্রষ্টা যদি ধর্ষণ করে ক্ষতিটা ঠিক কোথায়?
আসলে তাপ উত্তাপ ছাড়াই আমরা নিজেদের আগুন ভাবতে
ভালোবাসি। আসলে
আগুন চিতার চূড়ায় বসে আত্মাকে স্রষ্টা ভাবতে ভালোবাসি। আমার গন্ধযুক্ত বীর্যে যদি
এক নতুন প্রাণ জন্ম নেয়, তবে সেই স্খলিত
ফোটায় ভিজে যাক ঐশ্বরিক পথঘাট, ভেসে যাক ফুটপাথের নদীনালা।
****
ইদানিং মৃত্যুর পর আর জন্ম নিতে ইচ্ছে করে না
জন্ম মানেই একটা অজানা হারেম থেকে
লোকায়ত অদৃশ্য রাজা-বাদশার হারেম। জন্ম নিলেই
সেই তো ঘোড়া, সেই তো হাতি
সেই তো হাজার ওয়াট নিয়নশুদ্ধ রাজকীয় আস্তানা
এর আগে কিছু নেই, পরে চিতাকাঠ
ছাই, ধোঁয়া, কার্বন
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ
নদী ভেসে যাওয়া অসময়ের বৃষ্টি
শূন্য রানওয়ে
কয়েক কয়েক কয়েক কোটি হায়না দৌড়ে যায়
শূন্য মেয়ের
শূন্যর দিকে
****
গত রাতের শরীরী ক্ষত নীলচে রঙের তীব্রতা ধারণ করে যথেষ্ট বেদনা দিতে সক্ষম, তবুও ক্লাবের ছেলেদের হাতে পায়ে পড়ে সুশীলা সমানে কেঁদে চলছে, তার স্বামীকে কেন পুলিসের হাতে তুলে দিলে বাবু? মারুক নিপাত যাক তবুও যে সোয়ামি। আসলে মমতা মায়া নারী রূপের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নারীর রূপের দিকে মহালক্ষীর স্বর্গকমলের সুগন্ধি। আর এই প্রেমপর্ব সমগ্র সাহিত্য জুড়ে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে আছে যে, নারী ও শিল্পভাবনা কোথায় যেন সুতো ও লাটাই।
রোমান্টিসিজম ছাড়া সৃষ্টি সম্ভব নয়। আদি সাহিত্য ঘাঁটলেও একই দৃশ্যপট ভেসে উঠবে চোখের সামনে। পুরুষ কবিদের চুল আঁচড়ে দেবার, দাঁত ব্রাশ করে দেবার, এমন কি স্নানবস্ত্র পরিধান ও পরিত্যাগ করিয়ে দেবারও অসংখ্য প্রেয়সী মজুত ছিল। হ্যাঁ, তখন অবশ্য ওয়েবের রমরমা ছিল না, মেয়েদের যথেষ্ট ঘেরাটোপের মধ্যে থাকতে হতো; তবুও পদস্খলন রুধিবে কে! যদি সে পদখাতের দিকেই ধাবিত হয়! যাইহোক বিষয়ে আসা যাক। নারী ও কবিতার মধ্যে কে কতখানি সৌন্দর্যের অধিকারী? সন্তান প্রসব বেদনায় ছটফট করা মা, তার বেদনার মধ্যেও সুখ। সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর সে কালো না ফর্সা, রূপবান নাকি কুরূপ, তা ভেবে মা বিলাপ বা আদিখ্যেতা করতে বসেন না। বরং নিজ সত্ত্বা জন্মদানের স্বর্গীয় অনুভূতিতে মোহিত হয়ে থাকেন। কবিতাসন্তান প্রসবের সাথে সাথেই তার শরীরে কাপড় না চড়িয়েই দর্শক দর্শন কিছুটা শনিদেবের ভাগিনা অবলোকনের মতোই। যাইহোক আমরা সোজা কথা সোজা ভাবেই যদি বলি, তবে তো সেটা কথার পাহাড় হলো, কবিতা হলো কি?
শিল্প-যৌনতা-নারী-পুরুষচোখ-পুরুষলেখক-পুরুষকাম
কোথাও এসে যেন নারীকে প্রতিনিয়ত ভাগাড়ে নামাতে চেয়েছে। আর নারী বোধ আর বাধ্যতার
মধ্যে পড়ে নিজের সত্ত্বা হারিয়েছে নিজে শিল্প হবে, এই চেতনার সামনে এসে। ভোগের নিরিখে কোনো শিল্পীও কম নয় কোনো ধর্ষকের চেয়ে। মনের অবদমিত কাম বা অবচেতনের কাম নিয়ন্ত্রণ করেছে তার শিল্পকে। স্বয়ং শিল্পী তাই বোধহয় অনেকটা অসতর্কভাবেই লিখে ফেলেছেন তাঁর জৈবিক চেতনায় শিল্পের মধ্যে
নারীকে ভোগ্য ও ভাগ্য করে...
সারারাত 'বিচিত্র-বীর্য' নিক্ষেপ করবে বলেই -
কালকের সকালের নাম রাখবে ঈশ্বরবিশ্বাস।
মধুবনি আপেল হাতে, নাস্তিক ও পাগল
দালাল ও পুরোহিত
সমাজবিরোধী ও রাজনৈতিক দাদা তৃতীয় বিশ্বের ক্ষুধা নিয়ে
হামলে পড়বে জ্বলন্ত নাভিকুণ্ডের দিকে
তুমি যদি যথার্থ সতী হও
তুমি যদি যথার্থ পুরুষ হও
দু’জন দু’জনকে চেটে খেতে খেতে বলতে পারো
যোনি ও লিঙ্গ যথার্থ মানুষ বিশেষ একটা সাহিত্য...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন