শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়


ডেডলক্


বোকা বোকা দিনটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে
জাপটে ধরে অজগরী রাত,
পিচ্ছিল শরীরের বিছানা জুড়ে
উঈঙ্গারের দ্রুততা
আক্রমণ তুলে আনে চেনা বিবর অবধি


ছকে ফেলা জীবন
রোজ একই রাস্তায়-একই সময়ে
মাপা পথ হারায় আবার ফেরে

চায়ের ভাঁড় থেকে ভাঁড়েদের জট
খুলে কুকুরের লেজের মতো ক্ষমতা
একচুলও ইগো ছাড়ে না
মিস্টার অ্যান্ড মিসেস শালিক


টার্সিয়ারী যুগের বিনোদন বদলে
অ্যাম্পিথিয়েটার হাত বাড়ায়
ভান করা স্টান্টম্যানের দিকে


খুব বেশি দূর যেতে হবে না,
মাঝপথেই মিলবে মেরামতির ক্যানেস্তারা
যেখান থেকে খোলা পথে মুড়লেই
আদমখোরের দেশ ...


প্রস্তরযুগীয়


পাতলা ক্যাচ গলিয়ে আপশো,
যেন আপশোসের বয়স বাড়েনি!
চোখের তলায় বলিরেখার দাগ
পরতে পরতে চমক খেতে খেতে
আর মচকায়ও না ...


সাজানো কুস্তির খাঁচা জনসভা ছুঁয়ে
মাকড়সামানুষের মতো এ জাল
সে গাল ছেড়ে এ গাল ...


পাতানো মেসেজে নিয়োগ জমজমাট
বিতর্কের গসিপ ধরে অবচেতন
এম উঠে আসে স্টিং অপারেশন অবধি এস. এম
চাইলেও কেউ হিচকক হতে পারে না,
কিংবা কোনো দারুণ নেরুদা।


তবুও কানাঘুষো আঁধারে
অজাচারিণী এসে দাঁড়ায় প্রেমিকার ছদ্মবেশে
আর তার কাচরঙের খাপখোলা শরীর
বাম হাত উঁচু করে লালকার্ড তুলে ধরে,
পপকর্নের সিটে হাসতে হাসতে খুন হই,
শূন্য থেকে এসেছি-শূন্যে যেতে কিসের ভয়!




বিচূর্ণীভবন


ভাঙন বেয়ে আছড়ে পড়ে ভাঙন,
পাইক-বরকন্দাজের রক্ষণ সাজিয়েও
রাতমাখা বুলেট আটকানো যায় না,
তাসের ঘরের মতো চুরমার
আয়নাতে লুসিফারের থেকেও বীভৎস মুখ!

এবার মুখোশ লুকোনোর পালা,
চার দেওয়ালে হিজিবিজি খিস্তির প্রলাপ,
নগ্নতার মাংসল সমীকরণ
হেরোইনের ধোঁয়ায় সংসার সাজায় ...

দুঃস্বপ্নের নরক খামচে ধরে
হেঁটে আসে কেউ চামচ হাতে,
ঠুকে ঠুকে দেখে অন্ডকোষ সচল কিনা,
যন্ত্রণায় চোখমুখ লাল ছিঁড়লেও

পরীক্ষা নিরীক্ষা যে থেমে থাকে না –



সমান্তরাল চললেই তো হয়
যেভাবে জীবাশ্মেরা পারেনি,
সবুজ আলোয় স্লুইস গেট খুলতেই
ভাঙন বেয়ে আছড়ে পড়ে ভাঙন ...





1 টি মন্তব্য: