মুখাবয়ব : বহমান সময়ের ভাষ্য এবং রিয়ালিটির আত্মদর্শন
(২)
প্রতিকৃতি নিয়ে আলোচনায় খুব জোরালোভাবে উঠে আসে দালির কাজ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু দানা বাঁধছে নতুন আর এক বিশ্বজোড়া যুদ্ধের পটভূমিকা। ১৯২১ সালে মা মারা যাবার পর মাদ্রিদে ছবি আঁকা নিয়ে পড়তে এলেন দালি এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপে খুঁজে পেলেন মেধাবী দুই শিল্পীকে। লোরকা, বুনুয়েল এবং দালি- অসীম প্রতিভাবান তিন শিল্পী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চোট, আঘাত, যন্ত্রণা, মৃত্যু মানুষের ভাবনার জগতকে সমূলে পরিবর্তন করার পক্ষে ছিল অনুঘটক স্বরূপ। যুদ্ধের নিষ্ঠুর দিকগুলোর দাপটে ভাবনা চিন্তায় দেখা দিয়েছিল উন্মাদনা; বাস্তবের থেকে দূরে থাকা, এক বিকল্প জগতের খোঁজ ও পরিত্রাণ। ত্রিস্তান জারা সুইজারল্যান্ডে এসে যে খামখেয়ালিপনাময় শিল্পবোধের সঞ্চার করলেন, সেই ডাডাইজম নানান চড়াই উৎরাই সামলে আঁত্রে জিদ, রঁবোর বিশ্ময়কর বখাটেপনার আকর্ষণীয় দিকগুলির পাশাপাশি খানিকটা সামঞ্জস্য খুঁজে পেতে মেনিফেস্টো তৈরি করল ১৯২৪ সালে সুরিয়ালিজমের। ফ্রয়েডীয় চিন্তাভাবনার স্বপ্নগুলোতো ছিলই, তার সঙ্গে যুক্ত হলো অটোমেটিক রাইটিং ও ডেল্ফির সক্রেটিসকে বলা আত্মদর্শনের নতুন এক ম্যাজিক।
১৯২৪ সালে দালি আঁকলেন লুইস্ বুনুয়েলের প্রতিকৃতি। ছবির রঙ সেখানে মৃদু বা বলা চলে সম্ভ্রান্ত। রেখায় বলিষ্ঠতা ধরা পড়ছে নিপুণভাবে। সুরিয়ালিস্ট আন্দোলনের বলিষ্ঠ ছবি তৈরি করছেন যে মানুষ, তাঁর প্রতিকৃতিতে রেখা, অবয়ব, অভিব্যক্তি যে বলিষ্ঠ হবে এটাই খুব স্বাভাবিক। দালির কাজের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই বুনুয়েলের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং বুনুয়েলের সৃষ্টির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আস্থা ধরা পড়েছে। সুরিয়ালিস্ট আন্দোলন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের অস্থিরতার মধ্যেও কেবলমাত্র স্বপ্ন আঁকড়ে নতুন ফর্মের প্রতিষ্ঠা দেওয়ার যন্ত্রণার কথা বলে। বাস্তবের চাবুকের এক একটা ঘা যে সোজাসাপটা করেছে মুখের রেখাগুলিকে, টানটান করে তুলে ধরেছে নতুন যাপনের ভাষ্যকে, প্রতিষ্ঠা দিয়েছে দৃঢ় আকাঙ্ক্ষাকে এ যেন তারই ধারাবিবরণী। বুনুয়েল তৈরি করেছেন আঁ শিঁয়ে আন্দালু, শুরু করেছেন
দালির ছবি দিয়ে, সেই ছবিই আবার দালি বুনুয়েলের প্রতিকৃতির ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যবহার করেছেন। এখানে ভাবে ভাবনার মিলমিশে, যৌথ বাঁচায়, দুই সমকালীন শিল্পীর ভালোবাসার কথা; তাঁরা একসঙ্গে দিন কাটিয়েছেন অনেক, আদান প্রদান হয়েছে বহু ভাবনার, জীবনের তথা শিল্পের টানাপোড়েনে একত্রিত থেকেছেন। সৃষ্টির সেইসব যন্ত্রণা, একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা ধরা রয়েছে প্রতিকৃতির দুই চোখে। এক শিল্পীর চোখ আঁকছে সব থেকে কাছে পাওয়া নিবিড় শৈল্পিক আদান প্রদানের মানুষটির চোখ। ধূসর বিষণ্ন দৃষ্টি নিমগ্ন রয়েছে সুদূর পরাহত কোনো সময় চেতনার গভীরে।
পিকাসো ১৯০৭ সালে নিজের আত্মপ্রতিকৃতি আঁকছেন, তখন সেখানে যে যন্ত্রণা প্রকাশ পেয়েছে, নিজেকে ভাঙাগড়ার খেলা যেখানে হয়েছে ছবির উপজীব্য বিষয়; সেই সব কিছুই চল্লিশ বছর পর অপর এক শিল্পীর হাত ধরে প্রকাশ পাচ্ছেন শিল্পী, সেখানে পিকাসোর ভাঙাগড়াকে যেমন শ্রদ্ধার চোখে দেখেছেন দালি, তেমনি আধুনিক শিল্পে পিকাসোর দাপুটে আধিপত্যকে ব্যঙ্গও করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ও উত্তরযুদ্ধ পর্বে পিকাসোর অবস্থান নিয়ে দালি সর্বদাই সন্দিহান থাকার ফলে এই বিদ্রুপাত্মক প্রকাশ বলে মনে করা হয়। এক শিল্পী অপর শিল্পীর শিল্পপ্রতিভাকে তাই বলে স্বীকার করেননি, এমনটা কখনোই নয়। দালি পিকাসোর শিল্পের প্রতি বিনম্র থেকেও তাঁর শৈল্পিক প্রভাব, ট্রান্সফরমেশনের যে সর্বগ্রাসী রূপটি দেখেছেন তার ভার, সেই বোঝার দায় কিছুটা দোষারোপের ভঙ্গিমায় দালি তুলে দিয়েছেন স্বয়ং পিকাসোর মাথায়। অদ্ভুত দ্যোতনাময় এক অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ শিল্পের দায়বদ্ধতার এমন চরম, সৎ ও সার্বিক রূপ ধরা পড়েছে পিকাসোর প্রতিকৃতিতে অথচ সেখানে কখনোই দুই শিল্পীর হৃদয়ের যোগাযোগ যেন উপেক্ষিত নয়, শিল্পীর একাকীত্ব সর্বগ্রাসী মস্তিষ্কের কোনো ধূসর অধ্যায়ে পড়ে আছে একলা … আবার কোথাও হৃদয়ে ফোটা সাদা ফুল, ছায়া ফেলেছে অন্তঃস্থলে।
এরপর ১৯৪৭ সালে দালি যখন পিকাসোর প্রতিকৃতি আঁকছেন, তখন তাঁর শিল্পকর্মে পরিবর্তন এসেছে, বাঁক বদলগুলো ধরা পড়ছে সুস্পষ্ট। সুরিয়ালিজমকে নতুন মাত্রা প্রদানে দালি তখন নিপুণতা আর শৈল্পিক প্রবণতার রূপায়নে অপ্রতিরোধ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গিয়েছে ইতিমধ্যে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আঘাতের ক্লান্তি বিপন্নতা কাটিয়ে ওঠা তখনও সম্ভবপর হয়নি, তারই আগে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ আর এক বিশ্বযুদ্ধ, ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে যার প্রভাব পরবর্তী বিশ্বের কাছে অপরিমেয়। ফ্যাসিস্ট শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, নতুন ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আমেরিকা। দালির দৃষ্টিভঙ্গি পিকাসো সম্পর্কে অনেকটাই সমালোচনাপূর্ণ এবং মতামতের মধ্যে যে দুই শিল্পীর পার্থক্য তা স্পষ্টত ধরা পড়েছে ছবিতে। বুনুয়েলের প্রতিকৃতির পাশে পিকাসোর এই প্রতিকৃতি দালির শিল্প মননের বৈচিত্র্যতার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
***
প্রতিকৃতি বিষয়ে দালির অন্যতম আরেকটি কাজ হলো গালা। গালার প্রতিকৃতি অনেকবার আঁকলেও ১৯৩৩, ১৯৫২, ১৯৫৪-র ছবিগুলো একে অপরের থেকে অনেক আলাদা। প্রথম ১৯৩৩ সালে দালি গালার প্রতিকৃতিতে হাস্যময়ী মায়াবী ফটোরিয়ালিস্টিক ব্যঞ্জনায় সুরিয়ালিজমকে ধরলেন ল্লিগাট বন্দরের অনুসর্গে। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে গালাকে তিনি আঁকলেন অনেক মগ্ন, নরমভাবে ম্যাডোনার ভঙ্গিমায়। ছবিতে দালি ভ্যানিসিং পয়েন্টের অসাধারণ ব্যবহার করলেন যা গালাটিয়া অব দ্য স্ফিয়ার্স (Galatea of the spheres)-কে নিউক্লিয়ার মিস্টিক পিরিয়ডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছবির মর্যাদা প্রদান করে। ছবিতে যে জ্যামিতিক সুষমা ও ছদ্মময়তা তৈরি করা হয়েছে তা সৃষ্টি রহস্যের গোড়ার কথা ও ঐক্যকেই তুলে ধরে। ১৯৫৪ সালে গালাকে আবার আঁকলেন যখন গালার প্রতিকৃতিতে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। গালার মুখে ফটোগ্রাফের ব্যবহার এবং একইসঙ্গে রাইনোমিক অ্যাট্রোবিউট্সে্র সুসামঞ্জস্যতায়, বিশ্বের সৃষ্টিতে যে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণগুলো রয়েছে তাকেই বিবেচনা করেছে শৈল্পিকতায়। দালির প্রতিকৃতির শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে কিন্তু দ্য সফ্ট ওয়াচ (The Soft Watch)-কেও চিহ্নিত করাই যায়, যেখানে সময় নিজেই হয়ে ওঠে একটি মুখাবয়ব।
শিল্পের সর্বাপেক্ষা শাশ্বত সত্যই হলো পরিবর্তনশীলতা এবং ট্রান্সফরমেশন বা রূপান্তরিকরণ অর্থাৎ এক ধারা হয়ে নতুন এক ধারণার প্রত্যাবর্তনের দিকে যে স্বতঃস্ফূর্ত চলন তার প্রবাহের অনিবার্যতা। সমগ্রকে দেখার, খোঁজার প্রয়াসে যে ছোট ছোট ভাঙচুর শিল্পের প্রতিটি পদক্ষেপকে আকৃষ্ট করে ও সংঘটিত করে কেন্দ্রমুখীনতার অথবা কেন্দ্রবিমুখী শক্তির দাপটে নস্যাৎ করে উঠে আসে সময়ের, যাপনের স্বীকৃত – অস্বীকৃত আখ্যানমালা, রাগ-ক্ষোভ-ধ্বংসের মগ্নতা, যুগসন্ধির শক্তিশালী উপাচারের ভাষ্য; মান্যতা পায় তাই লোকায়ত জনজীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, নিজের স্বরূপকে প্রকাশিত করে চলে তা সময়ের আপন খেয়ালে। সময়ের পরিবর্তন শিল্পের জার্নিকে তাই একটি সুতোয় গাঁথতে পারে বদলে যাওয়ার ধারাবিবরণীর আখ্যান স্বরূপ। শিল্পীর মননের একাত্মতা সেখানে অনিবার্যতার, স্বতঃস্ফূর্ততার নামান্তর মাত্র। হেগেলের মতে “Art is the sensuous presentation of the absolute”. শিল্পের প্রকাশে বস্তুর প্রকাশের পাশাপাশি স্বয়ং-এর প্রকাশ তাই অনিবার্য। স্বয়ং থেকে সত্ত্বার প্রকাশের পথে যাত্রায় অ্যাবসলিউট(absolute) এখানে মহাবিশ্বের ধ্রুব স্বরূপ। প্রকৃতির রূপ ও মাধুর্যের পাশাপাশি শিল্পীর কাছে যেখানে সুন্দর এবং অসুন্দরের কোনো দ্বন্দ্ব না থাকা সত্ত্বেও প্রকাশের ক্ষেত্রটি রক্ষা পাবে শিল্পের আবেদন ও নান্দনিকতার গুণে মোথিত হয়ে। পিকাসোর আঁকা প্রতিকৃতি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রথমেই মুখ্য যে বিষয়টি উঠে আসে তা হল- পিকাসো নিজে এক একটি ফর্ম গড়েছেন যতবার, নিজেই সেইসব ফর্মকে ভেঙেছেন তার পরমুহূর্ত থেকেই। পিকাসোর জীবনের এই ভাঙাগড়ার খেলা থেকে যদি ছয়টি পর্যায়ের ছয়টি প্রতিকৃতিকে তুলে নিয়ে আসি এবং পাশাপাশি রাখা হয় ইতিহাসের পালাবদলগুলোকে, তবে দেখা যাবে কীভাবে মানুষের অভিব্যক্তি পরিবর্তিত হয়েছে নানান মানুষের মুখের রেখায়। কিন্তু এই একই সঙ্গে শিল্পীর সময়কে ধরে রাখার প্রয়াস কী প্রগাঢ়, তাৎপর্যপূর্ণ এবং সম্পর্কিত।
***
১৯০১ সালে গুস্তাভচ কোকুওট (Gustavc Coquiot)-এর প্রতিকৃতি আঁকেন পিকাসো, যেখানে সম্ভ্রান্ত একজন মানুষকে আঁকলেন। তুলে ধরলেন প্রতিকৃতির পাশাপাশি তৎকালীন প্যারিসের জীবনযাত্রাকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যবহার করলেন একাধিক মানুষ ও তার সামাজিক অনুষঙ্গ। ফলস্বরূপ ব্যাকগ্রাউন্ডের অবয়বগুলো কোকুওটের অবচেতন মনের প্রকাশের পাশাপাশি হয়ে উঠেছে সামাজিক মেলিউ (Social milieu) এবং লোভ লালসার, উচ্চবিত্ত মানুষজনের আত্মতুষ্টির জগতে মশগুল থাকার সাক্ষ্যস্বরূপ। সময়কে, সামাজিক যাপনকে পিকাসো এইভাবে ধরে রেখেছেন তুলির টানে; জীবনের প্রথম পর্যায়ের এই প্রতিকৃতি, যেখানে রিয়াল ওয়ার্ল্ডকে সরাসরি তুলে ধরেছেন পিকাসো।
এর পরবর্তীকালে পিকাসো যত হেঁটেছেন নতুন ফর্ম খুঁজে পাওয়ার তাড়নায়, তত বেশি ছবিতে ভাঙাগড়ার খেলা মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। রিয়ালিটি থেকে সরে নিজস্ব ফর্ম তৈরির মাধ্যমে অ্যাবস্ট্রাকশনের অভিমুখে হেঁটেছেন পিকাসো। ১৯০৬ সালে আঁকলেন Gertrude Stein-এর মুখ, যেখানে একজন চিত্রসংগ্রাহকের মুখের মধ্যে দিয়ে শিল্পী নিজেকে স্বতন্ত্র করে তুলেছেন সমকাল হতে, ঊনবিংশ শতাব্দীর একঘেয়ে ভাষ্য থেকে। প্রোটো কিউবিস্ট পিরিওডের এই ছবিতে স্টেনের মগ্ন দৃষ্টি, শিল্পীর শিল্পের প্রতি যাঁর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম, তার প্রকাশ করেছেন পিকাসো। রঙের ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবর্তনটা স্পষ্টভাবে সামনে উঠে এলো, পিকাসোর জীবনের গোলাপী রঙের অধ্যায় হতে উত্তরণ দেখা দিল। রোজ্ পিরিয়ড থেকে পুরোপুরি মুক্তি না ঘটলেও এই প্রতিকৃতিতে এক অভিনব স্থানিকতাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করলেন পিকাসো।
গোলাপী রঙের আধিক্যে আঁকা ছবিগুলো অর্থাৎ রোজ্ পিরিয়ডের প্রসঙ্গ এলে উঠে আসে পিকাসোর ব্লু পিরিয়ডের কথাও। ব্লু পিরিয়ডের একাধিক প্রতিকৃতি যেমন ১৯০১ সালে আঁকা Portrait of Jaime Sabartes Y Gual, ১৯০১ সালের Portrait of angel Farnandez de Soto, ১৯০৪ সালে আঁকা কার্লোটা ভ্লাদিভিয়ার প্রতিকৃতি অন্যতম। এর মধ্যে ভ্লাদিভিয়ার প্রতিকৃতিতে বাম চোখের ও ডান চোখের বৈসাদৃশ্যকে শিল্পী যে ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করেছেন তা পিকাসোর শৈল্পিক গেস্টাল্টের পরিসরকে বহুলাংশে ব্যাপ্ত করেছে। পিকাসোর ব্লু পিরিয়ড, রোজ্ পিরিয়ড তাঁর মানসিক জগতের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত; সামাজিক, রাজনৈতিক তথা ব্যক্তি পিকাসোর জীবনের চলন যে নোটেশনে ধরা পড়েছে, ক্যানভাসে প্রকাশ পেয়েছে বিশেষ সে রঙের মনস্তাত্ত্বিক বাগ্ময়তা। সংবেদনশীল শিল্পীমন ডুবে থেকেছে সেই বিশেষ রঙের রূপে-রসে-গন্ধে-ছন্দময়তায়।
(ক্রমশ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন