শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়

স্প্রিং দেওয়া পুতুলের স্বীকারোক্তি




খাঁচার ভেতর হাওয়া যাতায়াত করে পাখি যাতায়াত নিষিদ্ধ একটি অভ্যাসের ফলে যদি পাখি নিজেকে বাধার ক্ষেত্রফলের তুলনায় তুচ্ছ করে ফেলে ফাঁকি লিখে সে উড়ে চলে যেতে পারে ফাঁকি সেই অপূর্ব প্রথা যাকে দূর থেকে অপমান বলে মনে হলেও,  কাছে গেলে একবুক নিজস্ব পাওয়া যায় এর সাথে ওই অভ্যাসের যাতায়াত তীব্র অভ্যাস দুর্বল হলে বাধা ঘন হয়ে যেতে পারে ঠিক এই মুহূর্তে সুযোগের জন্ম হয়  গলিপ্রায় এক পথ হয় অন্ধকার অথবা চোখ সম্পূর্ণভাবে বাঁধা সুযোগ শুধু সফলে  গিয়ে শেষ হয় নইলে রাস্তাটির নাম চেষ্টা হয়ে চওড়া হয়ে যায় খাঁচা মালিকের নজরে পড়ে বাধা আরও পুরু হয়ে আসে এখন আর ওই অভ্যাসে সফল হওয়ার পথটি খোলা নেই সুতরাং ফাঁকি শব্দের প্রয়োগের জন্য অন্য চরিত্রের প্রয়োজন পাখি মানুষে ভ্রমণ করে খুঁজতে থাকে সেই অভ্যাসটির প্রকৃত দোসর অভিনয়ের জন্ম হয় প্রথমে সেটি মানুষের পর্দায় ছায়া তৈরি উদ্দেশ্যে ভেতরে একটি প্রস্তুতি হতে থাকে  যার গন্তব্য ফাঁকি মঞ্চে যখন পাখি মৃত্যুর ভূমিকায় মানুষ তখন কান্নাকে আশ্রয় করে বিশ্বাস করছে অভিনয়কে এইভাবে যখন পরাজয় নিশ্চিত, খাঁচা খুলে দেবে  মানুষ পাখি সুযোগের ভেতর দিয়ে অভিনয়ের সাহায্যে ফাঁকিকে সফল ঘটিয়ে দেবে মানুষ আবিষ্কার করবে ঠকে যাওয়া শোস যার দুটো দিক পাখির ডানার  মুক্তো খসে পড়া আর খাঁচাকে আঁকড়ে মানুষের কান্না

শরীরই প্রকৃত বন্ধু পাখি বা হৃদয় নয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন