মোরগ – লড়াই
উত্তরপ্রদেশের
বুলন্দ শহরের পহাসু থানা। এস পি রবিকুমার শুক্লা অস্থির হয়ে পায়চারি করছেন।
‘পহাসু থানার
করৌরা জঙ্গলে কখন খেলা হয়?’
‘প্রতি মাসের
প্রথম রবিবার, স্যার’ পুলিশ কনস্টেবল রামলালের উত্তর।
‘কোথা থেকে লোকজন
আসে?’
‘স্যার, আশে পাশের
জায়গা থেকে’
‘কোন্ কোন্ জায়গা?’
‘দিল্লি,
গুড়গাঁও, হরিয়ানা, আলিগড়, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, মিরাট, বদায়ুন’
‘বাহ্, বাহ্...’ এস পি সাহেব চেয়ারে বসে জানালার বাইরে
তাকিয়ে রইলেন।
‘স্যার, পুলিশ-ভ্যান
রওনা দিয়েছে’
‘রামলাল, পানি দো
মুঝে’
‘জী স্যার’
জাভা আর লালু,
দুটি মোরগ ঘিরে খুনিখেলা শুরু হয়ে গেছে। অজস্র লোকজনের আনন্দ উদ্দিপনায় ঘন জঙ্গল
কেঁপে উঠছে।
পাঁচ লাখ টাকার
দাঁও!
‘জাভা লালুর উপর
ঝাপট দিচ্ছে’
‘আরে, লালু জাভার
উপর ঝাপট দিচ্ছে’
‘যে কোনো একটি
মোরগের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এই রক্ত-খেলা চলতে থাকবে’
‘আবার একটি মোরগ
ঘায়েল হয়ে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেলেও খেলা শেষ হয়ে যেতে পারে’
দর্শকদের
কথাবার্তা হাততালি শোরগোলের ভেতর ম্যাচের রেফারি বাঁশি বাজাল।
রেফারি ঘায়েল
মোরগ দুটির শরীর থেকে ঝরে পড়া রক্ত পান করতে থাকল।
দর্শকদের হাততালি
আর সিটি-র প্রতিধ্বনি শোনা গেল। রেফারি জাভা আর লালুকে খেলার ময়দানে লড়াইয়ের
জন্য আবার ছেড়ে দিল। জাভার পায়ে বাঁধা ছুরি লালুর উপর আর লালুর পায়ে বাঁধা ছুরি জাভার উপর উন্মাদ
হাওয়ায় মেতে উঠল।
‘রামলাল, কোনো
খবর এসেছে?’
‘না, স্যার’
‘ভারতীয় সংবিধান
২১ এবং ৫১ এর খিলাফ এবং সুপ্রীম কোর্ট-এর খিলাফ এই মুর্গোঁ কী জংগ’
পহাসু থানার
করৌরা-র জঙ্গল তখন পুলিশ ফায়ারিং-এ উত্তাল হয়ে উঠেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন