দিনান্তের আলো
একটা বাড়ি - ‘দিনান্তের আলো’
দুপুর-সন্ধ্যার প্রাসঙ্গিকতা আছে, প্রাধান্য নেই।
বেলকণি জোড়া লতা-ফুল
তাতে উড়ে বেড়ানো গুটিকয়েক ফড়িং
ডানার ঘ্রাণের প্রাসঙ্গিকতা আছে, প্রাধান্য নেই।
বেডরুমে পুরনো সঙ্গম
দেওয়ালে টিকটিকির লেগে থাকা ডাক
আর বিছানায় রঙধনু
হলুদ রঙের প্রাসঙ্গিকতা আছে, প্রাধান্য নেই।
মেঝেতে রক্তের দাগ
একথোকা কৃষ্ণচূড়া পদতলে আহত হলো মারাত্মক
অনিবার্য মৃত্যুর প্রাসঙ্গিকতা আছে, প্রাধান্য নেই।
কৃষ্ণচূড়া এখন চিকিৎসাধীন কারও ছায়ানিবিড় হাতের কোলে।
কামনাগুলো শুভ
মস্তিষ্কে এখন স্মৃতির বদলে অন্ধকার
সেই অন্ধকারকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি দিয়ে
মন্থর পথগুলো এই ঘুমন্তের মুখ চেয়ে
নিজ ক্রোধে ছুটে যাক।
আজন্ম বার্ধক্য আর বরফ চাপা স্বভাবকে
রোদ-ছায়া দিয়ে মানুষ করি
পাথরের তৃষ্ণা থাকা অবস্থায়
সাজাই সুন্দরের অনিবার্য বাসর।
নেশা উঠুক, বসন্ত উঠুক ক্ষয়িষ্ণু পাথর বেয়ে।
জলের পালক
সূর্যাস্তগুলো তুলে রাখি
আগামী কতটা নিশ্চিত, ভাবতে গেলে
অন্ধকূপে পড়ে যাই নিরুপায় শিশুর মতো
উদ্ধারের ডাক কেউ শুনতে পায়, কেউ পায় না
আলোতেও আর দৃশ্যমান হয়ে উঠি না শেষমেশ।
পতনকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে
আরও পতনের দিকে ধাবমান সৈনিক খুলে ফেলে সাহসী পোশাক
নগ্নতা বুঝি না বলে কো্নো পার্থক্যই চোখে পড়ে না।
দৃশ্যরা উবে যায় কর্পূরের মতো
যদিও সূর্যাস্ত ছাড়া আর দৃশ্য তেমন নেই
রাতকে জাগিয়ে ভোরে বিছানায় যাই
শ্বাসকষ্ট মুছে সবুজ বেড়ে ওঠে আলিঙ্গনে।
ঘুমকপালে জলের আধমরা চুমু আছড়ে পড়ে কল্পনায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন