শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

সৈকত ঘোষ

হাওয়াই দ্রাঘিমা


অবাধে যন্ত্রণারা চরাচর করে মস্তিষ্কে
অসময়ে বিভাজ্যতার নামতা লিখতে বসলে
মুখের চারপাশে খণ্ডে খণ্ডে ভেসে ওঠে
জীবনের পাইগ্রাফ

প্রায়শই আমি দিকভ্রান্ত হই
শেষ বিকেলে যখন পাখিরা ঘরে ফিরে যায়
আমার শরীরে ভিড় করে নাগরিক ধোঁয়াশা

প্রত্যেকটা ঘুম কোনো এক আণবিক স্তরে  
নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে


শব্দগুলোকে পেট্রিডিশে সাজিয়েছি
আকাশ থেকে রঙ খুঁটে তাদের গায়ে লাগিয়ে
চলছে বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষা
আবহবিদরা হয়তো এটাকে অন্যভাবে এক্সপ্লেন করতে পারেন
প্রতিদিন কোনো না কোনো ভাবে আমরা মশার গান শুনি
পাহাড় থেকে নেমে একরাশ মনখারাপ
একা হয় রাতের সঙ্গে
প্রতিটা ফুল তাদের বৈজ্ঞানিক নাম পালটে
পতঙ্গদের দলে ভিড়েছে

ঘুমের গভীরে ছায়ার গল্প লেখে আয়না
পাড়াতুতো বোনেরা কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে গেছে কখন
অনুভূতি জলবায়ু পরিবর্তনে অন্য স্বাদ নিচ্ছে
ভিজে ব্লটিং পেপারে ওদের খোঁজ অব্যাহত...


ব্যক্তিগত গন্ধেরা ভূমিকা ছাড়াই মস্তিষ্ক প্রসূত ভুল তথ্য
পরিবেশন করে... এখানে জলের চেয়েও সুলভ হেল্পলাইন
এই শীতকালে একটা হাতি ও একটা পিঁপড়ে
নিজের নিজের মানচিত্র থেকে খুঁটে নেবে শূন্যস্থান

জনসমক্ষে অনেক কিছুই বলা যায় না
সংরক্ষিত জলাশয় জানে, চশমার কাচ জানে
কাগজে কলমে প্রত্যেকটা সারোগেট মাদার জানে
শুরু থেকে কত আউন্স বেড়েছে ভবিষ্যত

চারিদিকটা হলুদ হতেই জরুরি অবস্থা
সিগনালে ভিক্ষা করা এবং মাইলের পর মাইল
নিষ্ক্রিয় হেঁটে যাওয়া বস্তুত অহংকারের দাবি রাখে

দূষণ শুধু জল বা বাতাসে নয় মস্তিষ্কেও হচ্ছে নিয়ত... 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন