জন্মশাপ
পাশ ফিরছে ভ্রূণ
তাকিয়ে থাকো প্রাণপণ,
‘ভয় পাচ্ছি না’ বলো বারবার।
তাকিয়ে থাকো প্রাণপণ,
‘ভয় পাচ্ছি না’ বলো বারবার।
অন্ধকারের নখ
তুমি পড়েছো তার চোখে
টুকরো টুকরো শিশু, ঘেমো রক্ত।
তুমি পড়েছো তার চোখে
টুকরো টুকরো শিশু, ঘেমো রক্ত।
ওই দেখো... দেখো্...
তোমার বিছানার এক কোণায়
তোমার আগুন সই কন্যা চেয়ে আছে।
তোমার বিছানার এক কোণায়
তোমার আগুন সই কন্যা চেয়ে আছে।
আড়াল হও,
লুকোও,
তার কষ বেয়ে নামছে ঘৃণার ধারা;
প্রস্তুত হও...
তার কষ বেয়ে নামছে ঘৃণার ধারা;
প্রস্তুত হও...
কচি ‘থুঃ’ চীৎকারে
কেঁপে উঠবে তোমার জন্মলগ্ন
কেঁপে উঠবে তোমার জন্মলগ্ন
নীরবতা কাম্য
অন্ধকারের জামা আছে,
বর্বরতা কি?
ঘাম রক্ত শ্লীলতা নিয়ে হলোই না হয়
একটু টানাহ্যাঁচড়া!
হোক হোক...
বর্বরতা কি?
ঘাম রক্ত শ্লীলতা নিয়ে হলোই না হয়
একটু টানাহ্যাঁচড়া!
হোক হোক...
কোন যুগে শিক্ষাগুরুকে বাবা জানতে?
বাবাদের কিনে ফেলছে প্রচুর ক্ষমতাশালী রং
সন্তানদের আলোকিত করেন তাঁরা
কালোর আড়ালে।
বাবাদের কিনে ফেলছে প্রচুর ক্ষমতাশালী রং
সন্তানদের আলোকিত করেন তাঁরা
কালোর আড়ালে।
কথা বোলো না নতুন প্রজন্ম
প্রতিবাদের সংজ্ঞা পিঁপড়ের ডানা;
“চোপ রও! দানা ভরে দেবো শরীরে
আঁচড়ে দেবো কোনো ছাত্রীর...”
প্রতিবাদের সংজ্ঞা পিঁপড়ের ডানা;
“চোপ রও! দানা ভরে দেবো শরীরে
আঁচড়ে দেবো কোনো ছাত্রীর...”
আমি
বর্ণান্ধই বেশ আছি,
ভাতঘুমটা শান্তির হোক্!
স্পৃহা
জীবন্ত
ভিসুভিয়াস কোলে বসে আছি
দশ মাস অপেক্ষারত নারী,
আঁচলে জড়িয়ে ধরেছি তিলতিল বেড়ে ওঠা
কন্যা রক্ত, কন্যা মাংস, কন্যা মজ্জা,
কন্যা স্পন্দন, কন্যা ধমনী।
দশ মাস অপেক্ষারত নারী,
আঁচলে জড়িয়ে ধরেছি তিলতিল বেড়ে ওঠা
কন্যা রক্ত, কন্যা মাংস, কন্যা মজ্জা,
কন্যা স্পন্দন, কন্যা ধমনী।
ছোট্ট ছোট্ট দু’হাতের বেড়ে দেখেছ মায়া?
কন্যা মুখের খই ফোটা বুলি,
প্রতি শ্বাসে মরুঝড়,
ঢেকে যায়... ঢেকে যায় মাতৃদায়
আলো হও আঁধার, শুধু একবার...
যদি চীৎকার করে বলি?
সদ্য একাদশী বাক্হারা দৃষ্টি
মেলে দেয় প্রশ্নপত্র
বিশ্বাস করতে পারি?
হে পরমপিতা,
“বাঁচতে চা মেয়ে”, বলে মারলে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন