দৃশ্যত ব্লেডটিকে খুঁটিয়ে দেখছি
এখানে সৌখিন আরোহণ বলে আর কিছু নেই
সবটুকুই প্রাচীর
অভ্যেস পেরিয়ে ওপাশ যাওয়া।
তাই কদিন ধরে ভাবছিসবটুকুই প্রাচীর
অভ্যেস পেরিয়ে ওপাশ যাওয়া।
একটি ব্লেডের সঙ্গে পালিয়ে যাব।
পুরনো দেওয়ালকে জিজ্ঞেস করলাম
ঝুলে থাকা কার্নিশকেও
কেউ বাধা দেয়নি।
সিল্কমতো হালকা অথচ ধারালো এ ধাতু
আলগোছে কোথাও গুজে নেব
দৃশ্যত ব্লেডটিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি
কিছু যতিচিহ্ন রেখে
অবচেতন ত্বকে এঁকে নিচ্ছি কালশিটে দাগ
কল্পনায় শুষে নেওয়া রক্তবিন্দু
ব্লটিংপেপারে জবাফুলের ঘ্রাণ ঢেলে
অন্য কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ব্লেড
দৃশ্যত এমন কিছুই ভাবছি আমি।
সাইকেল ফিরে এসো
থ্যাবড়ানো সাইকেলটা দেখে মনে হলো আমারও জীবন ছিল তুমুল। আর এক গোছা চুল একদিন হাতল খুলে ফেলে। সেই কবেকার বিলিকাটা দুপুর। গল্প হচ্ছিল নিজের সঙ্গে। ঝলমলে বারান্দায় রোদের স্তুপ রেখেই গিয়েছিলাম। ফিরে এসে খুঁজে তো পেলাম না। বৃষ্টির ভেতর মনের ভেতর ঘূর্ণিঝড়। মেরামত শেখেনি বলে জং ধরা সাইকেল আমার। ক্ষয়ে যাওয়া পথ। নিদেন পক্ষে বৃষ্টির দিনে ফিরে আসো পথ। আমার চাকা। পোকামাকড়ের সঙ্গ। সাইকেল কি আর জানে ওড়নার অসুখ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন